ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বার্ষিক মাত্র ২ লাখ টাকায় অটোমেশন সিস্টেম ক্রয় নিয়ে প্রশ্নের মুখে বিপিসি

প্রকাশিত: ১০:৫২, ৬ মে ২০১৯

 বার্ষিক মাত্র ২ লাখ টাকায় অটোমেশন সিস্টেম ক্রয় নিয়ে প্রশ্নের মুখে বিপিসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাঁচ বিলিয়ন ডলার আদায়ের অটোমেশন সিস্টেম বার্ষিক মাত্র ২ লাখ টাকায় কিনে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। যদিও বিপিসি বলছে, এই পদ্ধতিতে তাদের বছরে বেশি আয় হবে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা। রবিবার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে জ্বালানি বিভাগ, বিপিসি এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমস লিমিটেডের (সিএনএস) ত্রিপক্ষীয় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে এত কমদরে সেবামূল্য কি করে কেনা সম্ভব হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বিপিসির তরফ থেকে বৈঠকে জানানো হয়, বিপিসি জ্বালানি তেল বিক্রির টাকা আদায়ের জন্য রিয়েল টাইম অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেমে অটোমেশন পদ্ধতির ব্যবহার করতে যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ আট দিনের মধ্যে কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বিপিসি অর্থ আদায় করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিপিসি তার নিয়ন্ত্রিত পেট্রোলিয়াম কোম্পানির কাছে বছরে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিক্রি করে। গত বছরও বিপিসি ৪৯ হাজার কোটি টাকার জ্বালানি বিক্রি করেছে। বার্ষিক ৫ ভাগ হারে বিক্রি বাড়ছে। বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেব করলেও ৫ বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলার আদায় করে দেবে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এজন্য পাঁচ বছরে তাদের পরিশোধ করতে হবে মাত্র ১০ লাখ টাকার মতো। বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায়ে এত কম খরচ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জানতে চান, এত কম মূল্যে কিভাবে এই সেবা কেনা হলো। এই প্রশ্নের উত্তরে বিপিসি জানিয়েছে, তারা জানে না কিভাবে এত কমে সেবা দেয়া সম্ভব। তবে তারা যেহেতু কমদরে সেবা পেয়েছে তাই কমদরেই কিনেছে। অন্যদিকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমস লিমিটেডের কাছে এত কমে সেবা বিক্রি করা কিভাবে সম্ভব জানতে চাইলে তারাও বিষয়টি পরিষ্কার করেনি। বৈঠকে নেটওয়ার্ক সিস্টেমস লিমিটেডের তরফ থেকে জানানো হয় এটি তাদের গোপন ব্যবসায়িক কৌশল। পরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে কোন গোপন আয় না থাকলে এভাবে এত কমে সেবা দেয়া সম্ভব নয়। জানতে চাইলে বিপিসি চেয়ারম্যান মোঃ শামসুর রহমান বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কথাটি সঠিক। তবে তারা কিভাবে টাকা আয় করবে সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার করেনি। তবে ব্যাংক থেকে কমিশন পাবে বলে আমাদের জানিয়েছে। সেটা কিভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বলেছে ব্যাংকে তারা কিছু সরবরাহ করবে। যে কারণে তাদের কমিশন দেয়া হবে। অর্থ আদায়কারী প্রতিষ্ঠান সিএনএস-এর নিয়ন্ত্রণে কোন হিসাব নাম্বার না থাকলে বছরের পর বছর ব্যাংক তাদের কমিশন দেবে কিভাবে এ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি পরিষ্কার করতে পারেননি।
×