ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কোটি টাকা প্রতারণা রাজধানীতে ১৫ প্রতারক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ৩ মে ২০১৯

 কোটি টাকা প্রতারণা রাজধানীতে ১৫ প্রতারক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাওয়ার কয়েন, ম্যাগনেটিক পিলার, তক্ষক, ভাঙ্গা জাহাজের লোহা, বিদেশী কাপড় দেশে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীতে ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এরা এক দশকের বেশি সময় ধরে দুই শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো নূরুল ইসলাম, মিনার মিয়া, মিজান, তোফাজ্জল করিম তানভির, আক্তার ফারুক, মোঃ রাজু, গোলাম মোস্তফা শাকিল, মোঃ শাকিল খান, জাহাঙ্গীরুল আবেদীন, আজগর আলী হাওলাদার, সিরাজুল ইসলাম, শামীম মিয়া, অজয় চাকী, হারুন উর রশিদ ও তুষার আহমেদ। র‌্যাব জানায়, এরা এক দশকের বেশি সময় ধরে দুই শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার কাওরানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪’র অধিনায়ক চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, বুধবার বিকেল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর কাফরুলসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই প্রতারকদের টার্গেট সচ্ছল ব্যবসায়ীরা। র‌্যাব-৪ অধিনায়ক জানান, প্রতারকরা টার্গেট করে ধনী ব্যবসায়ীদের। এরপর বিভিন্ন ধরনের ধাতব পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখায়। টার্গেটেড ব্যক্তিকে কম দামে পণ্য কেনার সুযোগ দিয়ে ফের তা বিদেশে বেশি দামে বিক্রির ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলে। মঞ্জুরুল কবির জানান, প্রতারণার কৌশল হিসেবে তারা ম্যাগনেটিক কয়েন ব্যবহার করে। এই কয়েনের কার্যকারিতা দেখানোর জন্য ধানের মধ্যে সুইয়ের মাথা লুকিয়ে রাখে। কয়েনটি কাছে নিয়ে আসলে ধান ম্যাগনেটের প্রভাবে আকর্ষিত হয়। এটা দেখিয়ে কয়েনগুলো অনেক মূল্যবান বলে তা বিক্রির প্রলোভন দেয়া হয়। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে কেউ ওই কয়েন কিনতে চাইলে কোটি টাকার বিনিময়ে তা বিক্রি করত। অগ্রিম হিসেবে ক্রেতার কাছ থেকে তারা ১০ থেকে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে নিত। এরপর সেগুলো বিদেশে বিক্রি করে দেয়ার কথা বলত প্রতারকরা। কয়েন কেনার পর টার্গেটেড ব্যক্তিকে না চেনার ভান করত প্রতারকরা এবং বাড়াবাড়ি করলে হুমকি দিত। র‌্যাব-৪’র অধিনায়ক মঞ্জুরুল কবির জানান, একইভাবে প্রতারণার মাধ্যমে শাটিং ফেব্রিক্স, জাহাজ ভাঙ্গা লোহা, ম্যাগনেটিক পিলারসহ তক্ষকও বিক্রি করত এই চক্রটি। তক্ষক বিক্রির কৌশল সম্পর্কে র‌্যাব-৪’র এই কর্মকর্তা জানান, প্রতারকচক্রের এজেন্টরা ভিকটিমদের জানায়, যদি ১৫ ইঞ্চির বড় এবং তক্ষকের ওজন কমপক্ষে ২৫৩ গ্রাম হয়, তাহলে ওই তক্ষকের মূল্য ১০০ থেকে ২০০ কোটি টাকা। প্রতারকচক্রের সদস্যরা টার্গেট ব্যক্তিদের কম দামে তক্ষক কিনে কোটি কোটি টাকা উপার্জনের লোভনীয় অফার দেয়। ভিকটিম যখন তক্ষক কেনার জন্য রাজি হন। তখন প্রতারকচক্রের সদস্যরা কৌশলে ছোট ভিডিও’র মাধ্যমে তক্ষক দেখায়। ভিকটিমের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। মাদক বিক্রেতা দম্পতি গ্রেফতার ॥ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মাদক বিক্রির প্রায় ১৫ লাখ টাকাসহ মাদক বিক্রেতা দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মোঃ জহিরুল ইসলাম (৩৩) ও তার স্ত্রী রিপা আক্তার (২২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৫০ পিস ইয়াবা ও ২০ মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
×