ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বায়ুদূষণ রোধে দুই সিটির প্রধান নির্বাহীকে কোর্টে তলব

প্রকাশিত: ১০:২৩, ৬ মে ২০১৯

 বায়ুদূষণ রোধে দুই সিটির প্রধান নির্বাহীকে কোর্টে  তলব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে আদালতের দেয়া আদেশ অমান্য করার কারণ ব্যাখ্যা চেয়ে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহীকে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ১৫ মে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে হবে। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুন্নাহার। গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় একই আদালত। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়েছিল। ঢাকার যেসব এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে, সেসব এলাকাকে প্রাধান্য দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আদেশ দেয় আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাদের এই আদেশ পালন করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১০ এপ্রিল পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক জিয়াউল হককে তলব করে আদালত। ওই দিন ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা পরিমাপ করে দূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়। রবিবার আদালতের শুনানি শেষে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন , ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের রুটিন ওয়ার্ক দেখে আদালত সন্তুষ্ট নয়। তাদের প্রতি নির্দেশনা ছিল, ধুলা নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন তারা শহরে দুইবার করে পানি ছিটাবে। কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জমা দেয়া কাগজপত্র অনুযায়ী, তাদের রুটিন ওয়ার্ক দেখে আদালত সন্তুষ্ট হতে পারেনি। পরিবেশ সংরক্ষণ এবং তাদের দফতরের নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেকটা বড় শহরে, বিভাগীয় শহরে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকার কথা। এই মামলা পরিচালনার সময় আমরা দেখেছি, আদালতের আদেশ রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।
×