ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এবার রমজানে পণ্যমূল্য কম থাকবে, আশা মেয়র খোকনের

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

 এবার রমজানে পণ্যমূল্য কম থাকবে, আশা মেয়র খোকনের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম গতবারের চেয়ে বাড়বে না বরং কমতে পারে বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি আরও জানিয়েছেন ডিএসসিসির আওতাধীন কাঁচাবাজারগুলোতে ১ রমজান থেকে ব্যবসায়ীদের ও বাজার দর মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে। সাঈদ খোকন বলেন, ডিএসসিসি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মধ্য দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি’ অবলম্বন ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ। রবিবার দুপুরে ডিএসসিসি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মেয়র এসব কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রমজানের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, তেল ও আটাসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র। বৈঠকে সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হাসেম ও বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মেয়র বলেন, ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন এবার পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ রয়েছে, যা আসন্ন রমজানের পরও সামনের পূজায়ও সরবরাহ করা যাবে। সুতরাং আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য- বিশেষ করে ছোলা, চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও আটাসহ অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য কোনক্রমেই বাড়বে না। মেয়র বলেন, ব্যবসায়ীরা আমাকে জানিয়েছেন, এবার পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ রয়েছে, যা দিয়ে আমাদের আসন্ন রমজানের পরও সামনের পূজায় সরবরাহ করা যাবে। সুতরাং আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, বিশেষ করে ছোলা, চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও আটাসহ অতি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য কোনক্রমেই গত বছরের চেয়ে এ বছর বাড়বে না। সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, বাজারে বিভিন্ন ধরনের ছোলা বিক্রি হয়। যেগুলো দেখতে একেবারেই পরিষ্কার সেগুলো ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু যেসব ছোলা নরমাল বা দেখতে একটু কালচে সেগুলো পাইকারি ও খুচরাভেদে ৫৫-৬২ টাকায় বিক্রি হয়। একইভাবে তেল ও মসুর ডালের ক্ষেত্রেও তা বিদ্যমান। তাই বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি বলার আগে অবশ্যই আপনাদের (ক্রেতাসাধারণ) দেখতে হবে যে কোন দ্রব্যটির দাম কী। এজন্য মূল্য তালিকা সংগ্রহ করারও পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া খুচরা বাজারে ক্ষেত্র বিশেষ দাম কম বেশি ধরা হয়। তবে পরিবহন, ডিলারদের খরচসহ সব ধরেনর খরচ শেষেই পণ্যের গায়ের এমআরপি বা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ধরা হয়। কোনক্রমেই বাজারমূল্য এর চেয়ে বেশি হতে পারে না।
×