ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাসাঞ্জের ৫০ সপ্তাহের কারাদন্ড

প্রকাশিত: ১১:৫০, ৩ মে ২০১৯

 এ্যাসাঞ্জের ৫০ সপ্তাহের কারাদন্ড

জামিন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫০ সপ্তাহের কারাদন্ড দিয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্ট বুধবার এ রায় দেয় বলে জানায় বিবিসি। প্রায় সাত বছর আগে যুক্তরাজ্যের একটি আদালত থেকে জামিন নেয়ার পর লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন এ্যাসাঞ্জ। সেখান থেকে তিনি আর বের হননি। মূলত সুইডেনে তার বিরুদ্ধে হওয়া ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার এবং বহির্সমর্পণ এড়াতে ২০১২ সালে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন এ্যাসাঞ্জ। যদিও পরে তার বিরুদ্ধে হওয়া ওই ধর্ষণ মামলা খারিজ হয়ে যায়। তারপরও এ্যাসাঞ্জ দূতাবাস ছাড়েননি। বুধবার সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালতে এ্যাসঞ্জের একটি চিঠি পড়ে শোনানো হয়। চিঠিতে এ্যাসাঞ্জ বলেন, তাকে বিভিন্ন সময় নানান কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘যারা ভাবছেন আমি তাদের অসম্মান করেছি, তাদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ওই সময়ে আমার কাছে যেটা সবচেয়ে ভাল মনে হয়েছে আমি সেটাই করেছি অথবা হয়ত একমাত্র সেটাই আমি করতে পারতাম।’ এ্যাসাঞ্জের অসহায় অবস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরিত হতে পারেন আতঙ্কে তিনি এমনটা করতে বাধ্য হয়েছেন জানিয়ে তার আইনজীবী মার্ক সামার্স সাজা হ্রাসের আবেদন করেন বলে জানায় বিবিসি। আদালতে সামার্স বলেন, গত কয়েক বছর ধরে তার মক্কেল যুক্তরাষ্ট্রে বহির্সমর্পণ করা হতে পারে আতঙ্কের মধ্যে জীবন কাটিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় বিচারক ডেবরাহ টেইলর বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে থেকেও আপনি ইকুয়েডরের দূতাবাসে লুকিয়ে থেকে ইচ্ছা করে নিজেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রেখেছেন। আপনার এ কাজ যে সুইডেনের বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলেছে, সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।’ এ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে যুক্তরাজ্য। -এএফপি
×