ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অভিবাসীদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে সরকার কাজ করছে ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:৪০, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

অভিবাসীদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে সরকার কাজ করছে ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ যে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত তার পেছনে অভিবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে শ্রমিকরা বিশেষ করে নারী শ্রমিকরা অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়, এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। কীভাবে অভিবাসীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যায় এবং পদ্ধতিগত জটিলতাগুলো দূর করা যায় সেজন্য সরকার কাজ করছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। রবিবার বিকেলে রেফিউজি এ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) অভিবাসন ও সোনার মানুষ সম্মিলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরা অভাবের তাড়নায় এই কাজটি (বিদেশ যাওয়া) করছেন, আমরা চাচ্ছি অতি দ্রুত এই অবস্থার পরিবর্তন হোক; যেন আমাদের কোথাও অপমান সহ্য করে কাজ করে খেতে না হয়। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। এম এ মান্নান বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করেন আপনাদের জন্য কিছু করার জন্য। একটি গোটা মন্ত্রণালয় তৈরি করা হয়েছে, আপনাদের জন্য। মাঝে-মাঝে অনেক নিগৃহীত হন আপনারা, নানা ধরনের বঞ্চনার শিকার হন, এগুলো আমরা জানি। বিশেষ করে আজকে সকালেই আমরা আলোচনা করেছি, আমাদের অভিবাসী মা-বোনেরা কোন কোন দেশে লাঞ্ছনার শিকার হন, সেটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি আমাদের অন্যান্য পুরুষ শ্রমিকরাও বিভিন্ন জায়গায় সমান মর্যাদা পান না তা আমরা জানি। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রায় সবক্ষেত্রে আমাদের যে উন্নতি হচ্ছে, তাতে অভিবাসী শ্রমিকদের বিশাল ভূমিকা আছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আমরা প্রায়ই আলোচনা করি, আমাদের দেশে এখন যে সম্পদ গড়ছে, কাদের এই সম্পদ? আমাদের ভাই-বোন যারা মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য জায়গায় কাজ করে, পরিশ্রম করে, কষ্ট করে এবং দেশের ভেতরে যারা বিভিন্ন শিল্পে কাজ করে, তাদের পরিশ্রমের ফলে যে আয় হয়, সেই আয়ই বাংলাদেশের যা কিছু উন্নতি আমরা দেখছি; তার মূলে তাদের অবস্থান। তাই আপনাদের বারবার সালাম জানাতে হয়, আপনাদের সুখে-দুঃখে সরকারকে পাশে থাকতে হয়। অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, এ খাতে সার্বিক সুশাসন নিশ্চিত করা, ২০২০-২৯ সালকে অভিবাসন দশক ঘোষণা এবং সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় অভিবাসন ও সোনার মানুষ সম্মিলন। সম্মিলনে অভিবাসন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ১৮ জনকে সোনার মানুষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর আগে ‘অভিবাসীর অকথিত গল্প’ এবং ড. তাসনিম সিদ্দিকী ও সি আর আবরার এর গবেষণাগ্রন্থ ‘টুয়ার্ডস ট্রান্সপারেন্সি ইন রিক্রুটমেন্ট : মেকিং দালাল্স ভিজিবল’ নামক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. তাসনিম সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রামরুর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সি আর আবরার, রামরুর প্রকল্প পরিচালক মেরিনা সুলতানা, ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রকাশ প্রকল্পের দলনেতা জেরি ফক্স প্রমুখ।
×