ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কলকাতার সব ফ্লাইট সন্ধ্যায় একযোগে ঢাকা ছাড়ে

প্রকাশিত: ১১:০১, ৫ মে ২০১৯

কলকাতার সব ফ্লাইট সন্ধ্যায় একযোগে ঢাকা ছাড়ে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফণীর প্রভাব ঢাকায় তেমন না পড়লেও এয়ারলাইন্সগুলোকে মাসুল গুনতে হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বিঘ্নিত হয়েছে স্বাভাবিক বিমান চলাচল। অভ্যন্তরীণ সব রুটের ফ্লাইট বিলম্বিত ও বাতিল করা হয়েছে। তবে ঝড়ের প্রভাবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের কটি ফ্লাইট বাতিল ও সময় পরিবর্তন হলেও দেশের কোন বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। বজ্রপাত, বাতাসের গতি বৃদ্ধি, লো ভিজিবিলিটি, লো ক্লাউডের জন্য সতর্কতার সঙ্গে বিমান চলাচলের নির্দেশনা দেয় আবহাওয়া অধিদফতর। জানা গেছে, ঝড়ের কারণে কিছু ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। কিছু কিছু ফ্লাইটে নির্ধারিত সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া, ঝড়ের প্রভাব এড়াতে গতিপথ পরিবর্তন করে চলছে বিমান। এতে সময় বেশি লাগছে গন্তব্যে পৌঁছুতে। সন্ধ্যায় বিমান ও বেসরকারী অন্যান্য এয়ারলাইন্সের কলকাতা রুটের সব ফ্লাইট একই সময়ে ঢাকা ছেড়ে যায়। এতে বিমানবন্দরে প্রচণ্ড ভিড় দেখা দেয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল থেকেই বিমান ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকাল ৯টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ওয়েদার এ্যালার্ট ছিল। পরে এটি আরও ৩ ঘণ্টা এক্সটেনশন করা হয়। এ সময় বজ্রপাত, বাতাসের গতি বৃদ্ধি, লো ভিজিবিলিটি, লো ক্লাউডের জন্য সতর্কতার সঙ্গে বিমান চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়। শনিবার ফণীর কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দুপুর সাড়ে ১২টার ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের বিজি ৪১৩ এবং দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের চট্টগ্রাম-ঢাকা বিজি ৪১৪ ফ্লাইট বাতিল করেছে। আবহওয়া খারাপ হওয়ায় ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া শনিবারের ঢাকা-কলকাতা রুটের বিজি ০৯১ ফ্লাইট বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত বিলম্ব করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিমানের এয়ারপোর্ট সার্ভিস মহাব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম হাওলাদার জানান, গতপরশু ও শনিবারের কলকাতা রুটের তিনটি ফ্লাইটের যাত্রীরা এয়ারপোর্টে অবস্থান করছিল। মোটামুটি তিনটি ফ্লাইটই সন্ধ্যার দিকে একই সময়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার ধকল সামাল দিতে হয়েছে। এজন্য বিমানবন্দরের চেকইন কাউন্টারে যাত্রীদের প্রচ- ভিড় জমে। বেসরকারী এয়ারলাইন্সেরও কলকাতা ফ্লাইটগুলো একই সময়ে ঢাকা ছেড়ে যায়। এতে বেশ চাপের মুখে পড়তে হয়। এদিকে শনিবার ২৪টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছিল নভোএয়ারের। সকাল থেকে সাতটি ফ্লাইট বাতিল করেছে এয়ারলাইন্সটি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম রুটের তিনটি, কক্সবাজারে একটি, যশোরের একটি, সিলেটের একটি, কলকাতার একটি ফ্লাইট। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স সকাল ৭টায় সিলেট রুটে এবং ৯টা ৫০ মিনিটে সৈয়দপুর রুটে একটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এছাড়া, সকাল ১০টায় ঢাকা-কলকাতা রুটের ফ্লাইটটির সময় পরিবর্তন করে বিকেল ৫টায় নির্ধারণ করা হয়। এয়ারলাইন্সটির মুখপাত্র কামরুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে সময় পরবর্তন করতে হচ্ছে। তবে বিকেল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্টেশন এয়ার ট্রাফিক অফিসার এস এম ওয়াহিদুর রহমান বলেন, খারাপ আবহাওয়ার জন্য কিছু কিছু ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। তবে বিমানবন্দরের কার্যক্রম সচল আছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে যশোর বিমানবন্দরের ম্যানেজার মোহাম্মদ আলমগীর পাঠান বলেন, এখনও বিমনবন্দর সচল রয়েছে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে, যাতে কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয়। বরিশাল বিমানবন্দরের ম্যানেজার রথিন্দ্র নাথ চৌধুরী বলেন, বরিশালে ১২টার পর ঢাকা থেকে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট আসে।
×