বিডিনিউজ ॥ লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় ফণী-পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্মিলিতভাবে গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী গৃহীত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের পর্যালোচনা করা হয়।
এই বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঘূর্ণিঝড় ফণী সফলভাবে মোকাবেলা করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান। বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ কামাল সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় তার মন্ত্রণালয়ে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য সারাদেশে আরও ৭ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন প্রয়োজন। বিদ্যুত বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আহমদ কায়কাউস সভায় জানান, যেসব জেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত করেনি সে সব জেলার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আক্রান্ত জেলায় নিযুক্ত করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর বিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের লাইন জরুরীভাবে মেরামত করা হয়েছে। বর্তমানে সব জেলায় বিদ্যুত সচল রয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ হাজার ৬৬৫ কিমি বাঁধের মধ্যে ২৪৩টি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২টি বাঁধে বড় ধরনের ক্ষতি হয়। অবশিষ্ট ২৪১টি বাঁধ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান দ্রুততার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের নির্দেশ দেন। কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান সভায় বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য সম্ভাব্য কার্যক্রম প্রণয়নে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ফণী পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পর্কে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।