ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইস্টার সানডের হামলাকারীরা প্রশিক্ষণের জন্য ভারত গিয়েছিল

প্রকাশিত: ১১:১৪, ৫ মে ২০১৯

ইস্টার সানডের হামলাকারীরা প্রশিক্ষণের জন্য ভারত গিয়েছিল

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ শ্রীলঙ্কায় গত মাসে ইস্টার সানডের সকালে গীর্জা ও বিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা প্রশিক্ষণের জন্য ভারত সফর করেছিল। দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহেশ সেনানায়েক বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর ইন্ডিয়া ট্যুডের। সেনাপ্রধান মাহেশ সেনানায়েকে বলেছেন, ‘হামলাকারীরা ভারতের কাশ্মীর, বেঙ্গালুরু ও কেরালা রাজ্যে গিয়েছিল। আমরা এখন পর্যন্ত এ তথ্য পেয়েছি। তবে তাদের ভারত সফরে যাওয়ার সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানতে পারিনি।’ লঙ্কান এই সেনাপ্রধান বলেন, ‘সম্ভবত কিছু প্রশিক্ষণ অথবা দেশের বাইরের কিছু সংগঠনের সঙ্গে আরও বেশি সংযোগ স্থাপনের জন্য তারা এই সফর করেছিল।’ গত ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডের সকালে শ্রীলঙ্কার তিনটি গীর্জা, তিনটি বিলাসবহুল হোটেল ও আরও একাধিক স্থানে বোমা হামলা চালায় অন্তত ৯ আত্মঘাতী হামলাকারী। এই হামলার বিষয়ে আগাম তথ্য পাওয়ার পরও ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর টানাপড়েনকে দায়ী করা হচ্ছে। প্রথম বোমা হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেও চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। ভারতীয় গোয়েন্দাবাহিনী ও অন্যান্য দেশের দেয়া আগাম সতর্কবার্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মাহেশ সেনানায়েকে বলেন, তারা গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করেছিলেন। লঙ্কান এই সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আসা সামরিক গোয়েন্দা তথ্য ও পরিস্থিতি সেই সময় ভিন্ন ধরনের ছিল। সেখানে এক ধরনের শূন্যতা ছিল, যা আজ প্রত্যেকেই দেখতে পাচ্ছেন।’ কলম্বোতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫৩ জনের প্রাণহানির পর ভারতের তামিলনাড়ু ও কেরলে বেশ কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। ওই হামলার সঙ্গে ভারতীয়দের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না তা জানতেই তদন্ত পরিচালনা করে এনআইএ। রিয়াস আবু বকর নামের এক ভারতীয়কে গ্রেফতারের পর এনআইএ জানায়, কেরল রাজ্যে জঙ্গীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্লিপার সেল রয়েছে। গ্রেফতারকৃত এই তরুণ শ্রীলঙ্কান বোমা হামলাকারী জাহরান হাশিমও বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েককে অনুসরণ করত।
×