ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কয়েক দেশে সামরিক ঘাঁটি গড়বে চীন

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ৪ মে ২০১৯

 কয়েক দেশে সামরিক  ঘাঁটি গড়বে চীন

চীন বিশ্বব্যাপী কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি বানাবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। বেল্ট এ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ সুরক্ষায় তারা মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি বানাতে পারে। বৃহস্পতিবার পেন্টাগনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চীন তার বিশাল বৈশ্বিক অবকাঠামো কর্মসূচী ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী সামরিক ঘাঁটি করবে বলে ধারণা করছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর। বর্তমানে চীনের বাইরে একমাত্র জিবুতিতে বেজিংয়ের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে কয়েক দেশে সামরিক ঘাঁটি করার পরিকল্পনা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সম্ভবত পাকিস্তানও রয়েছে। চীনা সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা বিষয়ে কংগ্রেসে পেশ করা পেন্টাগনের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’সহ বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতির সুরক্ষায় সম্ভবত বিভিন্ন দেশে সামরিক ঘাঁটি করার চিন্তা করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব দেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কৌশলগত মিল রয়েছে সেসব দেশে আরও সামরিক ঘাঁটি করার চেষ্টা করবে চীন। এর মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে। এসব ঘাঁটিতে বিদেশী সৈন্যও থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পিপল’স লিবারেশন আর্মির সর্বক্ষণিক উপস্থিতি অন্য দেশগুলোর উদ্বেগের কারণ হতে পারে। সামরিক ঘাঁটির সম্ভাব্য জায়গা হতে পারে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। পেন্টাগন আরও সতর্ক করেছিল যে, আর্কটিক অঞ্চলে চীনের ব্যাপক কার্যক্রমের ফলে সামরিক উপস্থিতি আরও জোরদার করার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। এসবের মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক হামলা নিরুৎসাহিত করতে সাবমেরিন মোতায়েন। চীনের সশস্ত্র বাহিনীর বিষয়ে এসব মূল্যায়ন কংগ্রেসে মার্কিন সামরিক বাহিনীর পেশ করা বার্ষিক প্রতিবেদনেও সংযুক্ত করা হয়েছে। পেন্টাগনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রীনল্যান্ডের দিকে চীনের মনোযোগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডেনমার্ক। প্রতিবেদনে গ্রীনল্যান্ডে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব, উপগ্রহ গ্রাউন্ড স্টেশন, বিমানবন্দর সংস্কার ও খনির উন্নয়নের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বেসামরিক গবেষণা আর্কটিক মহাসাগরে চীনা সামরিক বাহিনীর জোরালো উপস্থিতির জন্য সহায়ক হতে পারে। এর মধ্যে পারমানবিক হামলা প্রতিরোধে সাবমেরিন মোতায়েনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এরই মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরে সুসজ্জিত সামরিক নিরাপত্তা চৌকি প্রতিষ্ঠা করেছে চীন। গত বছর উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের ওয়াখান করিডোরে ঘাঁটির বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে জানা যায়। ওয়াশিংটন পোস্ট সম্প্রতি পাকিস্তান, চীন ও ওয়াখান করিডোরের কৌশলগত সংযোগস্থলের কাছে তাজিকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে একটি আউটপোস্ট শনাক্ত করেছে, যেখানে বহু চীনা দেখা গেছে।-গার্ডিয়ান
×