ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশে নৌচলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: ১১:০১, ৩ মে ২০১৯

 সারাদেশে নৌচলাচল বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফণীর প্রভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ সকল নৌচলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি জরুরী বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে সকল নৌযানকে নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে ফণীর বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি পৃথক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) খুলেছে। বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সাত নম্বর, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ছয় নম্বর এবং কক্সবাজার বন্দরে চার নম্বর আবহাওয়া সঙ্কেত বলবৎ থাকায় যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে সকল যাত্রীবাহী নৌযানকে এই নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছে বিআইডব্লিটিএ। অন্যদিকে সচিবালয়ে স্থাপন করা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম নম্বর হলো ৮০১/ক এবং এর টেলিফোন নম্বর ০২-৯৫৪৬০৭২। ঘূর্ণিঝড় ফণির সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরী তথ্য ও নির্দেশনা আদান-প্রদানের জন্য এ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ফণি বাংলাদেশ উপকূলের ৯১৫ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার পর সতর্কতার মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে শুক্রবার ভারতের পুরীর কাছে গোপালপুর ও চাঁদবালির মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এরপর সন্ধ্যার দিকে ফণি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে পৌঁছাতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ চলাচল বন্ধ ॥ স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত মোকাবেলায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ফেরিসহ সকল নৌযান। বিআইডব্লিউটিসির এজিএম শাহ মোঃ বরকতউল্লাহ জানান, ফণীর আঘাত থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে বৃহস্পতিবার রাতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নদীতে ৪ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত রয়েছে। তাই নিরাপত্তার জন্যই ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
×