ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বুড়িগঙ্গায় দূষণ রোধে কী ব্যবস্থা- জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ১১:০৩, ৩ মে ২০১৯

 বুড়িগঙ্গায় দূষণ রোধে কী ব্যবস্থা- জানতে চেয়েছে  হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উচ্চ আদালতের ২০১১ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী বুড়িগঙ্গার পানির দূষণ রোধে কি কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, আদৌ নেয়া হয়েছে কি না এবং নিয়ে থাকলে কী ধরনের উন্নয়ন ঘটেছে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে হবে। প্রায় আটবছর আগে যাদের আবেদনে উচ্চ আদালত রায় দিয়েছিলেন, সেই সংগঠনের পক্ষে এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আগামী ২০ মে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছে আদালত। রিট আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল এএস এম নাজমুল হক। হাইকোর্টের আদেশের পর রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বুড়িগঙ্গা ভিজিট করতে গিয়ে দেখলাম যে, বুড়িগঙ্গার পানির অবস্থা একই রকম। স্যুয়ারেজ লাইন বুড়িগঙ্গায় গিয়ে পড়েছে। শ্যামপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার লাইনগুলোও বুড়িগঙ্গায় এসে পড়ছে, ময়লাও ফেলা হচ্ছে। পরিদর্শনের এই অভিজ্ঞতা থেকেই আবেদনটি করা হয়।’ এর আগে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য ফেলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তিন দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০১১ সালের ১ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। বুড়িগঙ্গার ভেতরে যে সমস্ত সুয়ারেজ লাইন আছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইন আছে সেগুলো ছয় মাসের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশের পাশাপাশি বুড়িগঙ্গার তীরে যাতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে না পারে সে জন্য সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করার জন্য বলা হয়েছিল রায়ে। কি কারণে মনে হয়েছে আদালতের নির্দেশনা পুরোপুরি মানা হয়নি বা বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ ঘটছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটকারী আইনজীবী বলেন, এ মামলাটি একটি চলমান মামলা। পরিদর্শনের এই অভিজ্ঞতা থেকেই আবেদনটি করা হয়েছে।
×