ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি জাতীয় গড়ের চেয়েও পিছিয়ে

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি জাতীয় গড়ের চেয়েও পিছিয়ে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রথম নয় মাসে গড় এডিপির চেয়েও কম বাস্তবায়ন হয়েছে ফাস্ট ট্র্যাকের ৭ মেগা প্রকল্পে। এমনকি বাস্তবায়ন অদক্ষতায় প্রকল্পগুলো থেকে কেটে ফেলা হয়েছে, প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। অথচ, এগুলোর গতি ত্বরান্বিত করতে নজর রাখা হয়, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। পরিকল্পনা কমিশন বলছে, বাস্তবায়নের পথে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে, সংস্থাগুলোকে। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে বাড়ানো যাচ্ছে না, কাজের গতি। মেট্রোরেলের কাজ করতে গিয়ে এক রকম অবরুদ্ধ হয়ে গেছে ঢাকা শহরের মানুষ। তীব্র যানজট, জলাবদ্ধতা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতার মাত্রাও পৌঁছেছে চরমে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সড়কের প্রায় সবখানেই কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। কিন্তু এত কিছুর পরও বরাদ্দের টাকা খরচে প্রত্যাশিত গতি নেই ফাস্টট্র্যাকের অধীন অন্যতম বড় এই প্রকল্পে। চলতি অর্থবছরে এডিপিতে এই প্রকল্পের জন্য চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও, খরচ করতে না পারায় কমাতে হয়েছে দেড় হাজার কোটি। আর তা থেকে প্রথম নয় মাসে খরচ করা যায়নি অর্ধেকও; আটকে আছে ৪৬ শতাংশে। ফাস্টট্র্যাকের অধীন ১০ প্রকল্পের ৭টিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ দেয়া হয় প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সংশোধিত এডিপিতে ৫ হাজার কোটি কমিয়ে তা নামানো হয় ২৪ হাজার কোটিতে। প্রথম নয় মাসে সার্বিক এডিপি বাস্তবায়ন ৪৭ শতাংশ হলেও সংশোধন করার পর ফাস্টট্র্যাক প্রকল্পগুলো গড়ে খরচ করতে পেরেছে তার চেয়ে কম। যেমন পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কমানোর পরও খরচ হয় মাত্র ৫ শতাংশ। এছাড়া পায়রা সমুদ্র বন্দরেও খরচ হয়নি প্রত্যাশিত গতিতে। পাঁচ প্রকল্পে বরাদ্দ কাটা হলেও বেড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র এবং মাতারবাড়ি প্রকল্পে। যাদের খরচের গতিও সন্তোষজনক।
×