ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জবি নাট্যকলা বিভাগের নাট্যোৎসব

প্রকাশিত: ০৮:১৩, ৬ মে ২০১৯

জবি নাট্যকলা বিভাগের নাট্যোৎসব

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের প্রযোজনায় নির্মিত দুটি নাটকের একাধিক প্রদর্শনী উপলক্ষে বিশেষ নাট্য উৎসবের আয়োজন করেছে। গত ২ মে থেকে শুরু হওয়া ৫ দিনব্যাপী এই উৎসব আজ শেষ হচ্ছে। জবির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নাটক দুটি ধারাবাহিকভাবে মঞ্চস্থ হচ্ছে। আজ উৎসবের সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভুঁইয়া। জবি নাট্যকলা বিভাগ সূত্রে জানা যায় বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ আবর্তন তাদের দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষা প্রযোজনা হিসেবে মঞ্চস্থ করছে নাট্যকার টমাস কিড রচিত ‘দ্য স্প্যানিশ ট্র্যাজেডি’। গত ২ মে বেলা ২টায় এ উৎসবের উদ্বোধন হয়। পরদিন ৩ মে বেলা ৫টায় নাটকটির দ্বিতীয় মঞ্চায়ন হয়। ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় আবর্তন তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষা প্রযোজনা হিসেবে মঞ্চস্থ করে নাট্যকার বের্টোল্ট ব্রেখট রচিত ‘জননী সাহসিকা’। উৎসবের তৃতীয়দিন ৪ মে ২০১৯ সন্ধ্যা ৬-৩০ মিনিটে প্রযোজনাটির প্রথম মঞ্চায়ন হয়। পরদিন ৫ মে সন্ধ্যা ৬-৩০ মিনিটে নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী হয়। আজ ৬ মে সকাল ১১টা এবং বেলা ২-৩০ মিনিটে যথাক্রমে নাটকটি তৃতীয় ও চুতর্থ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। নাটক দুটির নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগের প্রভাষক যথাক্রমে কৃপাকণা তালুকদার এবং সঞ্জীব কুমার দে। এলিজাবেথীয় যুগের নাট্যকার টমাস কিড রচিত ‘দ্য স্প্যানিশ ট্র্যাজেডি’ নাটকটি তার সেরা সাহিত্যকীর্তি। এই নাটকের মুখ্য আলোচনা কেন্দ্রীভূত হয়েছে এর প্রতিশোধের বিষয়কে কেন্দ্র করে। নাটকের প্রধান চরিত্র বেলিমপেরিয়া। পর্তুগালের যুবরাজ তাকে যে কোন মূল্যে বিয়ে করতে চায় এবং সে উদ্দেশ্যে সে একে একে তার দুই প্রেমিককে হত্যা করে। এই দুই হত্যাকা-ের ফলে প্রজ্বলিত হয় প্রতিশোধের আগুন এবং এর রেশ ধরেই ঘটনার আকস্মিকতা, দুর্বার প্রণয়, প্রতিশোধস্পৃহা, প্রেতাত্মার আগমন, ভয়াবহ হত্যা, ঘৃণ্য চক্রান্ত এবং পরিশেষে মৃত্যুর মিছিলের মধ্য দিয়ে নাটকটির যবনিকা ঘটে। অন্যদিকে জার্মান নাট্যকার বের্টোল্ট ব্রেখটের ‘জননী সাহসিকা’ অন্যতম যুদ্ধবিরোধী এপিকধর্মী ক্রনিকল প্লে। নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র এ্যানা ফিয়ার্লিং একটি চলমান ক্যান্টিনের মালিক। যুদ্ধের ধ্বংসলীলার মধ্যে অসীম সাহসের সঙ্গে নিজের মালামাল সে যেভাবে বাঁচিয়েছে তারই স্বীকৃতিস্বরূপ লোকজন তার উপাধি দিয়েছে ‘জননী সাহসিকা’। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে বেপরোয়া ও দুঃসাহসী, নাম এলিফ। ছোট ছেলে অত্যন্ত সৎ, তাকে ডাকা হয় সুইস পনীর বলে। তরুণী কাট্রিন অত্যন্ত সংবেদনশীল ও অনুভূতিপ্রবণ, কিন্তু বোবা। পরিবারের পঞ্চম সদস্য হলো জীবিকা নির্বাহের মূল অবলম্বন তার খাবার গাড়িটি। যুদ্ধের সর্বনাশা ছোবলে জননী সাহসিকা একে একে তার তিন সন্তানকেই হারায়। জীবিকার তাগিদে সে একাই টেনে বেড়ায় খাবার গাড়িটি, অতঃপর সেই সর্বভুক যুদ্ধ আর সাহসিকার জীবন সমান্তরালে এগিয়ে চলে।
×