ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের লক্ষ্য আজ শিরোপা প্রতিপক্ষ লাওস

প্রকাশিত: ১১:০২, ৩ মে ২০১৯

  বাংলাদেশের লক্ষ্য আজ শিরোপা প্রতিপক্ষ লাওস

রুমেল খান ॥ দু’দলই নিজ গ্রুপের সেরা দল। দু’দলই টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত সবচেয়ে কম গোল (১টি) হজম করেছে। দু’দলই নাম লিখিয়েছে ফাইনালে। দু’দলই জিততে চায় সোনার কাপ। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। বাংলাদেশ বনাম লাওস ফাইনাল ম্যাচের কথাই বলছি। যা অনুষ্ঠিত হবে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায়। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এই ফাইনালে যারাই জিতবে তারাই পরিণত হবে ‘বঙ্গমাতা অনুর্ধ-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ’ ফুটবলের প্রথম আসরের প্রথম চ্যাম্পিয়ন দল। শিরোপা জিততে মুখিয়ে আছে উভয় দলই। দু’দল কোন পর্যায়েই কখনও মুখোমুখি হয়নি। বয়সভিত্তিক মহিলা ফুটবলে (অনুর্ধ-১৪, ১৫, ১৬ ও ১৮) বাংলাদেশ দল এ পর্যন্ত পাঁচটি শিরোপা জিতেছে। সেক্ষেত্রে লাওসের কোন সাফল্যই নেই। যদিও দুই দেশের মহিলা ফুটবল শুরুর সময়কালটাও প্রায় কাছাকাছি। বাংলাদেশের যেখানে ২০০১ সালে আরম্ভ, সেখানে লাওসের যাত্রা শুরু ২০০৫ সালে। কিন্তু এসব পরিসংখ্যানে তেমন আশাবাদী হতে পারছে না বিভিন্ন ফুটবলবোদ্ধারা। কেননা তাদের মতে এই আসরে বাংলাদেশের চেয়ে লাওসই অনেক শক্তিশালী ও গোছালো দল। গতি, স্কিল এবং গোল করার ফিনিশিংয়ে তারা স্বাগতিক দলের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে তাদের উচ্চতা ও স্বাস্থ্য বাংলাদেশী ফুটবলারদের মতোই। যেখানে তাদের ফরোয়ার্ড কেওটা পিই একাই করেছেন ৮ গোল, সেখানে পুরো বাংলাদেশ দলের গোলসংখ্যা মোটে ৭। তাছাড়া যেখানে লাওস দলের কোন ইনজুরি সমস্যা নেই, সেখানে বাংলাদেশ দলের দুই ফরোয়ার্ড চোটগ্রস্ত। অবশ্য আজ ফাইনালে সিরাত জাহান স্বপ্না খেলতে না পারলেও খেলার সম্ভাবনা রয়েছে কৃষ্ণা রানী সরকারের। ফুটবলের বাইরে বাংলাদেশ-লাওসকে নিয়ে ব্যতিক্রমী কিছু তথ্য পাঠকদের দেয়া যাক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে বলা হয় রিক্সার শহর, মসজিদের শহর। লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনকে বলা হয় ‘চন্দন গাছের শহর’ (কথিত আছে, প্রাচীনকালে এ শহরে প্রচুর চন্দন গাছ ছিল। ভিয়েনতিয়েন সমতলভূমি। গোটা শহরটি বেষ্টন করে আছে মেকং নদী। দূর থেকে দেখলে চাঁদের মতো মনে হয়। এ জন্য ভিয়েনতিয়েনের আরেক নাম ‘চাঁদ শহর’। দেশটিকে বুদ্ধা পার্ক, পবিত্র পাহাড়ের দেশও বলা হয়)। বাংলাদেশ যেমন দক্ষিণ এশিয়ার নদীমাতৃক দেশ, তেমনি লাওস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র স্থলবেষ্টিত দেশ। মজার ব্যাপার- দেশটিতে কোন রেল যোগাযোগই নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান যেমন বাংলাদেশের মাটিতে বোমা ফেলেছে, তেমনি ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় লাওসেও প্রায় ২ মিলিয়ন টনেরও বেশি বোমা ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য দেশটিকে সবচেয়ে বেশি বোমাবর্ষণের দেশও বলা হয়। তবে বিস্ময়কর ব্যাপার- বোমাগুলোর ৩০ শতাংশই অবিস্ফোরিত থেকে যায়। ফলে নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশটির অনেক অংশেই কৃষিকাজ করা হয় না। বাংলাদেশেও এখনও প্রায়ই মাটিতে পুঁতে রাখা বোমা-মাইন পাওয়া যায়।
×