ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘আমার নূপুরে ধ্বনি ছড়াক মানবতার বাণী’

প্রকাশিত: ১১:০৯, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

‘আমার নূপুরে ধ্বনি ছড়াক মানবতার বাণী’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দিনের শুরু হলো নাচের মুদ্রায়। সকাল থেকে রাত অবধি পরিবেশিত হলো নানা আঙ্গিকের নাচ। নৃত্যশিল্পীদের অন্তরে বয়ে গেছে উচ্ছ্বাস। চোখে-মুখে দেখা গেছে খুশির ঝিলিক। দিনভর আয়োজনে পরিবেশনার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে নৃত্য বিষয়ক সেমিনার। বের হয়েছে বর্ণিল শোভাযাত্রা। জানানো হয়েছে নৃত্যশিল্পীর কাজের সম্মাননা। এভাবেই আনন্দ-উল্লাসে সোমবার রাজধানীতে উদ্্যাপিত হলো আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস। ‘আমার নূপুরের ধ্বনি/ছড়াক মানবতার বাণী’ প্রতিপাদ্যে ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল দিবসকেন্দ্রিক সপ্তাহব্যাপী আয়োজনটি। সোমবার ছিল সমাপনী অনুষ্ঠান। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সকালে চড়া রোদ উপেক্ষা করে শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনের সামনে বেজে ওঠে নূপুরের নিক্বণধ্বনি। মুদ্রার সঙ্গে অভিব্যক্তির সম্মিলনে মঙ্গলনৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় সমাপনী দিনের আনুষ্ঠানিকতা। এ পরিবেশনার আশ্রয়ে প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে সুবিধাবঞ্চিত শিশু, প্রতিবন্ধী শিল্পীÑসবাই শামিল হন এক মোহনায়। সম্মিলিত সেই নাচের তালে ভেসে বেড়ায় ‘তুমি নির্মল করো হে’, ‘আনন্দালোকে মঙ্গলালোকে’, ‘ও আমার দেশের মাটি’, ‘বকুল ফুল বকুল ফুল’ গানের সুর। এরপর বের করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। উচ্ছ্বাসমুখর শোভাযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত হয় ‘চর্যাপদে নৃত্যের ছন্দ’ শীর্ষক সেমিনার। একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নৃত্যশিল্পী ও গবেষক অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী। বিকেলে মূল আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে। প্রথম পর্বে ছিল আলাচনাসভা। আলোচনা শেষে ছিল মনমাতানো নৃত্য পরিবেশনা। এ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী দীপা খন্দকারকে প্রদান করা হয় নৃত্যগুরুমাতা রাহিজা খানম ঝুনু স্মৃতি পদক। আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রসাদ দেবনাথ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক। স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন নৃত্যজন গোলাম মোস্তফা খান ও নিগার চৌধুরী। দীপা খন্দকারেরর জীবনী পাঠ করেন নৃত্যশিল্পী তামান্না রহমান। সুইড বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পীদের নাচের মাধ্যমে শুরু হয় পরিবেশনা পর্ব। এরপর একে সম্মেলক নৃত্য পরিবেশন নন্দন কলাকেন্দ্র, নৃত্যশিল্পী সংস্থা রাজশাহীর শিল্পীরা, ধৃতি নৃত্যালয়, স্পন্দন, মৌলভীবাজারের সপ্তস্বর সঙ্গীত বিদ্যাপীঠ, রেওয়াজ পারফর্মিং আর্টস, ভাবনা, শিখর কালচারাল সেন্টার, কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়, নটরাজ, নৃত্যম, ঝংকার, বেণুকা ললিতকলা একাডেমি, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি (বাফা), নৃত্য সুর, নৃত্যাক্ষ, বহ্নিশিখা, স্বপ্ন বিকাশ কেন্দ্র, নান্দনিক ও বৈশাখীর নৃত্যশিল্পীরা।
×