ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারিসহ নিহত ৫

প্রকাশিত: ১৩:০৬, ৭ মে ২০১৯

  বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারিসহ নিহত ৫

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পৃথক বন্দুকযুদ্ধে সোমবারও পাঁচজন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফে দুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারি এবং বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে পান্না বাহিনী প্রধানসহ তিন বনদস্যু। এ সময় উভয় এলাকা থেকে বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। খবর স্টাফ রিপোর্টারদের পাঠানো। জানা গেছে, কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। এ সময় দুই দেশীয় তৈরি অস্ত্র, ৭ রাউন্ড গুলি, ২ হাজার ২’শ পিস ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির ৬ লাখ ৫৬ হাজার ২১০ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হচ্ছে, নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাচা মিয়ার পুত্র মোঃ আলম (৩৪) ও জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোঃ রফিক (২০)। সোমবার ভোরে লেদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ জানায়, সোমবার ভোরে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে ইয়াবা লেনদেন হচ্ছে জেনে অভিযানে গেলে ইয়াবা কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। কিছুক্ষণ গুলিবিনিময়ের পর একপর্যায়ে ইয়াবা কারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এসব অস্ত্র-ইয়াবাসহ তাদের মরদেহ পাওয়া যায়। বাগেরহাট ॥ পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদীর চরপুটিয়া এলাকার খোন্তা-কোদালিয়া খালে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রানা ওরফে পান্না বাহিনীর প্রধানসহ ৩ বনদস্যু নিহত হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই বন্দুকযুদ্ধে ২ র‌্যাব সদস্য আহত হন। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে ৪ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ একটি ট্রলার উদ্ধার করেছে র‌্যাব। নিহত ৩ বনদস্যুরা হলো, রানা ওরফে পান্না বাহিনীর প্রধান রানা ওরফে পান্না, জুলহাস ও কামরুজ্জামান। নিহতদের মধ্যে একমাত্র বাহিনীর প্রধান রানা ওরফে পান্নার বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে। র‌্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার মেজর শামীম সরকার জানান, বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদীর চরপুটিয়া এলাকার খোন্তা-কোদালিয়া খালে বনদস্যুরা অবস্থান নিয়েছে এমন গোপন খবর পেয়ে সকাল ৭টায় ওই এলাকায় র‌্যাব অভিযান শুরু করে। এ সময়ে সুন্দরবনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা বনদস্যুরা র‌্যাবের ওপর গুলিবর্ষণ করে। একপর্যায়ে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বন্দুকযুদ্ধের সময়ে ২ র‌্যাব সদস্যও আহত হন। প্রায় এক ঘণ্টা পর বন্দুকযুদ্ধ শেষ হলে র‌্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৩ বনদস্যু, ৪ আগ্নেয়াস্ত্র, একটি নৌকা ও বিপুল সংখ্যক গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এ সময়ে সুন্দরবনের জেলে, মৌয়ালসহ বনজীবীরা আহত ৩ জনের মধ্যে বনদস্যু রানা ওরফে পান্না বাহিনীর প্রধান রানা ওরফে পান্না, জুলহাস ও কামরুজ্জামান বলে শনাক্ত করে। দ্রুত আহত দুই র‌্যাবসহ গুলিবিদ্ধ ৩ বনদস্যু সদস্যদের মংলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর গুলিবিদ্ধ ৩ বনদস্যুকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ৩ বনদস্যু লাশসহ উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ ও বনদস্যুদের ব্যবহৃত নৌকাটি মংলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
×