ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকদের উন্নত প্রশিক্ষণের তাগিদ

প্রকাশিত: ১১:৫২, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকদের উন্নত প্রশিক্ষণের তাগিদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চালকদের নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দিয়ে পরিবহন সেক্টরের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সড়কে চালক, পথচারীদের আইন না মানার প্রবণতা অনেক বেশি। সবাই মিলে যদি আইন মানি তাহলে পথে শৃঙ্খলা আসবে। আর পরিবহন শ্রমিকরা যদি বৈধভাবে লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালান তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসবে। মনে রাখতে হবে দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু মানেই পুরো পরিবারটির পথে বসে যেতে হয়। তাই সব সময় মাথা ঠা-া রেখে গাড়ি চালাতে হবে। বন্ধ করতে হবে পাল্লা দিয়ে যানবাহন চালানো। দক্ষ চালক তৈরিতে সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ারও কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ এবং গাড়িচালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বাড়াতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাস সার্ভিসের চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ট্রাফিক আইনের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সোমবার রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ ভবনে প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম। এরপর প্রশিক্ষকরা চালকদের প্রতি এমন আহ্বান জানান। চালকদের উদ্দেশে তারা বলেন, পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমাতে হলে চালকদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মালিকরা মুনাফার আশায় চুক্তিভিত্তিক গাড়ি ভাড়া দিতে চাইলেও আপনারা তা নেবেন না। তাছাড়া গাড়ির যদি ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকে, লক্কড় ঝক্কড় হয় অর্থ আয়ের দিক বিবেচনায় নিয়ে কোন অবস্থাতেই এই বাস চালানো যাবে না। সবার আগে ব্যক্তি ও যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। তাছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মালিকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এজন্য মালিক সমিতির উচিত চালকদের সহযোগিতা করা। চালকদের মানবিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রশিক্ষকরা বলেন, বিআরটিএ মাত্র কয়েকদিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে চালকদের রাস্তায় নামিয়ে দেয়। এরপর চালকদের আর কোন রকম প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না। আমাদের দেশে বেশিরভাগ চালক স্বল্প শিক্ষিত হওয়ায় তাদের মধ্যে মানবিক বিষয়গুলো অনেক সময় খুব একটা কাজ করে না। ফলে চালকদের বিরুদ্ধে এক তরফাভাবে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগ আসে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, চাকরির নিয়োগপত্র, উৎসব ভাতা, বিকল্প চালকের ব্যবস্থা, বিশ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ, ছুটির ব্যবস্থা, চিকিৎসা ভাতা, গাড়িতে উন্নত নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন প্রশিক্ষকরা। তারা বলেন, সেবার মান বাড়লে এ পেশায় আসতে শিক্ষিত মানুষের আগ্রহ বাড়বে। তারা বলেন, দেশে সড়কপথে প্রতিদিন যাত্রী সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আন্তঃজেলা রুটে হাতেগোনা কয়েকটি পরিবহন কোম্পানির বাস ছাড়া বাদবাকি সব ধরনের সেবার মান একেবারেই নিম্নমানের।
×