ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সড়কে খানাখন্দ ॥ আত্রাই – ভবানীগঞ্জ

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

সড়কে খানাখন্দ ॥ আত্রাই – ভবানীগঞ্জ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৯ এপ্রিল ॥ আত্রাই উপজেলা থেকে বিভাগীয় শহর রাজশাহী যাওয়ার অতি গুরুত্বপূর্ণ আত্রাই-ভবানীগঞ্জ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় সড়কের কার্পেটিং ওঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানা-খন্দ। এতে সড়কটি ব্যবহার অনেকাংশে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় শত শত যানবাহন। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে বেহাল দশা হয়ে থাকলেও প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। আত্রাই উপজেলার দুর্ভোগের আরেক নাম হয়ে উঠেছে আত্রাই-ভবানীগঞ্জ সড়ক। দীর্ঘদিন থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এ সড়কটি বর্তমানে চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁর আত্রাই সীমানা থেকে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সীমানা পর্যন্ত এই সড়কের অধিকাংশই স্থান কার্পেটিংহীন হয়ে পড়েছে। তৈরি হয়েছে খানাখন্দে। একটু বৃষ্টি হলেই এতে জমে পানি। ফলে আরও দুর্ভোগ বাড়ে। কিন্ত দীর্ঘ কয়েক বছর অতিবাহিত হলেও তা আজও মেরামত হচ্ছেনা। এতে একের পর এক দুর্ঘটনাও ঘটছে। ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনাও। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি রাজশাহী বিভাগীয় শহরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। এ সড়কটি ছাড়া বিকল্প তেমন কোন পথও নেই। আত্রাই উপজেলাসহ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হাজার হাজার লোকজন প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। মৎসভা-ার খ্যাত উপজেলার স্টেশন মাছবাজার, ঐতিহ্যবাহী আহসানগঞ্জ হাটসহ কয়েকটি হাট ও বাণিজ্য কেন্দ্র থাকায় এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ইজিবাইক, ট্রাক, ট্রলি, সিএনজি, অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় বিভিন্ন প্রকার শত শত যানবাহন চলাচল করে। সড়কের পার্শ্ববর্তী বাগমারা অংশের সংস্কার কাজ হলেও এখন পর্যন্ত আত্রাই অংশের সড়ক দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হন এলাকার হাজার হাজার পথচারী। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীদের এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। এসব শিক্ষার্থীদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নগরে এখনও কাঁচা সড়ক স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, রাজশাহী নগরীর বড় বনগ্রাম চকপাড়া এলাকার মানুষ এখনও চলাচল করেন কাঁচা রাস্তায়। ক্রমাগত নগরীর বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত হলেও এখনও কাঁচাই রয়ে গেছে এ রাস্তাটি। সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল মান্নানের বাড়ি থেকে বায়তুল মামুর জামে মসজিদগামী রাস্তাটি শহরে সড়ক এমন ভাবাই যায় না। এলাকাবাসীর অভিযোগ এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়া পড়েনি এ রাস্তায়। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। নগরীর অভ্যন্তরে কাঁচা রাস্তা কথাটি বেমানান শোনালেও এর বাস্তব উদাহরণ এই রাস্তাটি। অথচ সরকারী এ রাস্তাটি মৌজা ম্যাপে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ রয়েছে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব ঋতুতেই এলাকাবাসীর দুর্ভোগের অন্যতম কারণ এটি। গ্রীষ্মকালে ধুলাবালি, বর্ষায় কাদা-পানি, দুর্ভোগের যেন বিরাম নেই! ফলে প্রতিনিয়ত ঘটে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। ওই রাস্তাকে ঘিরে এলাকাটিতে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের বসবাস। রাস্তার এমন বেহাল দশায় চলাচলের চরম বিপাকে পড়েন ওই এলাকার বাসিন্দারা। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েন বৃদ্ধ ও শিশু-কিশোররা। গ্রীষ্মকালে বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে চলাচল করলেও বর্ষাকালে দুর্ভোগ বর্ণনাতীত। কাঁচা রাস্তার ফলে নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার ফলে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। বর্ষায় জমে যায় হাঁটু পানি। আর এই কাদাপানিতে প্রায়ই ¯œান করে বাড়ি ফেরেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। ধুলো-কাদা না মেখে শিক্ষার্থীরা বাসায় ফিরতে বা স্কুল-কলেজে যেতে পারেনা বললেই চলে। বর্ষাকালে কাদায় জুতা-স্যান্ডেল হাতে নিয়ে হাঁটতে হয়। মসজিদে নামাজ পড়তে বা বাজার করতে যেতে হয় খালি পায়ে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে রাস্তা সংস্কার ও পাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য রাসিক বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়। এতেও কোন ফল পাননি তারা। সে সময় সিটি মেয়র ছিলেন নগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এবার আসন্ন বর্ষাকে ঘিরে চিন্তায় পড়েছেন ওই এলাকাবাসী। তাই বর্ষার আগেই রাস্তাটির সংস্কারের কথা ভাবছেন তারা। এমতাবস্থায় রাসিক মেয়র হিসেবে এএইচএম খায়রুজ্জামান মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় আশার আলো দেখছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তবে রাসিকের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, পুরো নগরীর সব সড়কই পাকাকরণের আওতায় রয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
×