ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফের ধর্ষণের পর শিশু-কিশোরী হত্যা

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ৭ মে ২০১৯

 ফের ধর্ষণের পর শিশু-কিশোরী হত্যা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ আবার ধর্ষণ! আবারও সেই পাশবিকতা!! ফের নিহত রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হলো ধর্ষিত দুই শিশুর লাশ! বাগেরহাটে আম খাওয়ানোর কথা বলে বাগানে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এক শিশুকে। পরবর্তীতে মামলা হলে পুলিশ আটক করে এক তরুণীকে। এদিকে, মাদারীপুরের শিবচরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এক স্কুল ছাত্রীর লাশ। এ ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে ৩ জনকে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার। বাবুল সরদার বাগেরহাট থেকে জানান, ফারিয়া (৭) নামে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। রবিবার রাতে বাগানে পুঁতে রাখা ফারিয়ার লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। সোমবার এই ঘটনায় নিহতের বাবা ওমর আলী বাগেরহাট মডেল থানায় মিনহাজুল ইসলাম শোয়েবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের পর শ^াসরোধে হত্যার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত মিনহাজুল আবেদিন শোয়েবকে (১৯) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোমবার দুপুরে সদর হাসপাতাল মর্গে শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেফতার শোয়েব শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ^াসরোধে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। ফারিয়া বাগেরহাট সদর উপজেলার পাতিলাখালি গ্রামের ওমর আলী শেখের মেয়ে। পার্শ্ববর্তী কোন্ডলা গ্রামের বড়ু বিবি ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। আটক শোয়েব পিরোজপুর জেলার নামাজপুর গ্রামের নূর ইসলাম ওরফে ইমন হাওলাদারের ছেলে এবং ওমর আলীর বড়ভাই লিয়াকত শেখের মেয়ে শেফালীর ছেলে। শোয়েব তার নানা লিয়াকত আলীর বাড়িতে থাকত ছোট বেলা থেকে। স্থানীয়রা জানান, ফারিয়া সম্পর্কে শোয়েবের চাচত খালা হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার পরে আম খাওয়ানোর কথা বলে ফারিয়াকে প্রতিবেশী রাজ্জাকের বাড়ির পাশের বাগানের মধ্যে নিয়ে যায় শোয়েব। পরে সেখানে ধর্ষণের পরে হত্যা করে বাগানের পুকুরে পুঁতে রাখে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রবিবার রাতে ওই পুকুরের মধ্যে মেয়েটির মৃতদেহ পায় স্বজন ও প্রতিবেশীরা। হোটেলে ছাত্রীর লাশ ॥ সুবল বিশ্বাস, মাদারীপুর থেকে জানান, জেলার শিবচরে একটি আবাসিক হোটেল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ইœ আক্তার (১৫) নামে ৯ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত ৯টার দিকে পৌর মার্কেটের উৎসব চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এ্যান্ড আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে শিবচর থানার পুলিশ। নিহতের মায়ের দাবি, প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ইন্নিকে অপহরণ করে রুবেল খান নামে এক বখাটে। পরে তাকে ওই হোটেলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রুবেলসহ তিন জন। পুলিশের ধারণা একাধিকবার ধর্ষণের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষণে ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। হোটেলের কক্ষে একাধিক যৌন উত্তেজক ওষুধ পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানায়। ইন্নি আক্তার শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাওডোবা ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি এলাকার মৃত ইলিয়াস মৃধার মেয়ে এবং শিবচর শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। তার মা শিবচর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের কর্মচারী হিসেবে কাজ করায় শিবচর পৌরসভার স্বাস্থ্য কলোনি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ইন্নি তার মায়ের সঙ্গে বসবাস করত। রবিবার রাতেই স্কুলছাত্রীর মা ডলি আক্তার বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেছেন। এর আগে রবিবার রাত ১০টার দিকে কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট এলাকা থেকে অভিযুক্ত রুবেল খান (২৩)কে গ্রেফতার করে পুলিশ। রুবেল শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের মুন্নচরকান্দি এলাকার মৃত তোতা খানের ছেলে। এ ঘটনার পর ওই হোটেল সিলগালা করে দেয়া হয়। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হোটেলের ব্যবস্থাপক রোনাল্ড সরকার ও রেস্টুরেন্টের কর্মী মোঃ খায়রুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
×