ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্য মায়ের আহাজারি

প্রকাশিত: ১০:১১, ৩ মে ২০১৯

 প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্য মায়ের আহাজারি

মা হয়ে ওঠা যে কোন মেয়ের আকাক্সিক্ষত স্বপ্ন। একেবারে শিশু বয়স থেকেই যে কোন মেয়ের অন্তরে মাতৃত্বের অনুভব একেবারে সহজাত। যা তার পুতুল খেলার মধ্য দিয়ে সবাই জেনে যায়। সুস্থ, স্বাভাবিক এবং মানসিকভাবে সুসংহত একটি সন্তান যে কোন মায়ের চিরায়ত বোধ। নয় মাস নয় দিন জঠরে লালন করে যে সন্তানটিকে পৃথিবীর আলো দেখানো হয় সেই আলোর দ্যুতি ছড়ায় মায়ের সারা শরীরেও। এমন আলোকিত অনুভবে মায়ের চোখের সামনে তারই স্নেহছায়ায় বড় হতে থাকে আরাধ্য সন্তান। সত্যিই আরাধনার এমন সম্পদ মাতৃহৃদয়কে করে ঐশ্বর্যময়। মা ব্যাকুল নয়নে প্রত্যক্ষ করতে থাকে তার সন্তানের শরীর ও মনের পরিপক্বতা, স্বাভাবিকতা এবং বয়সের মাপকাঠিতে তার সহজাত বৃদ্ধি। সেটা শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক থেকেই। কিন্তু কিছু অসহায় মা তার বেড়ে ওঠা সন্তানের মধ্যে এমন আস্বাভাবিক গড়ন লক্ষ্য করতে থাকেন যা কোন সুস্থ বাচ্চার জন্য অসঙ্গতিপূর্ণ। যেমন বয়সের মাত্রায় তার গড়ন যথাযথ নয়, হাত-পা-অত্যধিক পাতলা, কানে শোনে না, মাথা শরীরের তুলনায় বেশ বড় কিংবা চোখে দেখতে পায় না। এ তো গেল শরীর সম্পর্কিত অসঙ্গতি। এর পরেও আছে মানসিক ভারসাম্যহীনতা। স্পষ্ট করে কথা বলতে না পারা, বুদ্ধিমত্তায় সমবয়সীদের থেকে পেছনে পড়া, কারণে-অকারণে ক্ষেপে যাওয়া, অনর্থক হাসা কিংবা কাঁদা, স্বাভাবিক ধীর এবং স্থিরতার ঘাটতি। এ সবই আর উদ্বেগ নিয়ে অসহায় মা তার বিশেষ সন্তানটিকে নজরদারিতে রেখে এক সময় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তেমনই একজন দুঃখী মা ফরিদা ইয়াছমিন। সিরাজগঞ্জ জেলার এক নিভৃত গ্রামের বাসিন্দা এই মায়ের অসুস্থ ছেলেটি আজ শয্যাশায়ী। তেইশ বছর বয়সী আবদুল্লাহ আল মামুন শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় অনেকটাই বালকের সমপর্যায়ে। বয়সের সঙ্গে যে স্বাভাবিক বৃদ্ধি তাকে তরুণ থেকে যুবকের কাতারে নিয়ে যাবে সেটাকে অর্জন করা একেবারে সাধ্যাতীত। নড়াচড়ার ক্ষমতা নেই। বুদ্ধি বিবেচনার জায়গাটিও দুর্বল। মায়ের সাহায্য ছাড়া এক মুহূর্ত চলা যার পক্ষে সাধ্যাতীত সে সত্যিই এক অভাগা এবং ভাগ্যবিড়ম্বিত ছেলে। কঙ্কালসার অবস্থায় বিকলাঙ্গ দেহ বিছানায় পড়ে আছে। দুর্ভাগ্যের বোঝা বহন করেও স্নেহময়ী জননী কোন সেবা এবং চিকিৎসার বেলায় সামান্যতম ত্রুটি রাখেননি। প্রায় ২০ বছর ধরে এই অসুস্থ সন্তানটির জন্য বাবা-মা সহায় সম্পদ বিক্রি করে একেবারে দীনহীন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। এখন সমাজের বিত্তশালী মানুষদের কাছে সাহায্য চাইতেও তারা অকুণ্ঠিত। কারণ ছেলেটা নিঃসহায় অবস্থায় বেঁচে আছে। তাকে বাঁচাতে আরও অর্থের প্রয়োজন। আরও উন্নতমানের চিকিৎসায় তার শরীর-মনের স্বাভাবিক বিকাশ হয়ত বা কোন একদিন আয়ত্তে এসে যাবে। সেই সুখ-স্বপ্ন দেখার চাইতেও সেবা এবং চিকিৎসার মান বাড়াতে বাবা-মা হন্য হয়ে সাহায্যের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। যতদিন আয়ু আছে ততদিন তো তাকে সুস্থভাবে টিকে থাকতে হবে। সেই আকাক্সক্ষায় ক্ষমতাবান এবং সচ্ছল ব্যক্তিবর্গের কাছে আর্থিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে মামুনের পিতা-মাতা। বিত্তহীন আর নিঃস্ব এই দম্পতির এই মুহূর্তে তেমন কোন সামর্থ্যও নেই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার। এমন অসহায় ছেলে এবং তার বাবা-মাকে অর্থ সাহায্য দিয়ে যদি সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে এর থেকে মঙ্গল আর কিছু হতে পারে না। মানুষের মানবিক মূল্যবোধ, মনুষ্যত্বে দীপ্ত চেতনায় অসুস্থ ও সম্বলহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলে আর্ত আর পীড়িতদের সেবায় উৎসর্গ করা সেও এক অনন্য নজির। সবশেষে বাবা-মার আর্তনাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার অনুরোধ থাকল। যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি এই করুণ আবেদনের সাড়া দেন তার জন্য একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে দেয়া হলো যাতে টাকা পাঠানো যাবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য মোবাইল নং-০১৭২০-৪৫৭৩১৮ (বিকাশ) নগদ এ্যাকাউন্ট-০১৮৪৫-৩৬৬১৪৫। অপরাজিতা প্রতিবেদক
×