ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯

ফেবারিটের চাপ জয় করতে চান মরগান

প্রকাশিত: ১২:১৮, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

ফেবারিটের চাপ জয় করতে চান মরগান

শাকিল আহমেদ মিরাজ ॥ বিশ্লেষক থেকে সমর্থক, সাবেক থেকে বর্তমান- সবার মুখে ইংল্যান্ড। কারণটা অনুমেয়। ২০১৫ বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর খোলনচে বদলে আগ্রাসী ক্রিকেটের পসরা নিয়ে হাজির হয়েছে ইয়ন মরগান, জো রুট, বেন স্টোকসরা। এবার ঘরের মাটিতে তারা খেলতে নামছে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হিসেবে। অধরা শিরোপার স্বপ্নে বিভোর গোটা বৃটেনবাসী। আর কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর প্রত্যাশার চাপ সামলে ইতিহাসের সেরা সাফল্য তুলে নিতে আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক মরগান। সেরা সাফল্য মানে কিন্তু শিরোপাই! কারণ এর আগে তিন তিনবার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও সেরার মুকুট পরা হয়নি ইংলিশদের। মরগান যা বলছেন এক কথায় তার সারমর্ম, ‘নিজ দেশে ফেবারিটের ট্যাগ, এখন চাপমুক্ত থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমার বিশ্বাস এবার আমরা সেরা সাফল্য পাব। বিশ্বকাপ নিয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত।’ স্বপ্নে বিভোর মরগানের কাছে চাপজয় করে সামর্থ্যরে সেরাটা দেয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, ‘দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার চাপ অবশ্যই থাকবে। তবে আমরা সেই চাপ নিতে প্রস্তুত। গত তিন বছরে আমরা অনেক পরিপক্ব হয়েছি। তাই চাপ মুক্ত হয়ে দল ভাল খেলতে পারবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’ ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ডে। স্বাগতিক হয়ে ফেবারিটের তকমা গায়ে ছিল ইংলিশদের। কিন্তু কার্ডিফের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় মরগানের দল। এবারও ফেবারিটের তকমা ইংল্যান্ডের কপালে। তবে এসব নিয়ে না ভেবে বিশ্বকাপের জন্য ভালভাবে প্রস্তুতি নিতে চান মরগান। তিনি আরও বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে প্রায় সব সিরিজেই আমাদের গায়ে ফেবারিটের তকমা ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিলাম। এরপর প্রত্যেক সিরিজে ফেবারিট তকমা নিয়ে সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে এখন ছেলেরা ফেবারিট বা আমরাই সেরা এসব নিয়ে ভাবে না। ফেবারিট তকমার সঙ্গে সবাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো বিশ্বকাপের জন্য ভালভাবে নিজেদের প্রস্তুত করা এবং ভাল পারফরর্মেন্স করা।’ ২০১৫ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড। এরপর থেকেই ওয়ানডেতে অন্য এক দলে পরিণত হয় মরগান বাহিনী। ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে বর্তমানে আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিয়ের এক নম্বরে তারা। সেরা হিসেবে বিশ্বকাপে মাঠে নামবে ইংলিশরা। কয়েক বছরে নিজেদের খেলার কৌশল পাল্টে সাফল্য পাওয়ায় খুশি মরগান, ‘গত কয়েক বছরে আমাদের খেলার কৌশল বিকশিত হয়েছে। আমার অনেক পরিবর্তন করেছি। খুব আগ্রাসী খেলতাম আমরা। সেখান থেকে সরে এসেছি। এখন ইতিবাচক, পরিকল্পনামাফিক ও প্রাণবন্ত ক্রিকেট খেলি আমরা।’ ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২Ñতিন বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জয় করা হয়নি ইংল্যান্ডের। তিন ফাইনালে হার যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের কাছে। এবার সেই বন্ধ্যত্ব ঘোচাতে চায় ইংলিশরা। দেশের মাটিতে খেলার সুবিধা নিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে মরিয়া। আর গেল তিন বছর ধরে ওয়ানডেতে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স তাদের সেই স্বপ্নটাকে আরও উস্কে দিচ্ছে। এখন চাপ সামলে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলেই হয়। আয়োজক হওয়ায় ইংল্যান্ডের জন্য বিশ্বকাপটা বেশি চ্যালেঞ্জিং। আর এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বলে জানালেন সেনাপতি মরগান। ৩০ মে উদ্বোধনী দিনেই শক্তিধর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মিশন শুরু করবে ইংলিশরা। তার আগে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক টি২০ ও পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে দিয়ে প্রস্তুতি সেরে নেবে মরগান বাহিনী।
×