ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু

প্রকাশিত: ১২:৫৪, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

দেশের দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের দ্বিতীয় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলেও এলএনজি টার্মিনালটির উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে রাত ১০ থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সামিট এলএনজি টার্মিনালটি ক্ষমতার পূর্ণ মাত্রায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করছিল। একই সময় এক্সিলারেট এনার্জির অপর টার্মিনালটি ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট করে এলএনজি সরবরাহ করছিল। সামিট গ্রুপের প্রথান জনসংযোগ কর্মকর্তা রাত সোয়া ১০টার দিকে ফোনে জানান, তাদের টার্মিনালটি রাত ১০টা থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু করেছে। এর আগে সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জানান তাদের টার্মিনালটি গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার জন্য কিছু সময় তারা অপেক্ষা করতে চান। গত বছর এক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনালটি দেশে আসার ৪ মাস পর এলএনজি সরবরাহ শুরু করেছিল। তবে এই টার্মিনালটি দেশে আসার ১০ দিনের মধ্যেই সরবরাহ শুরু করল। কাছাকাছি সময়ে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান জানান, বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে এলএনজি টার্মিনালটি গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে। তবে পাইপ লাইনের সর্বোচ্চ পরিবহন ক্ষমতা ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট হওয়ার কারণে এক্সিলারেট এনার্জির কাছ থেকে কম গ্যাস নেয়া হচ্ছে। তিনি জানান এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ ক্ষমতা অর্জন করেছে। গত ২০ এপ্রিল সামিট গ্রুপের মালিকানাধীন এলএনজি টার্মিনালটি দেশে এসে পৌঁছে। সামিট বলছে, গত ৬ এপ্রিল কাতার থেকে সামিট এলএনজির রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটটি (এফএসআরইউ) বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করে। টার্মিনালটি প্রথম ধাপে এক লাখ ৩৭ হাজার ঘনমিটার এলএনজি নিয়ে এসেছে। যদিও পাইপ লাইন প্রস্তুত না হওয়ার কারণে এখনই এলএনজি টার্মিনাল থেকে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আগামী মে বা জুনে টার্মিনালটি পুরো ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে বলে মনে করছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি। আপাতত ১০০ থেকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস নেয়ার জন্য একটি অস্থায়ী পাইপ লাইন করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া টার্মিনালটি থেকে গ্যাস আনতে আনোয়ারা-মহেশখালি গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।
×