ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রেণীকক্ষ সঙ্কট ॥ স্কুল বারান্দায় পাঠদান

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ৩ মে ২০১৯

শ্রেণীকক্ষ সঙ্কট ॥ স্কুল বারান্দায় পাঠদান

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২ মে ॥ নানা সমস্যায় জর্জরিত নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মনোহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শ্রেণীকক্ষের সংকট, বৈদ্যুতিক ফ্যান না থাকাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পাঠদান কার্যক্রম দিন দিন মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ে শ্রেণী কক্ষ সঙ্কটের কারণে বাধ্য হয়ে বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানোর পরও কোন সমাধান মিলেনি। জানা গেছে, উপজেলার একডালা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে অবস্থিত মনোহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি ১৯৯১ সালে স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে ছেলেমেয়েদের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে স্থাপন করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১৬ জানুয়ারিতে বিদ্যালয়টি রেজিস্টার্ড ভুক্ত হলে ২০০২ সালে তিন কক্ষ বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত সরকারী বরাদ্দে আর কোন নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়ায় শ্রেণীকক্ষ সঙ্কটের কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তিন কক্ষ বিশিষ্ট পুরনো ভবনে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের ১০২ শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করে। প্রতি কক্ষে চারটি করে ফ্যান থাকার কথা থাকলেও রয়েছে দু’টি করে। তাই প্রচন্ড গরমের সময় গাদাগাদি করে শিশুদের বসানোর কারণে পাঠদানের সময় মাঝে-মধ্যে ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলার রহমান বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাই। এলাকার অনেক মানুষ বিদ্যালয়ের এমন অবস্থা দেখে তাদের সন্তানকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে চায় না। শ্রেণীকক্ষ সঙ্কট, বেঞ্চের সঙ্কট, জরুরী কাগজপত্র রাখার জন্য নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ আসবাবপত্র। এই সব সমস্যার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে পাঠদানের পরিবেশ। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে স্থানীরা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমএ মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই বিদ্যালয়ে অবকাঠমোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয়ের যাবতীয় সমস্যা চিহ্নিত করে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর জানানো হয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
×