ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এনামুল হক

বিজ্ঞান সাধনায় উপেক্ষিত এক নারী

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

বিজ্ঞান সাধনায় উপেক্ষিত এক নারী

১৯৫৮ সাল। স্টকহোমে নোবেল পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। জিনের ক্রিয়াকলাপ ও আচরণ আবিষ্কার করার জন্য তিন ব্যক্তির হাতে যৌথভাবে তুলে দেয়া হলো নোবেল পুরস্কার। এরা হলেন জোসুয়া লেডারবার্গ, জর্জ ওয়েলস বিডল ও এডওয়ার্ড লরি। পুরস্কারটি আরেকজনেরও প্রাপ্য ছিল একান্তভাবেই। তিনি বিজ্ঞানী এসথার লেডেনবার্গ, যিনি ওই আবিষ্কারের সঙ্গে শুধু সম্পৃক্তই ছিলেন না, অনেক মেধা ও শ্রমও দিয়েছিলেন। তাঁকেও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে বিজ্ঞানী হিসেবে নয়, বরং নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীর স্ত্রী হিসেবে। তাঁকে দর্শকদের আসনে বসে সবকিছু দেখতে হয়েছিল। এভাবেই উপেক্ষিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর অর্জনগুলো একজন পুরুষের ছায়ার নিচে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল এভাবেই। তবে তাঁর দ্বিতীয় স্বামী মাইকেল সাইমন এর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এসথার লেডারবার্গকে যথাযথ মূল্যায়ন করা ও যথোচিত মর্যাদা দেয়া হয়নি তিনি নারী বলে। ২০০৬ সালে লেডারবার্গের মৃত্যুর পর সাইমন তাঁর সম্মানে এক বিস্তারিত স্মারক ওয়েবসাইট গড়ে তোলার পেছনে নিজের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেছেন। সেই ওয়েবসাইটে তাঁর বিভিন্ন ছবি, নিবন্ধ, আবিষ্কার এবং আগ্রহের বিষয়। সবকিছুই সবিস্তারে স্থান পেয়েছে। এর পেছনে কাজ করেছে লেডারবার্গের প্রতি তাঁর নিখাদ ভালবাসা। মাইক্রোঅর্গানিজম তথা অনুজীবগুলো কিভাবে জেনেটিক উপাদান শেয়ার করে তার তথ্যানুসন্ধানে লেডারবার্গ কয়েকটি দশক ব্যয় করেছিলেন। সে সময় এটা ছিল সম্পূর্ণ আনকোরা এক বিষয় এবং ডিএনএ জিনিসটা কি, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল সামান্যই। তাঁর প্রথম স্বামী জোসুয়া লেডারবার্গও একই কাজ করেছিলেন, তথাপি তাঁর নাম যত লোক শুনেছে তাঁর স্বামীর নাম শুনেছে তার চেয়েও বেশি। তিনি বৈষম্য ও পক্ষপাতদুষ্টতার শিকার হয়েছিলেন। এভাবেই ইতিহাসজুড়ে নারী গবেষকরা হয়েছেন উপেক্ষিত, যথাযথ কৃতিত্ব লাভ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এবং দৃশ্যপটের আড়ালে চলে গেছেন। সুসংবাদটা হলো সাইমন থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষাবিদ ও চলচ্চিত্রকারদের জোরালো আন্দোলনের কারণে এসব অদৃশ্য ও অন্তরালে থাকা নারীরা দৃশ্যমান হচ্ছেন। তাঁদের কাজ ও অর্জনগুলো লোকে জানতে পারছে। এসথার মিরিয়াম জিমারের জন্ম ১৯২২ সালে নিউইয়র্কে। তাঁদের পরিবারটি ছিল গরিব। তথাপি লেখাপড়ার প্রতি অদম্য আগ্রহ থাকায় এসথার স্কুলের পাট শেষ করে কলেজে ভর্তি হন। বৃত্তি নিয়ে তিনি হান্টার কলেজে ঢোকেন এবং বায়োকেমিস্ট্রিকে পাঠ্য বিষয় হিসেবে বেছে নেন, যদিও তাঁকে বলা হয়েছিল মেয়েদের জন্য এ বিষয়টি বেশ কঠিন। কলেজের পড়া শেষে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিকসের ওপর মাস্টার্স করতে যান। আর্থিক দিক দিয়ে তখন তাঁর এত টানাটানি ছিল যে, অনেক সময় ল্যাবে ডিসেকশনের পর ব্যাঙের পা খেতেন। স্ট্যানফোর্ড থেকে মাস্টার্স শেষ করার অল্প দিন আগে জোসুয়া লেডেনবার্গের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। কয়েক মাস পর তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের অল্পদিনের পর তাঁরা উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখানে পিএইচডি করেন এসথার। সেখানে স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা কাজে নিয়োজিত হন। জোসুয়া বেশ প্রতিভাধর ছিলেন। বড় বড় ধ্যান-ধারণা প্রকাশ করার জন্য বেশ পরিচিতি পেয়েছিলেন। ওদিকে এসথার গবেষক হিসেবে বিশেষজ্ঞ জ্ঞান অর্জন করেন। জোসুয়ার সান্নিধ্যে এসথার যেমন লাভবান হয়েছিলেন, তেমনি জোসুয়াও লাভবান হয়েছিলেন এসথারের সান্নিধ্যে। ১৯৫০ এর দশকের সময়জুড়ে তাঁরা একত্রে নিবন্ধ প্রকাশ করেন। দু’জনেই ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে নতুন তথ্য আবিষ্কার করেন এবং প্রমাণ করেন যে এই ব্যাকটেরিয়া থেকে এমন রাসায়নিক ঘটনাবলী প্রকাশ পেতে পারে যার ওপর সমস্ত প্রাণ নির্ভরশীল। জোসুয়া এই তথ্যটি আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার পান যে, ব্যাকটেরিয়া প্রজননের সময় সর্বদাই নিজের অবিকল কপি তৈরি করে। তিনি আবিষ্কার করেন যে, ব্যাকটেরিয়া এমন একটা কাজে লিপ্ত হয় যেটা অনেকটা সেক্সের মতো দেখায়। এ সময় এরা জেনেটিক উপাদানগুলোর মিশ্রণ ঘটায় এবং নতুন কিছু তৈরি করে। এসথার জোসুয়ার সঙ্গে কাজ করেন এবং তাঁর আবিষ্কারের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য বিষয় আবিষ্কার করেন। যেমন ‘ফার্টিলিটি ফ্যাক্টর’ বলে একটা জিনিস তিনি শনাক্ত করেন, যা ওই মিশ্রণকে ঘটার সুযোগ করে দেয়। তিনি একটি ভাইরাসও আবিষ্কার করেন এবং এর নাম দেন ‘ল্যাম্বডা ফেজ।’ পরবর্তীকালে এই ভাইরাস ডিএনের রহস্য উন্মোচন ও জিনের অভিব্যক্তি প্রকাশে সাহায্য করে। লেডেনবার্গ দম্পতি অন্যান্য সহযোগীর সঙ্গে কাজ করে এমন মৌল নীতিমালা উন্মোচন করেন, যা পরে মলিকুলার বায়োলজির নীতি হয়ে দাঁড়ায়। আর এভাবেই জিন প্রকৌশলের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। লেডেনবার্গ দম্পতি রেপ্লিকা প্লেটিং নামে এক কৌশল উদ্ভাবন করে যৌথ কৃতিত্ব লাভ করেন। তাঁরা সেই কৌশল কাজে লাগিয়ে যুগান্তকারী কাজ করে দেখান যে, বিবর্তনে জিন মিউটেশন বা রূপান্তরের ব্যাপারটা এলোমলোভাবে ঘটে। তাঁদের উদ্ভাবিত কৌশলটি ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়। কিন্তু জোসুয়া নোবেল পুরস্কার লাভের পর এসথারের গুরুত্ব অন্যদের কাছে খর্ব হয়ে যায়। তিনি প্রান্তিক অবস্থানে চলে যান। অথচ দু’বছর আগে লেডারবার্গ দম্পতি যৌথভাবে লুই পাস্তর পুরস্কার পেয়েছিলেন। এ ছিল বিজ্ঞানের প্রতি তাঁদের অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি। ১৯৫৩ সালে জোসুয়া এলি লিলি নামে আরেক পুরস্কার পেয়েছিলেন। জোসুয়া এক সাংবাদিকের কাছে বলেছিলেন, এসথারেরও এই পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। এসথারের মৃত্যুর পর তাঁর স্মরণে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী একসর স্ট্যানলি ফেলো বলেছিলেন, জোসুয়ার ল্যাবরেটরিতে এসথারের স্বাধীন, অসামান্য অবদান অংশত-নিশ্চিতভাবেই জোসুয়ার নোবেল পুরস্কার এনে দিয়েছিল। জোসুয়া অবশ্য তাঁর নোবেল প্রাপ্তি উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে স্বীকার করেছিলেন যে, এই গবেষণায় তিনি অনেক সহকর্মীর সান্নিধ্য উপভোগ করেছিলেন। সর্বোপরি উপভোগ করেছিলেন তাঁর স্ত্রীর সান্নিধ্য। স্ত্রীর অবদান সম্পর্কে এই সামান্যই বক্তব্য ছিল তার। বাড়িতে ফিরে আসার পর জোসুয়া স্ট্যানফোর্ডে জেনেটিক্স বিভাগের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দেয়ার আমন্ত্রণ পান। আর এসথারকে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য এক বিভাগে গবেষণা সহকারী পদের অফার দেয়া হয়। ১৯৫৬ সালের এক নিবন্ধে বলা হয়, স্বামী-স্ত্রীর বিজ্ঞান দল হিসেবে তাঁদের যুগটির অবসান ঘটতে থাকে। তাঁদের সম্পর্কে কেন ভাঙ্গন ধরেছিল, তাঁরা দু’জনেই কেবল তা বলতে পারেন। তবে ১৯৬৬ সালের দিকে তাঁদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সত্তরের দশকে এসথারের সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়া তরুণ বিজ্ঞানী ডেনিস কোপেকো স্মরণ করেন, এসথার ছিলেন উদার বদান্য ও প্রতিযোগিতার মনোভাববর্জিত। কিন্তু পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি একরোখাও হয়ে ওঠেন। এসথার শেষ পর্যন্ত ফ্যাকালটিতে নিয়োগ পান। জোসুয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর এসথারকে চাকরি রক্ষায় যথেষ্ট লড়াই করতে হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত স্ট্যানফোর্ডে তিনি কাজ করেছিলেন বটে, তবে এমন কোন পদ ছিল না যা বিজ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অনেক বিজ্ঞানী দুঃখ করে বলেন যে, এসথারের নাম পাঠ্যপ্রস্তকগুলোতে নেই। ম্যাথিউ ইফেক্ট বলে একটা কথা ইংরেজীতে চালু আছে। মি. ম্যাথিউ এর প্রবক্তা। তাঁর বক্তব্য অনযায়ী যার প্রচুর আছে তাঁর আরও বেশি প্রাচুর্য থাকতে হবে। আর যার সামান্য আছে, তাঁর সেই টুকুকেও হরণ করে নেয়া হবে। প্রফেসর এমেরিটা বোসিটার বলেন, নারী বিজ্ঞানীরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এভাবে প্রান্ত রেখায় স্থান পেয়েছেন। তাঁরা হয়েছেন উপেক্ষিতা। মহিলারা পেশাগত ক্ষেত্রে অন্যায় বাধার সম্মুখীন হয়েছেন এবং পুরুষরা এমন সব সুবিধা ভোগ করেছে, যার ন্যায্যতা নেই। শুধু এথসারের বেলায়ই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও নারীরা উপেক্ষিতই থেকেছে। বিজ্ঞানকে প্রায় একান্তভাবেই পুরুষদের ক্ষেত্রে পরিণত করা হয়েছে। পরমাণু পদার্থবিজ্ঞান থেকে শুরু করে ক্যান্সার গবেষণা পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা অসাধারণ অবদান রেখেছেন। অথচ তাঁদের ভূমিকার স্বীকৃতি নেই। তাঁদের নাম সরিয়ে রাখা হয়েছে পাশে। আমেরিকায় প্রোগ্রামারদের ৪৩ শতাংশ মহিলা। অথচ লেখক হিসেবে তাদের সংখ্যা মাত্র ৭ শতাংশ। ভূপদার্থ বিজ্ঞানে অনেক জাঁদরেল মহিলা আছেন অথচ তাঁরা অদৃশ্য। তাঁদের দেখা যায় না। এই অস্বীকৃতি এমন ধারণাকে চিরস্থায়ী করেছে যে বিজ্ঞানের জগতটা পুরুষের প্রায় একছত্র অধিকারে। এসথার, লেডারবার্গের ঘটনা সেই কাহিনীরই এক বিয়োগান্ত অংশমাত্র। বিংশ শতাব্দীর অধ্যায়জুড়ে বিজ্ঞানের জগতে অনেক মহিলাকে এমন সব পদে নিয়োগ দেয়া হয়, যেগুলোতে তহবিল সংগ্রহের বোঝাটা বেশি ছিল, অথচ চাকরির নিরাপত্তা ছিল কম। তাঁদের নিবন্ধ ছাপা হলে পুরুষ সহকর্মীরাই অনেক সময় কৃতিত্ব পেত। আর যেসব মহিলা তাঁদের স্বামীদের পাশাপাশি কাজ করত তাঁদের নিয়মিতই গৌরবময় সহকর্মী বলে ধরে নেয়া হত। তাঁরা ছিল লেডেনবার্গের মতো এবং বিবাহিত। তার মানে তাঁদের নামটা বাদ দেয়া হতো। রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের কথা ধরা যাক। তাঁর নেয়া ডাবল হেলিক্স এর এক্স-রে ছবির বদৌলতে ফ্রান্সিস ক্রিক, জেমস ওয়াটসন ও মরিস উইলকিন্সের পক্ষে ডিএনএর কাঠামো বুঝতে পারার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাঁদের আবিষ্কারের জন্য তারা জগদ্বিখ্যাত হয়ে যান এবং নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। অথচ ফ্রাঙ্কলিনের দিকে তেমন কোন নজর পড়েনি। ২০১৫ সালে নিকল কিডম্যান ফ্রাঙ্কলিনকে এই উপেক্ষার ব্যাপারটি নাটকে তুলে ধরেন। বিজ্ঞানে নারীদের প্রতিবন্ধতা সৃষ্টির অনেক ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। গতানুগতিকভাবে বলা হয়ে থাকে যে, মহিলারা অন্তর্নিহিতভাবে বৈজ্ঞানিক কাজকর্মের অনুপযুক্ত। যদিও গবেষণায় দেখা যায় যে, নারীরা বিশ্বের বৈজ্ঞানিক গবেষণার শতকরা মাত্র প্রায় ৩০ ভাগ করছে তবে তা এই সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। আর প্রতিবাদী গ্রুপগুলোর আন্দোলনের ফলে নারীরা আগের চাইতে তাঁদের কাজের অধিকতর স্বীকতি পাচ্ছে। ২০১৯ সালে গণিত বিজ্ঞানী কারেন উহলেনবেক প্রথম নারী হিসেবে সম্মানজনক নবেল পুরস্কার পান। নারীদের এই সংগ্রামের মধ্যেও মাইকেল সাইমনের লড়াইকে ভুলে যাওয়ার উপায় নেই। পেশায় তিনি ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৮৯ সালে এসথারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকে প্রেম এবং শেষ পর্যন্ত তা বিয়েতে গড়ায় ১৯৯৩ সালে। ১৩ বছর পর এসথার তাঁকে শোকে মুহ্যমান রেখে অনন্তলোকে পাড়ি জমান। তবে এসথারের প্রতি সাইমনের ভালবাসা এতই গভীর ছিল যে, তিনি তাঁর স্ত্রীর কাজকর্মের বিষয় নিয়ে গভীর পড়াশোনা করেন। তারপর তাঁর স্মরণে এক আর্কাইভ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। কয়েক বছর ধরে তিনি তাঁর তোলা এসথারের ছবির ক্যাটালগ করেন। তার মধ্যে বিশ্বের বিখ্যাত সব জিন বিজ্ঞানী পুরুষের সঙ্গে তাঁর বৈঠকও ছিল। সাইমনের তৈরি এসথার এম, জিমার লেডেনবার্গে স্মারক ওয়েবসাইটটি হচ্ছে ৩৬ হাজার আইটেমের এক বিশাল নেটওয়ার্ক, যার মধ্যে মিশে আছে স্ত্রীর প্রতি তাঁর প্রশ্নাতীত ভালবাসা, স্নেহ-মমতা সবকিছু। সূত্র : টাইম
×