ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ১৩:০০, ৭ মে ২০১৯

 রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে জয়পুরহাট

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ এসএসসি পরীক্ষার ফলে দেশসেরা হয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। এক ধাপ উপরে উঠলেও বোর্ড সেরা হতে পারেনি শিক্ষানগরী খ্যাত রাজশাহী। সার্বিক ফলে এবার বোর্ডে দ্বিতীয় হয়েছে রাজশাহী। আর টানা দ্বিতীয়বারের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে জয়পুরহাট। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আনারুল হক প্রমাণিক আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের ফল ঘোষণা করেন। এ সময় বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বোর্ডের সার্বিক ফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মধ্যে ৯৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে জয়পুরহাট জেলা। জেলার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯ হাজার ৩২৪। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮ হাজার ৮৫৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৪৯১ জন। ৯৪ দশমিক ১৪ শতাংশ ছাত্র এবং ৯৫ দশমিক ৮২ শতাংশ মেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে এ জেলায়। রাজশাহীতে ৯১ দশমিক ৯৬ শতাংশ ছাত্র এবং ৯৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। ৮৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ায় গত বছর বোর্ডে তৃতীয় ছিল রাজশাহী জেলা। দুই ধাপ উপরে উঠে বোর্ডে তৃতীয় অবস্থানে বগুড়া জেলা। এখানকার ৯২ দশমিক ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে এবার। বগুড়ায় ৯০ দশমিক ৭৩ শতাংশ ছাত্র এবং ৯৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। টানা তৃতীয়বারের মতো বোর্ডে চতুর্থ অবস্থানে নওগাঁ জেলা। এবার জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৫০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬১৫ জন। নওগাঁয় ৮৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ ছাত্র এবং ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। তিন ধাপ নেমে এবার পাবনা জেলার অবস্থান বোর্ডে পঞ্চম। এখানকার পাসের হার ৯২ দশমিক ২৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৮৪২ জন। ৯১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ায় বোর্ডে ষষ্ঠ অবস্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৩১ জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮৯ দশমিক ৫১ শতাংশ ছাত্র এবং ৯২ দশমিক ৬৭ শতাংশ ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। এক ধাপ নেমে বোর্ডে সিরাজগঞ্জ জেলার অবস্থান সপ্তম অবস্থানে। এ জেলায় পাসের হার ৯০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩৯০ জন। ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বোর্ডের তলানিতে নাটোর জেলা। এ জেলায় পাসের হার ৮৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৫২৭ জন।
×