ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষতি কমিয়ে আনতে নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত: ১১:০০, ৩ মে ২০১৯

 ক্ষতি কমিয়ে আনতে নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশে আঘাত হানলে ক্ষতি কমিয়ে আনতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতির পাশাপাশি এ নির্দেশনা বাড়তি শক্তি হিসেবে কাজ করবে।’ খবর ওয়েবসাইটের। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিভিন্ন দুর্যোগে গণমাধ্যমের করণীয় বিষয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আসন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগকে ক্ষতি কমিয়ে আনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ্ কামাল বলেন, আমরা পূর্বপ্রস্তুতি নিয়েছি। শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে, মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। আমরা একটি প্রাণও হারাতে চাই না। ফণীর জন্য পূর্ব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ॥ এদিকে বাসস জানায়, সরকারী সফরে বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সকল পূর্ব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য সকল বিভাগকে সব ধরনের পূর্ব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের এবং সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্রিটেনের রাজধানী থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে মনিটর করছেন। এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের এক সংবাদ বুলেটিনে বলা হয়, অত্যন্ত প্রচ- ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এখন বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম-মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। বুলেটিনে বলা হয়, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
×