ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের দুরবস্থা

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের দুরবস্থা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সাত সরকারী কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় হরেক রকম অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে দীর্ঘদিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সরকারী কলেজের প্রশাসন স্বাধীনভাবে দাফতরিক কর্মপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে নিতে আগের মতো সেভাবে পারছে না। শুধু তাই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে সেশন জট, সময় মতো পরীক্ষা নেয়া- সর্বোপরি ফল প্রকাশেও দীর্ঘসূত্রতার সঙ্কটে পড়েছে বলে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বার বার আপত্তি জানানো হচ্ছে। রাস্তায় নেমে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ, প্রতিরোধে তাদের দাবির প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া কলেজগুলো ১. ঢাকা কলেজ ২. বেগম বদরুন্নেসা সরকারী মহিলা কলেজ ৩. ইডেন মহিলা কলেজ ৪. সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ৫. সরকারী তিতুমীর কলেজ, ৬. মিরপুর সরকারী বাঙলা কলেজ এবং ৭. কবি নজরুল কলেজ। এক সময় শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত কার্যক্রম কলেজ প্রশাসনই চালিয়ে নিত। সঠিক সময়ে ক্লাস, টিউটোরিয়াল পরীক্ষা এবং ফলাফল সবই কলেজ কর্তৃপক্ষের বিধি মোতাবেক অনুষ্ঠিত হতো। নির্দিষ্ট কলেজের নির্ধারিত বিধিনিষেধ অনুসরণ করেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে যেত। অবশ্যই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ সঙ্কট দেখা দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজস্ব বিধি মোতাবেক তা সামলিয়েও নিতে পারত। আগে সরকারী কলেজগুলো সেশন জটের আবর্তে সেভাবে পড়ত বলে শোনা যায়নি। উচ্চ মাধ্যমিকের পর যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারত না তারা নির্দ্বিধায়, নিশ্চিন্তে সরকারী কলেজগুলোতে ভর্তি হতে ভাবেনি কোন সময়। বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সফলকাম প্রার্থীরাই সরকারী কলেজে শিক্ষকতার দায়িত্ব নেন। ফলে শিক্ষকদের মান এবং দক্ষতা নিয়েও সেভাবে কোন সঙ্কট তৈরি হয়নি। কলেজগুলো নিজস্ব নিয়মে আপন গতিতে তাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় এগিয়েও যাচ্ছিল। এসব কলেজ থেকেই উত্তীর্ণ ও সফলকাম ছাত্রছাত্রীরা বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতেও বেগ পেতে হয়নি। যেসব কলেজ বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত আছে তাদের নিজস্ব গৌরবান্বিত ইতিহাস আজও ছাত্রছাত্রীদের উদ্দীপ্ত করে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক চড়াই-উতরাই পার হওয়ার ঘটনা পরম্পরা বিশ্লেষণ করলেই বুঝতে অসুবিধা হবে না কত ক্রান্তিকালকে অদম্য গতিতে সামলাতে হয়েছে। বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়গুলো দেশের যোগ্য ও উপযুক্ত নাগরিক গড়ার চাইতেও বেশি মনোযোগী হয়েছে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ফলের ওপর। একেবারে শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে পিএসসি, জেএসসি, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক অতিক্রম করতে জিপিএ পাঁচের পেছনে রুদ্ধশ্বাসে দৌড়াতে হয়েছে। শিশু শ্রেণীতে ভর্তির জন্য কোচিংয়ে ছুটতে হয়, যা একজন অবোধ বাচ্চার পক্ষে একেবারে অসম্ভব। ফলে অভিভাবকরাও প্রাণপণে ছুটে বেড়াচ্ছেন সন্তানদের পেছনে। বর্তমানে কচিকাঁচা শিশু-কিশোরদের স্বাধীন সত্তা কতখানি আছে সে বিবেচনার ভার রইল সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের ওপর। আপাতদৃষ্টিতে যা দৃশ্যমান তা হলো বাবা-মায়ের সঙ্গে স্কুল আর কোচিংয়ে ক্রমাগত ছুটতে ছুটতে তাদের নাওয়া খাওয়ারও সময় থাকে না। পাঠ্যবইয়ের বাইরে আরও কত যে জ্ঞানের ভা-ার চারপাশে ছড়ানো থাকে যা অবোধ বালক-বালিকাদের মেধা ও মনন বিকাশের এক অনন্য নিয়ামক। সেটা জানার অবকাশও নেই এসব শিশু-কিশোরের। শিক্ষা ব্যবস্থায় বাণিজ্যিকীকরণের উন্মত্ত স্রোত যেভাবে শিক্ষার্থীদের নাজেহাল করছে তাতে দেশের ভাবী কর্ণধারের সঠিক গন্তব্য কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা কারও পক্ষে আগাম বলে দেয়া একেবারে অসম্ভব। অথচ আজকের অভিভাবক যারা তারা কি মনে করতে পারেন অতি শৈশব থেকে নিজেরা কিভাবে তৈরি হয়েছেন? সুগৃহিণী মায়েদের সন্তানদের পেছনে দৌড়ানোর মতো ক্ষমতা এবং মনোসংযোগ কোনটাই ছিল না। কোচিং বলতে তখন কোন কিছুরই অস্তিত্ব ছিল না। ছেলেমেয়েরা বাসায় মা-বাবা-ভাই-বোন কিংবা বয়োবৃদ্ধ দাদা-দাদির কাছেই হাতে খড়ি নিয়ে নিত। বর্ণ পরিচয় আয়ত্ত করতে করতে এক সময় শব্দ এবং বাক্য গঠনও তৈরি হওয়া সহজসাধ্য ছিল। সেভাবে একজন শিশু ধারেকাছেই কোন স্কুলে ভর্তি হয়ে যেত। সে সময় সব স্কুলের শিক্ষকদের একটি উচ্চমান ছিল যারা শিশুদের মূল ভিতটা তৈরি করে দিতে পারতেন। তখন স্কুলের পবিত্র আঙ্গিনা ছিল বিদ্যাপাঠ এবং অর্জনের মূল শক্তি। অভিভাবকরা কখনও এমন পবিত্র অঙ্গনে যাওয়ার কথা ভাবতেও পারতেন না। বছর বছর পরীক্ষার যে রেজাল্ট আসত সেটাকেই অভিভাবকরা যথার্থ মনে করতেন। তার সন্তানকেও ততটুকুই যোগ্য ভাবতেন। এ নিয়ে কখনও ছাত্র-শিক্ষকের মধুর সম্পর্কের টানাপোড়েন হয়নি। তবে বাবা-মা লক্ষ্য রাখতেন তার সন্তান ঠিকঠাক সকাল-সন্ধ্যা বই নিয়ে বসল কিনা। শুধু তাই নয়, স্কুলেও সে নিয়মিত উপস্থিত হচ্ছে কিনা সেটুকু নজরদারিও বাবা-মা করতেন। স্কুলের সুদক্ষ অভিজ্ঞ শিক্ষকরা তাদের যথাসাধ্য শিক্ষাদান কর্মযোগে কোন ধরনের কার্পণ্য করতেন না। শিক্ষার্থীদেরও এক ধরনের মেধা ও মননের স্ফুরণ ঘটত। বাসায় যিনি অঙ্ক কিংবা ইংরেজী ভাল জানেন তিনিই তার পরিবারের ক্ষুদে সদস্যদের মধ্যে তা প্রয়োগ করতে সর্বান্তকরণে চেষ্টা করে যেতেন। ফল নিয়ে অভিভাবকদের মাথাব্যথা ছিল না। তবে অবশ্যই লক্ষ্য করতেন যে শ্রেণীটা সন্তান অতিক্রম করছে সেখানে সে কতখানি যোগ্য এবং আত্মবিশ্বাসী। ব্যস এটুকুই। তথ্যপ্রযুক্তির আকাশছোঁয়া সম্প্রসারণ তখনকার দিনে কল্পনায়ও আসেনি। তার পরেও সমকাল ও যুগের যে বিজ্ঞানযাত্রা তাকেও সময়ের প্রজন্ম ধারণ করতে নিজেদের সমর্পণ করে দিত। যার জ্বলন্ত নজির বাংলাদেশের বৃহৎ পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী-বেসরকারী চিকিৎসালয়, দেশের সব ক’টি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক এবং চিকিৎসকরা। অতীতের যে শিক্ষা এবং পারিবারিক ব্যবস্থাপনার সুফল আজ জাতি সম্মিলিতভাবে ভোগ করছে। শুধু তাই নয়, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ফেলে আসা সুবর্ণ অতীতের যোগ্য ও শ্রেষ্ঠ সন্তান। অথচ সেই ঐতিহ্যিক আর গৌরবান্বিত ইতিহাসের বলিষ্ঠ নায়কদের পরবর্তী বংশধররা কোথায়, তাদের গন্তব্য কি তার যথার্থ নির্ণায়ক কে সে প্রশ্ন থেকেই যায়। এখন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্ক, ইংরেজী, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের পূর্ণ প্রফেসরের সন্তানরা তাদের জ্ঞানের ভিত্তি কোথায় তৈরি করে সেটাও বিবেচনাসাপেক্ষ। পেশাগত উৎকর্ষের দিকে মনোসংযোগ দিতে গিয়ে সন্তানরা কতখানি বঞ্চিত হয় সে সবও ভাবার বোধহয় সময় এসেছে। পেশাগত সমৃদ্ধি মানে অজ¯্র টাকা পয়সার আবর্ত নয়, বরং নির্দিষ্ট অবস্থানে দায়বদ্ধতায় দেশ ও জাতির কল্যাণকর কর্মপ্রকল্পকে নিয়তই শাণিত করা। দেশের যোগ্য সন্তান গড়ে তুলতে নিজেদের সুবর্ণ অতীতের দিকে নজর দেয়া আবশ্যক। আর সেটা করতে পারলে সীমিত আয়ে ভবিষ্যত প্রজন্ম তৈরি করতে কোন রকম বেগ পেতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একেবারে শিশু বয়স থেকে শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করেছেন। শিশু বয়সে ভর্তি পরীক্ষার কোন প্রক্রিয়া না রাখতে সরকার প্রধানের কাছ থেকে নির্দেশ এসেছে। শুধু তাই নয়, তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা নয়, বরং মেধার মূল্যমান নির্ধারণে পরবর্তী ক্লাসে উত্তরণের উপায় নতুনভাবে জারি করেছেন। মূল্যমান নির্ধারণে শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন যাচাইয়ে নিয়মিত কর্মশালা এবং দক্ষতা নির্ধারণের কিছু বৈশিষ্ট্য সংযোগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন। দেখা যাক প্রধানমন্ত্রীর নতুন শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ কতখানি কিংবা কতদূর বাস্তবায়িত। একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষা ব্যবস্থায় যে কোচিং ধারার ক্রমবর্ধমান বিকাশ তা গত শতকে বহু গুণ ছাড়িয়ে গেছে। গত শতকের শেষ দশকে এমন ব্যবস্থা শিক্ষা পদ্ধতিতে গেড়ে বসে। শিক্ষা কার্যক্রম হয়ে ওঠে একেবারে কোচিংনির্ভর। বিদ্যালয় কিংবা মহাবিদ্যালয়ে ক্লাসে পাঠদান কিংবা জ্ঞানচর্চা স্থানান্তর হয়ে কোচিংয়ের গ-িতে আটকে পড়ে। বাংলাদেশের স্বনামধন্য বিখ্যাত স্কুল-কলেজ যেখানে একটি সমৃদ্ধ অতীত আছে সবাই আজ দৃষ্টিকটুভাবে এমন বেড়াজালে আবদ্ধ যে, সেখান থেকে বের হওয়ার অবকাশ কখনও হবে কিনা সে জবাব তো সময়ের কাছে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পার হতে এখন প্রতিযোগিতা শুধু জিপিএ ৫-এর। জ্ঞানচর্চার মধ্যে নয়। এর পেছনে দৌড়াতে গিয়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের যে নাজুক অবস্থা সেখান থেকে তারা যখন ¯œাতক কোর্সে ভর্তি হয় আর সময়ক্ষেপণ তাদের দিশাহারা করে তোলে। আর এই ভর্তি প্রক্রিয়াও কোচিং ছাড়া ভাবাই যায় না। মনে হয় যেন সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হওয়া। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট, ফলের দীর্ঘসূত্রতা চলে আসা এক অলিখিত নিয়ম। কিন্তু সরকারী কলেজগুলো ছিল এর ব্যতিক্রম। তা ছাড়া সেমিস্টার ব্যবস্থার আওতায় সময়মতো পরীক্ষা হতে তেমন বিপত্তি হওয়ার কথা নয়। এতদিন ধরে তাই চলে আসছিল। সঙ্কট তৈরি হলো যখন রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সমস্ত কার্যক্রমের সঙ্গে এক সুতায় গেঁথে দেয়া হলো। শুধু তাই নয়, এমন কর্মযোগে কলেজের শিক্ষার্থীরা নানা বিপাকেও পড়ে যাচ্ছে। ফলে নতুন ব্যবস্থাপনার ত্রুটিবিচ্যুতি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে বিঘিœত করছে। সঙ্গত কারণেই প্রয়োজন হয়ে পড়ে প্রতিবাদ আর বিক্ষোভে সড়কে তাদের অবস্থান তৈরি করা। আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়। সেশনজট নিরসন, ৯০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ, শিক্ষাপঞ্জীর প্রবর্তন, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর খাতা পুনমূর্ল্যায়নের সুযোগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ক্লাস নেয়াÑ ৫টি দাবিতে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের জোরদার আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে ক্লাসে প্রবেশের অনুরোধ জানায়। পর্যায়ক্রমে সব দাবিই মেনে নিয়ে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্ভূত সঙ্কট নিরসনের আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগেও আন্দোলনরত ছাত্ররা তাদের দাবি উত্থাপন করে পথে নেমেছিল কিন্তু সেবারও আশ্বাস দিয়ে কথা রাখা হয়নি । এবারও হবে কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দিহান সড়ক অবরোধ করা শিক্ষার্থীরা। সেশন জটে পড়ে শিক্ষার্থীরা হারাচ্ছে তাদের মূল্যবান সময়ই শুধু নয়, বয়সও। তার ওপর আছে ফল প্রকাশের আশায় দীর্ঘ অপেক্ষা। এ ব্যাপারে সময় এবং নিয়ম কোনটাই মানা হচ্ছে না বলে ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ। স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র কার্যক্রমে চলা কলেজগুলো অভ্যন্তরীণভাবে সরকারী নিয়ম কানুনেই চলত। যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থেকে তারা সরকারী বিধিনিষেধ পালন করত। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে এমন ৭টি কলেজকে সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু যে মহৎ ও বৃহৎ কর্মপরিকল্পনায় এমন ব্যবস্থাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করা হয়, সেখানে সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যার আবর্তে পড়লে এর প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্টরা আন্দোলনের মাধ্যমে অভিযোগ প্রকাশ করতে থাকে। জরুরিভিত্তিতে এসব সমস্যা সুষ্ঠু ও সমন্বিত সমাধান হওয়া প্রত্যাশিত। লেখক : সাংবাদিক
×