ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯

‘বিনয়ী’ স্মিথ-ওয়ার্নারকে চায় অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ৫ মে ২০১৯

‘বিনয়ী’ স্মিথ-ওয়ার্নারকে চায় অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাইকেল ক্লার্ক অবসরে যাওয়ার পরই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের যত পরিকল্পনা ছিল স্টিভেন স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নারকে ঘিরে। কি দুর্দান্তভাবে হাল ধরেছিলেন নবীন দুই তারকা। হয়ে উঠেছিলেন অন্যতম ভরসা। উইলোবাজিতে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে ঘোরের মধ্যে রেখেছিলেন ওয়ার্নার, ব্যাটিংয়ে-নেতৃত্বে স্মিথ। কি এক ভূত চাপল। গত বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বল টেম্পারিংয়ের মতো জঘন্য ঘটনায় জড়িয়ে এক ঝটকায় স্বর্গ থেকে নেমে এলেন মর্ত্য।ে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বিপিএল ও আইপিএল দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরলেও বিশ্বকাপ দিয়ে জাতীয় জার্সি গায়ে চড়াবেন। তবে ২০২০-এর মার্চের আগে কেউই অধিনায়ক হতে পারবেন না। তাদের খেলতে হবে এ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বে। স্মিথ-ওয়ার্নারের ‘ফর্ম আর ক্লাস’ নিয়ে যে কোন সন্দেহ নেই সেটি আইপিএলেই প্রমাণ হয়ে গেছে। কিন্তু খেলারও আগে তাদের ‘বিনয়ী’ দেখতে চান প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ওরা দীর্ঘদিন এই দলের নেতৃত্বে ছিল। এখন ওই দায়িত্ব ছাড়া খেলাটা ওদের জন্য সত্যিই চ্যালেঞ্জিং হবে। ওদের নম্র ও বিনয়ী হতে হবে। নতুন এই অভিজ্ঞতাটা নেয়াও আশাকরি ওদের জন্য ভাল কিছু বয়ে আনবে বলেন ল্যাঙ্গার। আইপিএলে শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ ক্যাম্পে যোগ দেয়া দুই তুখোড় তারকাকে নিয়ে সতীর্থদের মাঝে কি কোন উত্তেজনা, কানাঘুষা চলছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও যোগ করেন, সত্যি বলছি, দলে কোন উত্তেজনা নেই। ওরা ফেরায় আমরা কেবল ক্রিকেট খেলার বিষয়ে অনেক বেশি উৎফুল্ল। আমরা তাদের অভিজ্ঞতা মাঠ ও মাঠের বাইরে কাজে লাগাব, তবে একেবারেই উত্তেজিত হয়ে পড়ব না। নিশ্চিতভাবেই এবারের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে তাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। যখন আপনি অধিনায়কের পদ হারিয়ে কেবল একজন খেলোয়াড় হিসেবে দলে থাকবেন তখন নিশ্চিতভাবেই আপনাকে অনেক নম্র হতে হবে। তবে আমাদের অস্ট্রেলিয়ানদের অন্যতম শক্তিশালী মূল্যবোধ হচ্ছে নম্রতা। সুতরাং এটা বিকাশে এ বিশ্বকাপ হবে তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ। অস্ট্রেলিয়া কোচ বলেন, এক বছর আগে আমরা ভীষণ দুঃখের কিছু ঘটনা দেখেছিলাম। এখন বেশ ইতিবাচক অবস্থায় আছি। অতীতে বিশ্বকাপে আমরা দারুণ সফলতা পেয়েছি। সে সাফল্যের দিকে তাকালে মনে হবে বিশ্বকাপে ভাল করা আমাদের তেমন কোন ব্যাপারই না। কিন্তু আমি জানি যে, ক’দিন আগেও দলের বেশ বাজে সময় গেছে। সেটা আমরা নিজেরাই টেনে এনেছিলাম। এখন তাই প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। ওই দুঃসময়টা এসেছিল স্মিথ ও ওয়ার্নারের কারণেই। দু’জনই এখন দলে ফিরেছেন। চমৎকার ফর্মেও আছেন তারা। এর মধ্যে ওয়ার্নার আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১২ ম্যাচে ৬৯২ রান করেছেন। রাজস্থান রয়্যালসকে নেতৃত্ব দেয়া স্মিথও ভালই করেছেন। দু’জনই ছন্দে থাকায় চিন্তাটা অনেকটাই কমে গেছে কোচ ল্যাঙ্গারের। তবে সবার আগে ‘ইগো’ পরিত্যাগ করে তাদের ‘বিনয়ী’ হতে হবে বলে মনে করেন তিনি। তার ওপরই অসিদের বিশ্বকাপ সাফল্যের অনেক কিছু নির্ভর করবে। স্মিথ-ওয়ার্নার ফেরাতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে সতর্ক ল্যাঙ্গার। ভারতে ও আমিরাতে উসমান খাজার ব্যাটিংয়ে প্রশংসা করেছেন তিনি। পেসার মিচেল স্টার্কের ইনজুরি নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। তবে ইনজুরি থেকে বেশ ভালভাবেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন এ তারকা পেসার। কাঁধের ইনজুরিতে ভুগছেন জাই রিচার্ডসন। তিনিও সুস্থতার পথেই আছেন। বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখাই প্রধান লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার। আর এ জন্য বহুল আলোচিত স্মিথ-ওয়ার্নারকে কেবল ফর্মেই নয়, বিনয়ী হিসেবেও দেখতে চান ল্যাঙ্গার।
×