ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহ-জামালপুর

খানাখন্দে ভরা সড়ক

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ৪ মে ২০১৯

খানাখন্দে ভরা সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহ জামালপুর সড়কের বেহাল দশায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এলাকাবাসীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছে প্রসূতিসহ জরুরী রোগীরা। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকির মোড় থেকে চেচুয়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা এমনই বেহাল যে স্বাভাবিক গতি নিয়ে চলাচল করতে পারছে না কোন যানবাহন। সড়কের এই বেহাল দশার কারণে মানুষের দুর্ভোগের সঙ্গে বাড়তি ভাড়াও গুণতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে গন্তব্যে যেতে সময়ও লাগছে বেশি। প্রায়ই বিকল হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন। প্রায় এক দশক ধরে সড়কটির উন্নয়নের নামে দুইপাশের মাটি কেটে গর্ত করে রাখা হয়েছে। সড়কের সিলকোট ও কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য খানাখন্দ। অথচ এটি দেখার কেউ নেই! ঠিকাদার ও সড়ক কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই দুর্ভোগ বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী নানা শ্রেণী পেশার মানুষের। সামনের ঈদে এই ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকারের ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের কাজ করছে শামীম এন্টার প্রাইজ। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ময়মনসিংহ জামালপুর সড়কের ব্যস্ততম মোড় চেচুয়া বাজারজুড়ে সড়কের সিলকোট ও কার্পেটিং উঠে গেছে বেশ আগেই। এই স্থানে ছোট বড় গর্ত ভরাট করতে ফেলা হয়েছে আধলা ইটের সঙ্গে বালু মাটি। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে কাদাজলে একাকার অবস্থা হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি একটু বেশি বৃষ্টি হলেই চেচুয়া বাজারের এই জায়গায় হাটু সমান পানি জমে থাকে। এ সময় এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকছে না। এ সময় ময়মনসিংহ জামালপুর সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন বিকল হয়ে এই জায়গায় আটকে যাচ্ছে। যানবাহন বিকলের কারণে এ সময় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। জরুরী প্রয়োজনেও এ সময় গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না কর্মজীবীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। প্রসূতিসহ জরুরী রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছাতে এ সময় ভোগান্তির সীমা থাকছে না। স্থানীয় সিএনজি অটোরিক্সা চালক বাবুল মিয়া(৩০) ও চেচুয়া বাজারের ব্যবসায়ী আলম(৩০) এর দাবি সড়কের এমন বেহাল দশার কারণে জরুরী রোগীরা অনেক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে, প্রসবের ঘটনা ঘটছে বেহাল রাস্তার ওপর। সড়কের এই বেহাল দশা ঘোচাতে চেচুয়া বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উদ্যোগ নিয়ে নিজেদের টাকায় একাধিকবার গর্ত ভরাট করতে বালু মাটি ও ইট ফেলেছিল। কিন্তু টেকেনি। ময়মনসিংহ জামালপুর সড়কের পদুরবাড়ি, পাকিস্তান বাজার, ঘাটুরি ও বটতলাসহ বিভিন্ন জায়গায় সিলকোট ও কার্পেটিং উঠে ছোট বড় গর্ত হা করে থাকছে। ঘাটুরি ও বটতলায় ছোট বড় গর্ত ঢাকতে আধলা ইট ফেলা হয়েছে। বটতলায় প্রায় ৫০০ মিটার সড়কজুড়ে এ রকম ইট ফেলে জোড়াতালি দিয়ে সচল রাখা হয়েছে সড়কটি। ঘাটুরি এলাকায় সড়কের উন্নয়নে দুই পাশের মাটি কেটে গর্ত করে ফেলে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ভাবকির মোড় থেকে চেচুয়া অভিমুখে সড়কের দুইপাশে কাটা গর্তের ওপর স্তুপ করে ফেলে রাখা হয়েছে ইট সুরকির সঙ্গে বালুমাটি। ফলে ঘাটুরি, বটতলা ও পাকিস্তান বাজার এলাকায় যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকি নিতে হচ্ছে চালকদের। বেহাল সড়কের কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় বেশি লাগছে-সেই সঙ্গে বাড়তি ভাড়াও গুণতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। সড়কের বেহাল দশা সম্পর্কে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান জানান, সড়কটির উন্নয়নে কাজ চলছে। ধীরগতির কাজের জন্য কিছুটা সমস্যা হলেও কাজ শেষ হলে এই সমস্যা থাকবে না।
×