ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লুটে নিচ্ছে গ্রাহকের হাজার হাজার টাকা

প্রকাশিত: ১০:৩০, ৪ মে ২০১৯

 মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লুটে নিচ্ছে গ্রাহকের হাজার হাজার টাকা

রহিম শেখ ॥ বিকাশ কর্তৃপক্ষ পরিচয়ে +১৬২৪৭ নম্বর থেকে ফোন। এজেন্ট পরিচয়ে জানানো হলো, ‘অন্য একটি নম্বরে অভিযোগ করতে গিয়ে ভুল করে আপনার নম্বরে অভিযোগ করা হয়েছে। এ কারণে আপনার নম্বরটি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কিছুক্ষণ পর বিকাশ থেকে ফোন দিলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে’। প্রথমে +১৬২৪৭ নম্বর থেকে ফোন। কথাগুলো স্পষ্ট না আসার কারণে পরে ০১৮৫০৩০০৮৭৯ নম্বর থেকে ফোন। বিকাশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী এরিয়া ম্যানেজার হাসান আহমেদ পরিচয়ে জানানো হলো, ‘আপনাকে আমরা বিকাশের নিজস্ব নম্বর থেকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু কথাগুলো স্পষ্টভাবে না শোনার কারণে ব্যক্তিগত নম্বর থেকে ফোন দেয়া হলো। এজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’ বলা হলো, ‘কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার মোবাইলে একটি খুদেবার্তা যাবে। আমরা কিন্তু আপনার পিন নম্বরটি জানতে চাই না। শুধু ৬ সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড নম্বরটি আমাদের জানালে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’ খানিক সময় পর ৬ সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড নম্বর সংবলিত খুদেবার্তাটি বিকাশের নিজস্ব নম্বর থেকেই আসে। সবকিছু নিশ্চিত ভেবেই ভেরিফিকেশন কোড নম্বরটি জানানোর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ১০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইমরান হোসেনের। তিনি জনকণ্ঠকে জানান, ‘ওদের ফোন করার পর আমি আমার মোবাইলে বিকাশ এ্যাকাউন্টে কোনভাবেই ঢুকতে পারছিলাম না। ভেবেছি নিশ্চয়ই কোন সমস্যা হয়েছে। বিকাশ পরিচয়ে ফোন দিয়ে বলছে, পাসওয়ার্ড নয়, শুধু ভেরিফিকেশন কোড দিলেই সমস্যার সমাধান। তাই দিতেই টাকা নাই। তবে বিকাশ কর্তৃপক্ষ বলছে, +১৬২৪৭ নম্বরটি তাদের নয়। তাই কোনভাবেই পিনকোড কিংবা ভেরিফিকেশন কোড দেয়া ঠিক নয়। জানা গেছে, দ্রুততম সময়ে এক স্থান হতে অন্য স্থানে টাকা পাঠানোর অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম এখন মোবাইল ব্যাংকিং। বর্তমানে এ সেবা ব্যবহার করেই মানুষ তাদের পরিবার পরিজন ও নিকটাত্মীয়ের কাছে বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন। এছাড়া এ সেবার মাধ্যমে রেমিটেন্সের অর্থ প্রেরণ, বেতনÑভাতা ও ইউটিলিটি বিল পরিশোধ সবই উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ছে। মূলত ব্যাংকে গিয়ে অর্থ আদান প্রদানের ঝামেলা এড়াতে প্রতিদিনই বাড়ছে বিভিন্ন ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার গ্রাহক। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণা। গড়ে উঠছে বিভিন্ন সিন্ডিকেট চক্র। থামানো যাচ্ছে না গ্রাহক হয়রানি। এক হিসাবে দেখা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১ হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকার লেনদেনই বেশি। সাধারণত যারা অল্প আয়ের মানুষ এবং যারা ব্যাংকে গিয়ে এ্যাকাউন্ট খোলার মতো দক্ষ নন, তাদের একটি বড় অংশ এ ব্যাংকিং সেবার দিকে ঝুঁকছেন। এতে একবারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা লেনদেন করা যায়। তবে কেউ চাইলে একাধিক এজেন্ট বা এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আরও অনেক বেশি টাকা লেনদেন করতে পারেন। তবে এই লেনদেনের তেমন কোন তথ্য থাকে না। এজেন্টের মাধ্যমে করলে যার কাছে টাকা পাঠানো হয়, তার মোবাইল নম্বর ছাড়া আর কোন তথ্যই থাকে না। আর সেটার সুযোগ নিয়েই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ কাজে টাকা ব্যবহার হচ্ছে। ভুয়া মেসেজের মাধ্যমে এজেন্টরা যেমন টাকা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন, তেমনি গ্রাহকের টাকাও তুলে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে ভূরি ভূরি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যবসায়ী মোকারম হোসেন শামীম সম্প্রতি অভিযোগ করে বলেন, গ্রামীণফোন সিম ০১৭৮০১৫৯৯৭৪ নম্বরের মাধ্যমে বিকাশে নিয়মিত লেনদেন করেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করে সিম কার্ডটির রেজিস্ট্রেশন বন্ধ দেখায় এবং পরবর্তী সময়ে তার এ্যাকাউন্ট থেকে ভৌতিকভাবে ১১ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শামীম হারানো টাকা ফিরে পেতে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার ও গ্রামীণফোন অফিসে ছুটে যান। কিন্তু এর কোন সুরাহা না পেয়ে দিশাহারা এই গ্রাহক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অভিযোগ করেন। আবুল বাশার নামে অন্য এক গ্রাহক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে করা অভিযোগে বলেন, ব্যবসায়িক কাজে বিকাশে ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্ট খুলি। কিন্তু হঠাৎ চালু সিমটি বন্ধ দেখায়। রেজিস্ট্রেশন নষ্ট হয়েছে মনে করে পাশের এসটিপিতে গিয়ে দেখি এ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার ২০০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আসিফ হোসেন অভিযোগ করেন, গ্রামীণফোন সিম ০১৭০৯৩০৬১৯৫ নম্বর থেকে গত শুক্রবার একটি ফোন আসে। বিকাশ অফিসের কর্মকর্তা পরিচয়ে আমাকে বলা হয়, ‘আপনার হিসাবে ২ হাজার ৪০ টাকা রয়েছে। তবে বর্তমানে এ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সক্রিয় করতে আমাদের নির্দেশনা অনুসরণ করুন। মুহূর্তেই মোবাইলে থাকা ২ হাজার ৪০ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।’ তিনি বলেন, বিকাশের এ্যাপস ব্যবহার করে প্রতারণা করা হয়েছে। এর সঙ্গে এজেন্টরা জড়িত রয়েছে বলে তিনি জানান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তুলনামূলকভাবে যারা অসচেতন তাদের ভুল বুঝিয়ে প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অন্যের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বড় ধরনের সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় রয়েছে। অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও দক্ষ কায়দায় তারা দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের টাকা লুটে নিচ্ছে। তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন অবসরে যাওয়া সরকারী চাকরিজীবী, সেনা কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর থেকে শুরেু করে সুশীল সমাজের সদস্যরা পর্যন্ত। এ প্রসঙ্গে দেশের শীর্ষ মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন্স শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। ‘আমাদের গ্রাহকদের বলব, যদি এমন পরিস্থিতির কেউ শিকার হয় তাহলে অবশ্যই যেন আমাদের কাস্টমার কেয়ারে বিষয়টি জানায়।’ তিনি আরও বলেন, প্রতারণা থেকে বাঁচতে বিকাশ কর্তৃপক্ষ ৪টি সতর্কতামূলক বার্তা দিচ্ছে। এসব অনুসরণ করলে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ১. নিজের বিকাশ এ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও এ্যাকাউন্ট ব্যালান্স কখনও কাউকে বলবেন না। ২. ফোনে কেউ যদি আপনাকে ভুল করে টাকা পাঠানোর কথা বলে ফেরত চায় সন্দেহ হলে এ্যাকাউন্ট ব্যালান্স চেক করুন। ৩. কারো প্ররোচনায় লটারি জেতার মিথা আশায় কোন লেনদেন করবেন না। ৪. ফোনে শুধু কারো কথা শুনে পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে কারো নির্দেশনায় কোন নম্বর ডায়াল করবেন না বা টাকা পাঠাবেন না।এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, এ ধরনের অপরাধ আমাদের নজরে আছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। কিছুদিন ধরে এ ধরনের অভিযোগ বেশি পরিমাণে আসছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যানুযায়ী, ডিজিটাল প্রতারণার শীর্ষে আছে মোবাইল ব্যাংকিং। প্রযুক্তিগত সুবিধার অপব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের প্রতারিত করতে গড়ে উঠেছে বিশাল প্রতারকচক্র। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ৩৭৪ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশে গড়ে অন্তত দুটি করে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ছে। বর্তমানে এ ধরনের মামলার সংখ্যা রয়েছে ২২৫টি। নিরক্ষর ব্যক্তিরা মোবাইল ব্যাংকিং বেশি ব্যবহার করলেও প্রতারিতদের প্রায় সবাই শিক্ষিত গ্রাহক বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনার পাশাপাশি অপরাধ কর্মকান্ডের অর্থ লেনদেনেও ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং। এই ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত এজেন্টের বিরুদ্ধেও আছে নানা অভিযোগ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন সময় ২৭ জন এজেন্ট গ্রেফতারও হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ লেনদেন ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছে। জানা যায়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক ঢাকা বিভাগে। দেশের মোট গ্রাহকের ২৪ শতাংশই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। ১৮ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম বিভাগ। বাকি গ্রাহক দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দা। পুলিশের তথ্যানুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা সবচেয়ে বেশি হয় ঢাকা বিভাগে। আর প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের বড় অংশই ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও কুমিল্লার বাসিন্দা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য বলছে, অপরাধীরা অর্থ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে মোবাইল ব্যাংকি। ১৫ ধরনের অপরাধ কর্মকা-ের অর্থ লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার চিহ্নিত করা হয়েছে। তথ্য বলছে, মাদক ব্যবসা, মানবপাচার, চোরাচালান, চাঁদাবাজি, হত্যা, অপহরণ, হুন্ডি, জালিয়াতি, জিনের বাদশা, হ্যালো পার্টি, প্রতারণা, মুক্তিপণ আদায়, প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রবাসীদের জিম্মি করে টাকা আদায় ও ধর্মভিত্তিক জঙ্গি কর্মকা-ের মতো অপরাধের ঘটনায় টাকা লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং। গ্রাহকের টাকা আত্মসাত করতে প্রতারকচক্র সবসময়ই তৎপর থাকে। আর হুন্ডি, মাদক ও চোরাচালানের অর্থ লেনদেনে জড়িত রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্টরা। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বিকাশ, রকেটসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত দুই হাজার ৮৮৮ জন এজেন্টের একটি তালিকা সিআইডির কাছে পাঠায়। তাদের অস্বাভাবিক লেনদেন খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করে বিএফআইইউ। সেখান থেকে সিআইডি অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনকারী ২৫ বিকাশ এজেন্টকে চিহ্নিত করে। পরে তাদের গ্রেফতার করতে অভিযানও চালায় সিআইডি। গত বছরের জানুয়ারিতে সিআইডির অভিযানে গ্রেফতার হয় ১১ জন এজেন্ট। সিআইডি ছাড়াও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাবের অভিযানে বিভিন্ন সময় আরও ১৬ জন এজেন্ট গ্রেফতার হয়। ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ভুয়া এ্যাকাউন্ট খুলে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে রাজধানীর ডেমরা থেকে বিকাশের তিন এজেন্ট গ্রেফতারের ঘটনা ছিল আলোচিত। গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৩০০ মোবাইল সিম, ৯০০ ছবি ও ৮৫০টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ভুয়া এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করত বলে সেসময় জানিয়েছিল গোয়েন্দা পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ‘লোভ বা সুযোগের কথা বলে প্রতারকরা গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অধিকাংশ গ্রাহকই সঠিকভাবে মোবাইল ব্যাংকিং বোঝেন না বলে জানান তিনি। মাসুদুর রহমান বলেন, নিয়মানুযায়ী টাকা লেনদেন করছেন না মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টরা। তারা গ্রাহকদের তথ্য সংরক্ষণে সচেতন না। এজেন্টদের কাছ থেকেই মূলত গ্রাহকের নম্বর সংগ্রহ করে প্রতারকরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকের ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেনের প্রতিটি পর্যায়ে রেকর্ড থাকে। ফলে এ ক্ষেত্রে অনিয়ম কিংবা সন্দেহজনক লেনদেনের ঝুঁকি নেই। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাইয়ের মাধ্যমে সিমকার্ড নিবন্ধন করার কারণে এ্যাকাউন্টধারী গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করাও সহজ হয়েছে। কিন্তু এজেন্টের মাধ্যমেই অনিয়মের ঝুঁকি এবং সন্দেহজনক কিংবা অনিয়মের মাধ্যমে লেনদেনের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এজেন্টদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও নিজস্ব নিয়মে নজর রাখছে। অনিয়ম পাওয়া গেলে এজেন্টের নিবন্ধন বাতিল করা হচ্ছে।
×