ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রিভা গাঙ্গুলীর সাক্ষাতকালে অর্থমন্ত্রী

ভারতের সহযোগিতায় দেশে স্মার্টসিটি তৈরি করা হবে

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ৭ মে ২০১৯

 ভারতের সহযোগিতায় দেশে স্মার্টসিটি তৈরি করা হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সহযোগিতা নিয়ে দেশে স্মার্টসিটি তৈরি করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। সময়ের আবর্তনে এ সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার ওপর ভর করে পরিপক্বতা লাভ করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী বলেছেন, স্মার্টসিটি তৈরিতে সহযোগিতা দিতে ভারত এদেশে বিনিয়োগ করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ভারতের অন্যতম বন্ধুপ্রতিম দেশ। এ কারণে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সোমবার দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে শেরে বাংলানগরে নিজ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে তারা আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের সঙ্গে বহুবিধ সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রকৃতপক্ষে ভাল সম্পর্ক, বিশ্বাস, পারস্পরিক স্বার্থ ও সম্মানের ভিত্তিতে নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি বাংলাদেশ- ভারত সম্পর্কের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুত, রেলপথ, সড়ক, জাহাজ চলাচল, বন্দরসহ অবকাঠামো খাতে ১৭ অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক গতিশীলতার কারণে শুধু শহরেই নয়, উন্নয়ন হয়েছে গ্রামীণ জনপদেও। ওই সময় ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী বলেন, পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এ অঞ্চলের সকল দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালনা ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সুন্দর। রিভা গাঙ্গুলী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সাম্প্রতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। বাংলাদেশকে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে অবশ্যই যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের দিকে বেশি জোর দিতে হবে। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী হিসাবে বাংলাদেশের এলএনজি, বিদ্যুত খাতসহ বিভিন্ন খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। সাক্ষাতকালে অর্থমন্ত্রী বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই দেশের ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিদেশী বিনিয়োগ এবং গ্লোবাল আউট সোর্সিংয়ের একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। বাংলাদেশে এখন জনমিতিক লভ্যাংশ (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) কাল চলছে, যা ২০৬১ সাল পর্যন্ত থাকবে। দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন ট্রেড প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। বর্তমান যুগ হলো আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, বায়ো- কেমিস্ট্রি, বণ্টন চেন টেকনোলজি, কোয়ান্টাম সায়েন্স, রবোটিক্স, ন্যানো টেকনোলজি প্রভৃতির যুগ। ভারত চাইলে এই খাতেও বিনিয়োগ করতে পারে।
×