ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিষয় : ফিন্যান্স এবং ব্যাংকিং বীমা

ভুলে খাম খোলায় পিছিয়ে গেল যশোর ও ঢাকা বোর্ডের দুই পরীক্ষা

প্রকাশিত: ১০:০২, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

  ভুলে খাম খোলায় পিছিয়ে গেল যশোর ও ঢাকা বোর্ডের দুই পরীক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুটি কেন্দ্রে ভুলবশত পরবর্তী পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের খাম খুলে ফেলায় ঢাকা ও যশোর শিক্ষা বোর্ডের আজকের একটি পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আজ ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বীমা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ পরীক্ষা আগামী ৭ মে বিকেল ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোতে আজ সকাল ১০টায় ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা দ্বিতীয় পত্রসহ পূর্বনির্ধারিত অন্য সকল পরীক্ষাগুলো যথারীতি চলবে। আজকের অন্য বিষয়ের পরীক্ষাও যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক রবিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, রবিবার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা সরকারী কলেজ কেন্দ্রে সোমবার অনুষ্ঠেয় ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার বহুনির্বাচনী প্রশ্নের ফয়েল খাম কেটে ফেলায় এবং খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনি কেন্দ্রে এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে ফেলা হয়েছিল। অর্থাৎ সোমবারের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের খাম রবিবার খোলা হয়েছে। এর ফলে সোমবারের পরীক্ষা দুুটি বোর্ডে পিছিয়ে দেয়া হয়। কারণ কেন্দ্র দুটি ওই দুটি বোর্ডে। বাকি বোর্ডের পরীক্ষা চলবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, ঢাকা ও যশোর বোর্ডে ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ২৯ এপ্রিলের পরিবর্তে আগামী ৭ মে বিকেল ২টায় নেয়া হবে। তবে অন্য বিষয়ের সকল পরীক্ষা চলবে। কেবল একটি বিষয়েরই পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্য বোর্ডগুলোতেও ২৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা দ্বিতীয় পত্রসহ পূর্বনির্ধারিত অন্য পরীক্ষাগুলো হবে। আজকের ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা পরীক্ষা পিছিয়ে গেলেও পূর্ব নির্ধারিত শিশু বিকাশ দ্বিতীয় পত্র, হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র (ডিআইবিএস) এবং বিকেলে সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, সমাজকর্ম দ্বিতীয় পত্র এবং ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩৪৪ আইসিটি শিক্ষকের এমপিও সঙ্কট লাঘবে এনটিআরসিএর চিঠি: বিজ্ঞপ্তি অনুসারে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দিয়ে নিয়মিত পাঠদান করা ৩৪৪ জন শিক্ষকের এমপিও জটিলতা নিরসনে অধিদফতরগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এনটিআরসিএ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ২০১৬ সালে এনটিআরসিএ প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও মামলার কারণে নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন করা হয়নি। মামলা সম্পন্ন হয়ে গেলে রায়ের আলোকে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো নির্দেশিকা মোতাবেক ফল চূড়ান্ত করা হয়। চিঠিতে আরও বলা হয়, মামলার রায় অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী বা সমমান এবং সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার বিষয়ে ন্যূনতম ৬ মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণযোগ্য হওয়ায় কম্পিউটার বিষয়ে ৬ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণধারীরাও নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এ মামলার রায় অনুযায়ী ব্যবস্থা কেবলমাত্র ২০১৬ সালের প্রার্থীদের বেলায় প্রযোজ্য হবে, তার পরবর্তীদের বেলায় নয়। চিঠিতে মামলার রায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের বেলায় ৬ মাসের প্রশিক্ষণের পূর্বের নীতি অনুসরণ করার জন্য অর্থাৎ মামলার রায়ের মতে কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছে এনটিআরসিএ।
×