ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

ঢাকার দিনরাত

এপ্রিল ক্রুরতম মাস হয়ে দেখা দিয়েছে মাত্রা ছাড়া গরম পড়ায়। শনিবার অসহনীয় হয়ে উঠেছিল গরম। অনেকেই ভাবেন শনিবার বোধহয় যানজট একটু কম থাকবে। বাস্তবে তা হয়নি। দিনভরই যানজট সপ্তাহের কর্মব্যস্ত কর্মদিবসের মতোই। বাসার ছুটা গৃহকর্মী বিকেলের পালায় কাজে আসেনি। কারণটা জেনে খারাপ লাগল। তার রিক্সাওয়ালা স্বামী রিক্সা চালাতে চালাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাসায় চলে আসে। প্রায় অজ্ঞান হওয়ার দশা। তার মাথায় পানি ঢালতে হয়। অনুমান করলাম রিক্সাওয়ালার হিট স্ট্রোক হয়েছিল। এদিন সূর্য আর মেঘ বেশ প্রতিযোগিতা করেছে; কে কাকে কতক্ষণ দাবিয়ে রাখতে পারে। সমুদ্রে নিম্নচাপের প্রভাব ও ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আসা না আসার দোলাচলে আকাশ মেঘলা ছিল পালাক্রমে। তার মানে এই নয় যে গরম কিছু কমেছিল। বরং একটা ভ্যাপসা গরম থাকায় ঢাকাবাসীর বেশ ধকল পোহাতে হয়েছে। এই গরমে ঢাকায় সব জায়গায় পানি সরবরাহ ঠিকঠাক আছে, এমনটি কি বলা যাবে? ওয়াসার পানি নিয়ে কী নাটকটাই না হয়ে গেল। ওয়াসার এমডিকে ওয়াসার পানি দিয়ে তৈরি শরবত পান করাতে চেয়েছিলেন ঢাকাবাসী মিজানুর রহমান। ওয়াসা ভবনে তিনি চলেও আসেন সে জন্য। এর নেপথ্যের কাহিনী হলো, ১৭ এপ্রিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) গবেষণা উপস্থাপন করে জানায়, ঢাকা ওয়াসার পানির নিম্নমানের কারণে ৯৩ শতাংশ গ্রাহক বিভিন্ন পদ্ধতিতে পানি পানের উপযোগী করেন। এর মধ্যে ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে পান করেন। তবে টিআইবির এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান বলেন, ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়। তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করতেই ওই শরবত কাহিনী। ঢাকায় ‘অ্যাভেঞ্জার্স : এন্ডগেম’ জ্বর আমেরিকায় তৈরি সিনেমাটি আমেরিকা ও চীন-অস্ট্রেলিয়ার মতো বাংলাদেশেও প্রায় একই সময়ে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ঢাকায় এই সিনেমার টিকেট সংগ্রহের জন্য তরুণেরা যে উন্মাদনা দেখিয়েছে তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে বিশ্বের যে কোনো দেশের বিনোদনপ্রিয় তরুণের চাইতে এরা মোটেও পিছিয়ে নেই। দুনিয়ার খবর তারা রাখে এবং নিজেকে হালফিল বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত করার সুযোগ পেলে ‘ঝাঁপিয়ে’ পড়তেও দেরি করে না। তারুণ্যের একটি স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে, সে যে-জীবন যাপন করে না সেটির প্রতি তার আকর্ষণ থাকে। আর কল্পিত সুপারহিরো বা অতিমানবদের প্রতিও থাকে তার দুর্নিবার কৌতূহল। তাই হয়তোবা কঠিনজটিল বাস্তব জীবনের কোনো দিক নিয়ে নির্মিত আর্ট ফিল্ম বেশি তরুণকে টানে না; অথচ গতিময় গালগল্প (বা কল্পগল্প) এবং একশন তাকে পাগলপারা করে তোলে। অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম ছবির টিকেট সংগ্রহ নিয়ে এলাহি কা-ই ঘটেছে ঢাকায়। বুধবার রাত তিনটা থেকে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের বাইরে তরুণরা জড়ো হয়। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার মধ্যে টিকিটের জন্য লাইন শপিং মলের বাইরের রাস্তায় উঠে যায়। শুক্র-শনিবারের ৩৪টি শোয়ের টিকেট বিক্রি হতে খুব বেশি একটা সময় লাগেনি। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনির্ভাসের এই সিনেমাটি ইতোমধ্যে বক্সঅফিসে ফেলেছে চোখ ধাঁধাঁনো সাড়া। প্রথম দিনেই সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ১৬৯ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’। ছবিটির ট্রেলারও করেছিল বিশ্বরেকর্ড; ডিসেম্বরে ইউটিউবে ট্রেলারটি প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ২৮ কোটি ৯ লাখ দর্শক সেটি দেখে ফেলে। এটি অ্যাভেঞ্জার্স সিরিজের চতুর্থ ছবি। দর্শকদের রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষা যাতে থাকে সেজন্যে আগের ছবিতেই কৌশলে জাগিয়ে রাখা হয়েছে উৎকণ্ঠা। সিনেমায় পৃথিবীর অর্ধেক মানুষকে শেষ করে দেয়া অসীম ক্ষমতাধর থ্যানোসের পরবর্তী লক্ষ্য জানার জন্যে দর্শকেরা উদগ্রীব। সব ষড়যন্ত্র থেকে পৃথিবীকে কি রক্ষা করতে পারবে আয়রন ম্যান, ক্যাপ্টেন আমেরিকা, হাল্ক, থরের মতো সুপারহিরোরা? এন্ডগেমে পরাস্ত হবে কোন পক্ষ? পেটের আগুন নেভাতে নিভল জীবন প্রদীপ ‘লাশের পেটে ১১ প্যাকেট ইয়াবা’- এমন শিরোনামের একটি সংবাদ পুরোটা পড়ে উঠি। এ মাসের শুরুতেও এক মৃত মহিলার পেট থেকে মোট ১৫০০ ইয়াবার বড়ি বের করা হয়। অসুস্থ মহিলাটিকে দু’জন ব্যক্তি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে এসেছিল চিকিৎসার জন্য। পরে মহিলাটি মারা গেছে জেনে কৌশলে সটকে পড়ে সেই দু’জন। এ সপ্তাহে যে লোকটির মৃতদেহ ময়না তদন্তের সময় তার পেটে ১১ প্যাকেট ইয়াবার দেখা মেলে সেই লোক মতিঝিলে রাস্তার ওপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। লোকজন তার মাথায় পানি ঢালে। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লোকটি মারা যায়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হলে সেখানেই উদ্ঘাটিত হয় তার মৃত্যুরহস্য। পেট থেকে বের হয় ১১ প্যাকেট, মানে দুই শতাধিক ইয়াবা। কয়েকটি প্যাকেটের ইয়াবা গলে যাওয়ায় বিষক্রিয়ায় লোকটি মারা যায়। মাসের শুরুতে পেটে ইয়াবা বহনকারী ওই মহিলার পেটে থাকা ইয়াবার দুটি প্যাকেটের ইয়াবা একইভাবে গলে গিয়েছিল। পুলিশের নজরদারি বাড়ায় এখন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক বহনকারীরা সতর্ক হয়ে গেছে। ফলে প্রকাশ্যে ইয়াবা বহনের বদলে পেটের ভেতরে গোপনে ইয়াবা পাচারের কৌশল বেছে নেয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কুড়িজনের মতো ইয়াবা বহনকারী ধরাও পড়েছে। ধরা পড়ার কারণে হয়ত তাদের জীবন রক্ষা পেয়েছে। তা না হলে পেটের ভেতর ইয়াবা গলে এদের কারও কারও মৃত্যু হওয়া অস্বাভাবিক ছিল না। ইয়াবা বহনের ফলে মৃত্যুমুখে পতিত হওয়া জুলহাস মিয়ার খবরটি পড়ে মন বিষণ্ণ হয়ে ওঠে। ইয়াবার মতো মাদক অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে আসক্ত যুব সমাজের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে, সেটাও ঠিক। যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তারা অপরাধী। যারা মাদক বহনের কাজে নিযুক্ত তারাও অপরাধী। তাদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু সে শাস্তি তো মৃত্যুদ- নয়। অথচ ইয়াবা পাচারের কাজ করতে গিয়ে জুলহাসের মতো কেউ কেউ মারা পড়ছে। এতখানি ঝুঁকি জুলহাসরা কি জেনে-বুঝেই নিচ্ছে, নাকি তাদের বোঝানো হচ্ছে যে এভাবে পেটের মধ্যে করে মাদক বহন নিরাপদ, পুলিশের চোখ এড়ানো সম্ভব নিশ্চিতভাবেই? জানি না আসল সত্য কোনটা? হতে পারে জুলহাসরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পেটের ভেতর রাখছে ইয়াবার প্যাকেট। এর একটি প্যাকেট গললেই সে মারা পড়তে পারে, এটা সে ভালমতোই জানে। কিন্তু সে উপায়হীন। দুর্ভাগ্যজনক হলো পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পারলেও জুলহাস তার মৃত্যু এড়াতে পারেনি। পেটের আগুন নেভানোর জন্য পেটকেই সে উপার্জনের মাধ্যম করেছিল। শেষ পর্যন্ত তার জীবন প্রদীপই নিভে গেল। আমি জানি না জুলহাসদের এমন অপমৃত্যু এই পাষাণ নগরীর পাষাণ হৃদয় মানুষের মনে কোন ঢেউ তোলে কিনা। আমার মতো লোক হয়ত সত্যিই খুব অল্প যাদের মন বিষণ্ণ হয়ে ওঠে এই অত্যাশ্চর্য উপায়ে অসহায় মানুষের মৃত্যুর শিকার হওয়া দেখে। জুলহাস মিয়ার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৪, আর ওই মহিলা ছিলেন চল্লিশের ঘরে। কী-বা এমন বয়স তাদের! নিষিদ্ধ নেশার চক্র ভয়ঙ্কর। উচ্চমূল্যে বিক্রি হয় এই নেশা। এর মুনাফাও বিশাল। সেখানে জুলহাস মিয়ারা শস্তা ও সামান্য ঘুঁটি। এই দুষ্টচক্রের রাঘব বোয়ালরা প্রভাবশালী, এসি গাড়িতে চড়ে। আর তাদের সেপাই জুলহাস মিয়ারা মর্গে শব ব্যবচ্ছেদের আগে নগণ্য কীটের মতোই পড়ে থাকে রাজধানীর ফুটপাথে। বিদ্যাপ্রকাশের ৩৫ মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান খোকা আশির দশকের মধ্যভাগে প্রতিষ্ঠা করেন গ্রন্থ প্রকাশনালয় ‘বিদ্যাপ্রকাশ’। শুরুর দিকে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সৈয়দ শামসুল হক ও তসলিমা নাসরীন- এই তিন লেখকের বই প্রতি বছরই প্রকাশিত হতো এখান থেকে। প্রকাশনায় দায়িত্বশীলতা ও সুরুচির কারণে অল্প সময়ের ভেতরেই বিদ্যাপ্রকাশ দেশে সুপরিচিত হয়ে ওঠে। দেখতে দেখতে সাড়ে তিন দশক হয়ে গেল। তবে প্রকাশক এখন স্থায়ীভাবেই বাস করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, গত দু’বছর তিনি দেশেও আসেননি। তিনি না এলেও একুশের বইমেলায় যথারীতি অংশ নিয়েছে বিদ্যাপ্রকাশ এবং বের করেছে নতুন বই। প্রকাশকের সন্তানই সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। বিদ্যাপ্রকাশের জন্মদিন উপলক্ষে ধানম-ির একটি রেস্তরাঁয় মিলিত হয়েছিলেন বিদ্যাপ্রকাশের লেখকবৃন্দ। মজিবর রহমান খোকার সঙ্গে বেশ কিছুকাল পরে সাক্ষাতের সুযোগ ঘটবে- এমন আকাক্সক্ষা থেকেও চলে আসেন কেউ কেউ। কিছুটা আনুষ্ঠানিকতাও ছিল এতে। মধ্যমণি হয়ে ছিলেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, তাঁকে ঘিরে কয়েকজন লেখক- আনোয়ারা সৈয়দ হক, মফিদুল হক, ইমদাদুল হক মিলন, মোহিত কামাল, জুলফিয়া ইসলাম প্রমুখ। নবীন-প্রবীণ লেখকদের মিলনমেলার রূপ নেয় এটি। ছিলেন বিদ্যাপ্রকাশের দুই প্রধান প্রচ্ছদশিল্পী মঈন আহমেদ ও ধ্রুব এষও। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘তার অধিকাংশ গ্রন্থই প্রকাশ করেছে এই বিদ্যাপ্রকাশ। প্রকাশকের কাছে বাণিজ্যের বিষয়টি কখনোই মুখ্য ছিল না। তিনি চেয়েছেন পাঠক সমাজকে গুরুত্বপূর্ণ বই উপহার দিতে।’ বইপ্রেমী শিল্পী আমরা আক্ষেপ করে বলে থাকি সমাজে বই পড়ার অভ্যেস ভয়ানকভাবে কমে যাচ্ছে। আনন্দ ও জ্ঞানের ভা-ার হিসেবে বইয়ের উপযোগিতা কখনই ফুরোবার নয়। কিন্তু একটি সমাজে মানুষের পাঠাভ্যাসের হার কমতে থাকলে অনুমান করা যায় সেই সমাজ কোন রসাতলে চলেছে। এরকম একটি সময়ে কারও বইপ্রেমের কথা জানতে পারলে ভাল লাগে। চিত্রশিল্পী রফি হকের পোস্ট থেকে অংশবিশেষ তুলে দিচ্ছি যা থেকে পাঠক জানতে পারবেন বই যারা পড়েন তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন থাকে। তিনি লিখেছেন : ‘প্রেম যেমন হুট হাট করে হয় না। বইয়ের প্রতি প্রেম, ভালবাসাও চটজলদি হয় না। আর পড়ার অভ্যাস হলো একটা প্যাশন, ভাল লাগা, ঘোর, আচ্ছন্নতার মতো। বই আমার জীবনধারণের বড় অবলম্বন। বই ছাড়া আমি একটি মুহূর্ত কল্পনাও করতে পারি না। আমার রোজকার ব্যাগে বই থাকবে না আমি কল্পনাও করতে পারি না। আর্টের বই সংগ্রহের জন্য আমি আমার বন্ধু শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্দিরা ভাদুড়ির কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। মন্দিরা নিজেও একজন শিল্পী এবং বই পাগল মানুষ। আমরা শিকাগোতে পাগলের মতো লাইব্রেরি ব্যবহার করেছি, বই কিনেছি। বই কিনলে তো হলো না! সেই বই ঢাকাতে আনতে হবে। এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখি তিনটি লাগেজেরই ওজন ঠিক নেই! কমাতে হবে। তবু বই কমাব না। নামিয়ে রাখি বাকি জামা কাপড়ও। নিজে পরে নিয়েছি তিন চারটি জামা, তিনটি ভারি সোয়েটার, চাঁদে নামা নীল আর্মস্ট্রংয়ের মতো ঘরবাড়ি মার্কা জ্যাকেট, দুটো ইয়া বড় মাফলার সব গায়ে জড়িয়েছি। হাতে যতগুলো বই নেয়া যায়, নিয়েছি। দেখার মতো দৃশ্য। মন্দিরা হাসে, হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে। পড়ুক। আমি খুব খুশি। বইগুলো নিয়ে যেতে পারছি। ইমিগ্রেশন অফিসার, সিকিউরিটি চেকিংয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা চোখ গোল গোল করে তাকিয়ে দেখছে আমাকে। ঢাকা এয়ারপোর্টের কাস্টমসের বিশ্বাস হয় না যে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্তর ছাড়া আমার তিনটি লাগেজেই বই আছে। আমেরিকা থেকে এসেছে বই নিয়ে! তাও তিন লাগেজ! খুলে দেখানোর পর ওদের বিস্ময়ের ঘোর যেন কাটতেই চায় না! একজন অল্প বয়সী মহিলা অফিসার এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে এসে আমাকে গাড়িতে তুলে দিতে এলেন। তাঁর সঙ্গে দুই সেপাই ছিল। যারা আমাকে ট্রলি বহন করতে দেয়নি। বিদায় নেয়ার সময় তারা দু’জন আচমকা পা উঁচিয়ে মেঝেতে শব্দ তুলে এমন করে গান স্যালুটের মতো করে স্যালুট দিল যে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম! সবই বইয়ের জন্য।’ ২৮ এপ্রিল ২০১৯ [email protected]
×