স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এএফসি কাপের আসরে এর আগে দু’বার খেলে একবারও দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া হয়নি ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের। এবার সেই আসরে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই জয় এবং চার দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনী। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় আহমেদাবাদের দ্য এ্যারেনা স্টেডিয়ামে তারা অবতীর্ণ হবে ‘ই’ গ্রুপের লড়াইয়ে। স্বাগতিক হিসেবে তাদের আতিথ্য দেবে ভারতের চেন্নাইন ফুটবল ক্লাব।
তবে এই ম্যাচে আবাহনীকে খেলতে হবে তাদের আক্রমণভাগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সানডে চিজোবাকে ছাড়াই। ভিসা জটিলতার কারণে দলের সঙ্গে সেখানে যেতে পারেননি এই নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড। অথচ গত বছর ভারতে গিয়ে এএফসি কাপে খেলে এসেছেন সানডে। তাকে ছাড়াই এবার ভারতে গিয়ে খেলতে হবে বলে বেশ বেকায়দায় আছে আবাহনী। গত বছর সানডেকে ভারত সফরের জন্য ভিসা দেয়া হয়েছিল। অথচ এখন বলা হয়েছে তাকে নাইজিরিয়া গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এত অল্প সময়ে এটা কিভাবে সম্ভব? এই স্বল্প সময়ের মধ্যে নাইজিরিয়া গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করে সেটি পাওয়া সম্ভব নয় বলে সানডেকে ছাড়াই এএফসি কাপে খেলতে ভারত যেতে হয়েছে আবাহনীকে। যদিও সানডের এই সমস্যার জন্য আবাহনী অবশ্য একটা কাজ করেছিল। সেটা হলো তারা এএফসির কাছে আবেদন করেছির ৩০ এপ্রিলের ম্যাচটা যেন নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করা হয়। কিন্তু আবাহনীর এই আবেদন মঞ্জুর করেনি এএফসি। এই আসরে ‘ই’ গ্রুপে খেলছে ঢাকা আবাহনী, ভারতের মিনার্ভা পাঞ্জাব, চেন্নাই এফসি এবং নেপালের মানাং মার্শিয়াংদি ক্লাব। এই চার দলই ইতোমধ্যে খেলেছে দুটি করে ম্যাচ। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে চেন্নাইন এফসি। আবাহনীরও সমান পয়েন্ট। তবে গোল গড়ে পিছিয়ে আছে তারা। এজন্য তারা আছে দুইয়ে। মিনার্ভা পাঞ্জাব ২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে এবং নেপালের মানাং মার্শিয়াংদি শূন্য পয়েন্ট নিয়ে আছে তলানিতে। চেন্নাই তাদের প্রথম ম্যাচে স্বদেশী পাঞ্জাবের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। এরপর নেপালের মানাংকে তারা হারায় ২-০ গোলে। পক্ষান্তরে আবাহনী তাদের প্রথম ম্যাচে মানাংকে ১-০ গোলে হারায়। পরের ম্যাচে পাঞ্জাবের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে।
আবাহনী গত প্রিমিয়ার লীগের চ্যাম্পিয়ন। মোট ১৭ বারের চ্যাম্পিয়ন তারা। চলতি লীগে তারা আপাতত আছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। এর আগে তারা দু’বার এএফসি কাপ খেলেছে (২০১৭ ও ২০১৮ সালে)। ১২ ম্যাচে ২টি জয়, ২টি ড্র, ৮ হার তাদের। এই দুটি আসর খেলে একবারও দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারেনি তারা, বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। ৪৭ বছর বয়সী আবাহনী মোট ৩৬টি ট্রফি করায়ত্ত করেছে। এএফসি কাপে এর আগে ১২ ম্যাচ খেলে যে দুটিতে জিতেছিল আবাহনী, সে দুটি জয়ই ছিল ভারতীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে। প্রথম জয়টি ছিল বেঙ্গালুরু ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে (২০১৭ সালে, ২-০ গোলে)। পরের জয়টি আইজল ফুটবল ক্লাবকে তাদের মাটিতেই হারিয়ে (২০১৮ সালে, ৩-০ গোলে)। সে তুলনায় আবাহনীর চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে মিনার্ভা। ক্লাবের বয়স মাত্র ৪। ইন্ডিয়ান সুপার লীগ জেতেছে দুবার (২০১৫ ও ২০১৭-১৮)। এই প্রথম এএফসি কাপ খেলছে তারা।
এক সময় এশিয়ার ক্লাবগুলো নিয়ে তিনটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করত এএফসি। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, এএফসি কাপ ও এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ-এই তিনটির মধ্যে বাংলাদেশের ক্লাবগুলোর সুযোগ হতো প্রেসিডেন্টস কাপে। ২০০৮ সাল থেকে এএফসির ক্লাব টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছে এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ। নিজের সারির ক্লাবগুলো প্রথমে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্ব খেলে যোগ্যতা অর্জন করতে হয় নকআউট পর্বের।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: