ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রবীন্দ্রজয়ন্তীতে অণিমা রায়

প্রকাশিত: ১২:২৫, ৭ মে ২০১৯

রবীন্দ্রজয়ন্তীতে অণিমা রায়

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একাধিক চ্যানেলে নিজের পরিবেশনা নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হবেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী অণিমা রায়। এরই ধারাবাহিকতায় নাগরিক টিভির একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে গান পরিবেশন করবেন তিনি। এছাড়াও অণিমা রায়ের নির্দেশনায় সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ে মঞ্চায়িত হয় রবীন্দ্রনাটক ‘চিত্রাঙ্গদা’। এ নাটকটি আজ রাত ১২টায় প্রচার করবে দীপ্ত টেলিভিশন। অণিমা রায় জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে গত কয়েক বছর ধরেই সফলভাবে বার্ষিক সঙ্গীত উৎসব পরিচালনা করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল এই ‘চিত্রাঙ্গদা’। এ প্রসঙ্গে অণিমা রায় বলেন, আমরা প্রায় ৪ মাস টানা রিহার্সেল করে ‘চিত্রাঙ্গদা’ নাটকটি মঞ্চে এনেছি। এ এক কঠোর অধ্যাবসায়ের জন্যই সম্ভব হয়েছে। নাটকটি তাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেছেন দর্শকেরা। আমার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এই মঞ্চনাটকটির প্রদর্শন এবারের জয়ন্তীতে দর্শকদের জন্য বিশেষ একটি উপহার। এর বাইরে একাধিক চ্যানেলে রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছেন দেশের এই বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। এর মধ্যে এটিএন বাংলায় প্রথমবারের মতো কোন অনুষ্ঠানে একমঞ্চে গাইলেন এ সময়ের তিন শীর্ষ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাদী মহম্মদ, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং অণিমা রায়। অণিমা রায় প্রথমবারের মতো তার দুই শিক্ষকের সঙ্গে একসঙ্গে পারফর্ম করলেন। এ অনুভূতি প্রসঙ্গে অণিমা বলেন, আমি যাদের কাছ থেকে শিখেছি, যাদের অনুপ্রেরণায় আমি রবীন্দ্রচর্চা করি তাদের সঙ্গে এমন দারুণ আয়োজনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য এটিএন বাংলাকে ধন্যবাদ। আমি বিচ্ছিন্নভাবে এর আগে সাদী ভাই, বন্যা আপার সঙ্গে কাজ করেছি, গেয়েছি। কিন্তু আমার দুই গুরুর সঙ্গে একমঞ্চে এটিই প্রথম কাজ। আশা করছি দর্শকরাও উপভোগ করবেন এই আয়োজনটি। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে আগামীকাল রাত ৮টায় প্রচার হবে এই অনুষ্ঠানটি। শিমুল মুস্তাফার উপস্থাপনা ও রুমানা হকের পরিচালনায় এই অনুষ্ঠানের শিরোনাম ‘শোনো তাঁর শুধাবাণী’। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে অণিমা রায়ের এই ব্যস্ততা প্রসঙ্গে শিল্পী বলেন, দিবসভিত্তিক গণমাধ্যমে এই অতি ব্যস্ততার বিরোধী আমি সবসময়ই। কারণ রবীন্দ্রগান তার সাহিত্যসহ সকল কাজকর্ম নিয়ে চর্চাটা গণমাধ্যমে নিয়মিত হলেই তাকে প্রকৃত সম্মান দেয়া হবে। এবারের জয়ন্তী উপলক্ষে গান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রমী তালিকার পাশাপাশি শ্রোতা-দর্শকদের চাহিদা মতো গানও করার ইচ্ছে রয়েছে। আমি মনে করি একজন শিল্পী হিসেবে শুধু রবীন্দ্রগান গাওয়াই নয় তার মূল্যবোধের চর্চা করাটাও আমার দায়িত্ব।
×