ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এক মাদ্রাসায় জামায়াত পরিবারের সাত জন

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

 এক মাদ্রাসায় জামায়াত  পরিবারের সাত জন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২৮ এপ্রিল ॥ বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ফাতেমা জহুরা বালিকা মাদ্রাসাটি এক জামায়াত ইসলামী নেতার পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ওই মাদ্রাসায় জামায়াত নেতা শের আলী ও তার ভাইসহ একই পরিবারের ৭ জন চাকরি করছেন। জানা গেছে, জামায়াত নেতা শেরে আলী এক সময় এই মাদ্রাসার সুপার থাককালে তার স্ত্রী লালমন বেগম, মেয়ে মাহফুজা বেগম, ভাই আব্বাস আলী ও তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে সহকারী শিক্ষক পদে এবং শেরে আলীর আরেক ভাই আবদুল্লাহ অফিস সহকারী ও ফিরোজা বেগম নামের ওই পরিবারের এক মহিলা ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে চাকরি করছেন। শেরে আলীর বাউফল উপজেলা জামায়াতের একজন প্রভাবশালী নেতা। আর তার ভাই আব্বাস আলী আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের জামায়াতের আমির। তারা দুইজন এই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে থেকে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। রবিবার ফাতেমা জহুরা বালিকা মাদ্রাসায় গিয়ে সুপার মাও. আব্বাস অনুপস্থিত। মাদ্রাসার কয়েক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তিনি (আব্বাস আলী) এই মাসে প্রায় ২২ দিন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত ছিলেন। শিক্ষকদের হাজির খাতা দেখতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা জানায় হাজিরা খাতা আব্বাস হুজুরের কাছে। মাদ্রসায় তিনি খাতা রাখেন না, খাতা তার সঙ্গে রাখেন। অপরদিকে মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ আমির হোসেনসহ কমিটির সদস্যরা আলোচনার মাধ্যমে মাও. আবদুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব দিলেও আব্বাস আলী তা মানছেন না। বরং নিজেকে সুপার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। এ বিষয়ে আব্বাস আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি। ছুটির কোন কাগজপত্র অফিসে সংরক্ষিত নেই কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছি। মাদ্রাসার ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আমীর হোসেন মৃধা বলেন, শেরে আলী ও তার ভাই আব্বাস জামায়াতের সঙ্গে জড়িত। তারা দেশ বিরোধী কাজে লিপ্ত।
×