ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোর শহরে ৬ শিশুকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ৩ মে ২০১৯

 যশোর শহরে ৬ শিশুকে  পর্যায়ক্রমে ধর্ষণের  অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ শহরের খড়কী এলাকার আমিনুর রহমান (৪৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে অব্যাহত ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর এই অভিযোগের পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ভিকটিম শিশুদের পরিবারের সদস্যসহ এলাকার লোকজন বুধবার সকালে বিক্ষোভ করেছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুদের যশোর আড়াই শ’ শয্যা হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল দশটার দিকে শিশুদের অভিভাবকসহ স্থানীয় লোকজন শহরের খড়কী এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ‘দোষীকে গ্রেফতার করা হবে’ জানালে পরিস্থিতি শান্ত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী শিশুদের অভিভাবকরা জানান, খড়কী দক্ষিণপাড়া পীরবাড়ির আব্দুল হালিমের ছেলে আমিনুর। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায়। তিনি ৩ মেয়েসন্তানের জনক এবং লম্পট প্রকৃতির। তিনি স্থানীয় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় শিশুকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে আসছেন। ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণীর এসব শিশুকে চকোলেট, আমসহ নানা খাবার খাইয়ে ও খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তিনি এই অপকর্ম করে আসছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী আরা বলেন, গত ২৮ এপ্রিল স্কুলের পরীক্ষায় পাঁচ শিশু অনুপস্থিত ছিল। কেন তারা অনুপস্থিত, সে বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি জানতে পারি। পরদিন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করা হয়। সেখানে ভুক্তভোগী তিন মেয়ে আমাদের জানায়, আমিনুর তাদের খাবার কিনে দিয়ে ওইসব খারাপ কাজ করেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সেদিনই আমাকে আহ্বায়ক করে স্কুল কমিটির সভাপতি শাহ মোহাম্মদ কামরুল হাসানসহ চারজনকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বুধবার সকালে আমাদের ওই কমিটির মিটিং চলছিল। ঠিক ওই সময় অভিভাবক, স্থানীয় লোকজন আর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহ মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, আমরা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেব। কিন্তু এরই মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আনারুল ইসলাম, শুকুর আলী, রেশমা বেগম, কামরুন নাহার, নুরুন্নাহার প্রমুখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমিনুর রহমানের তিনটি মেয়েসন্তান রয়েছে। কয়েকদিন পর সে নানা হবে। আর এমন সময়ে অন্যের বাচ্চা মেয়েদের ধর্ষণ করল। এই নরপিশাচের প্রকাশ্যে ফাঁসি হওয়া উচিত। যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
×