ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফুটবল ছেড়ে নির্বাসনে নেইমার!

প্রকাশিত: ১২:২৭, ১ মে ২০১৯

ফুটবল ছেড়ে নির্বাসনে  নেইমার!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সম্ভবত ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় অতিবাহিত করছেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার ক্লাব দল পিএসজির হয়ে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। কিছুদিন আগে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন। এবার বাজে আচরণের কারণে ফ্রান্সের ঘরোয়া লীগেও আট ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার। সেটা হলে ফুটবল ছেড়ে একপ্রকার নির্বাসনেই যেতে হবে সাবেক বার্সিলোনা তারকাকে। ফরাসী কাপের ফাইনালে হারের পর এক দর্শককে ঘুষি মারতে গিয়েছিলেন নেইমার। বিশ্রি ওই ঘটনার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ কারণেই নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। গত রবিবার রাতে ফরাসী কাপের ফাইনালে রেনেসের কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় পিএসজি। ম্যাচ শেষে গ্যালারির দর্শকদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন পিএসজির খেলোয়াড়রা রানার্সআপ পদক নেয়ার জন্য। আশপাশের দর্শকরা প্রিয় খেলোয়াড়দের ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন। নেইমারের বিষয়টা পছন্দ হয়নি। এক দর্শকের হাত থেকে ফোন কেড়ে নিতে যান তিনি। শুধু তাই নয়, ফোন নিতে না পেরে তার দিকে ঘুষি মারতে যান নেইমার। পরে পিএসজির অন্য খেলোয়াড়রা নেইমারকে ধরাধরি করে ওপরে নিয়ে যান। নেইমারের এই লজ্জাজনক মুহূর্ত ধরা পড়েছে দর্শকের মোবাইল ফোনে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সেই দর্শক রেনেসের সমর্থক। নেইমার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে সেই দর্শক নাকি বলেছেন, ‘ফুটবলটা কিভাবে খেলতে হয় তা শেখো।’ দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হচ্ছে বোঝা গেলেও নেইমার রেগেমেগে সমর্থককে কী বলেছেন, সেটা জানা যায়নি। তবে যা বোঝা গেছে, নেইমার সম্ভবত বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দোষী প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন তিন ম্যাচ থেকে সর্বোচ্চ আট ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন নেইমার। নেইমারের এমন আচরণে স্বয়ং তার সতীর্থরাই বেজায় নাখোশ। পিএসজি কোচ টমাস টাচেল তো কড়া সমালোচনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে টাচেল বলেন, আপনি একজন সমর্থকের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন না। আপনি সেটা মোটেই করতে পারেন না। হারের পর মঞ্চে উঠতে যাওয়াটা সহজ নয়। আমার জন্যও এটা খুব কঠিন ছিল, সবার জন্যই। কিন্তু আমাদের এটা মেনে নিতে হবে। যদি আমরা হারি, তবে আমাদের সম্মান দেখাতে হবে। এই হারে ফরাসী কাপের আগের চার আসরে শিরোপা জেতা পিএসজিকে চলতি মৌসুমে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে লীগ ওয়ানের শিরোপা নিয়েই। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য নেইমার ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের আচরণ নিয়ে নেইমার এক মন্তব্যে লিখেন, ‘আমি কি খারাপভাবে আচরণ করলাম?’ এমন আচরণের পর কেউই নির্বিকার থাকতে পারে না। আরেক পোস্টে ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার বলেন, কেউই হারতে পছন্দ করে না, তাই আমিও। আমাকে চিনে এমন যে কেউ জানে যে আমি কতটা প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের এবং হার আমাকে কত বেশি ক্ষুব্ধ করে। সেখানে আরও আছে, কিন্তু হার একজন খেলোয়াড়ের জীবনের অংশ, এটা আমাদের পরিণত করে, ভাবতে শেখায় এবং আরও ভাল করতে সাহায্য করে। আবারও খেলতে পেরে, গোল করতে পেরে এবং মাঠে ভাল বোধ করায় আমি খুশি। কিন্তু সবচেয়ে বড় অনুভূতিটা দুঃখের।
×