ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় ৩ বছর পর দুই হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদ্ঘাটন

প্রকাশিত: ১২:০৫, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

কুমিল্লায় ৩ বছর পর দুই হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদ্ঘাটন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২৯ এপ্রিল ॥ কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর সৈয়দ জামাল ও আবুল বাশার হত্যাকা-ের প্রায় ৩ বছর পর খুনের ক্লু উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় মূল কিলার আনিছসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। মাদক বিক্রির দ্বন্দ্বে খুন করা হয় সৈয়দ জামালকে, আর এ খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় একই খুনীরা পরবর্তীতে খুন করে দারোয়ান আবুল বাশারকে। এই দুই খুনের ঘটনায় মূল কিলার আনিছ এবং শহীদকে গ্রেফতার করা হয়। আনিছকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ক্লু-লেস চাঞ্চল্যকর এ দুই খুনের রহস্য বেরিয়ে আসে। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ঘাতক আনিছ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীও দিয়েছে। সোমবার দুপুরে কুমিল্লা পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পিবিআই কুমিল্লা ইউনিটের ইনচার্জ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ওসমান গনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মতিউর রহমান ও পরিদর্শক কিশোর কুমার হাওলাদার। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৪ জুন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বল্লভপুর এলাকার একটি ব্রিকফিল্ডের পেছন থেকে একটি স মিলের মিস্ত্রি সৈয়দ জামালের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এর ২৫দিন পর ৯ জুলাই ওই ব্রিকফিল্ডের দারোয়ান আবুল বাশারকে তার অফিস কক্ষে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সৈয়দ জামাল হত্যাকা-ের ঘটনায় তার স্ত্রী শাহীনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে। এতে আদালত মামলাটির পুনর্তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়। এছাড়া দারোয়ান আবুল বাশার হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। পিবিআই কুমিল্লা ইউনিটের ইনচার্জ মোহাম্মদ ওসমান গনি জানান, অজ্ঞাতনামা আসামি ও ক্লু-লেস এ মামলা ২টি গ্রহণের পর গত শনিবার বল্লভপুর গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে ও হত্যা, মাদক, ছিনতাইসহ ১২ মামলার আসামি আনিছকে (৪৫) প্রথমে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে জেলার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে একপর্যায়ে জানায়, মাদক ব্যবসায় বিরোধের জের ধরে শ্বাসরোধ করে সৈয়দ জামালকে হত্যা করে লাশ ওই ব্রিকফিল্ডের পেছনে ফেলে রাখা হয়। এ হত্যার ঘটনা দেখে ফেলায় ২৫ দিন পর ব্রিকফিল্ডের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে আনিছ ও তার সহযোগী বল্লভপুর গ্রামের শহীদসহ ৫জন মিলে বাশারকে মাদক সেবন করিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। রবিবার আসামি আনিছকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ও তার চার সহযোগী পৃথক ২ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
×