ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

 মাদারীপুরে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে  পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২৮ এপ্রিল ॥ সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের জাজিরা গ্রামে চাঁদনী আক্তার (১৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ রবিবার সকালে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর থেকে চাঁদনীর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। জানা গেছে, এক বছর আগে পাঁচখোলা গ্রামের আবুল হাওলাদারের মেয়ে চাঁদনীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বালিকা অবস্থায় বিয়ে হয় জাজিরা গ্রামের বাবুল ফকিরের মাদকাসক্ত ছেলে রিয়াদের। ছেলে মাদকাসক্ত ও বখাটে হওয়ায় মেয়ের পরিবার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। বিয়ের পর থেকে নেশার টাকা ও যৌতুকের জন্য চাঁদনীকে প্রায়ই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত স্বামীসহ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নেশা ও যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় শনিবার রাতে চাঁদনীকে পিটিয়ে হত্যা করে রবিবার ভোরে স্বামী রিয়াদ ও তার পরিবারের লোকজন সবকিছু নিয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। সকালে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে সদর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। চাঁদনীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে প্রতিবেশীরা জানান। নিহত চাঁদনীর বাবা আবুল হাওলাদার বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই নেশার টাকা ও যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে মারধর করত। রবিবার সকালে শুনি আমার মেয়েকে মেরে ওর স্বামীর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’ কিশোরগঞ্জে ২ সন্তানের জননীকে নির্যাতন নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, নিকলীতে যৌতুকের জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননী রিপা আক্তারকে (৩৬) মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে শারীরিকভাবে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে রবিবার দুপুরে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী নারী স্বামীর বিরুদ্ধে নিকলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা যায়, প্রায় আঠার বছর আগে নিকলী সদরের চুক্তিহাটি গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে আল মামুনের (৪২) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দামপাড়া নামাজহাটি গ্রামের মোঃ ইব্রাহীমের মেয়ে রিপা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের ৬ বছর পর আল মামুন প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এরপর থেকেই তুচ্ছ ঘটনায় প্রথম স্ত্রী রিপা আক্তারকে বিভিন্ন সময় স্বামী আল মামুন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। রবিবার সকালে বিদেশে যাওয়ার কথা বলে রিপাকে বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। এতে অস্বীকৃতি জানালে আল মামুন তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন রিপা আক্তার জানায়, সংসারে ১৪ বছরের ও পাঁচ বছরের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে স্বামীর নির্যাতনের পরও গত বছর বাবার বাড়ি থেকে ৬০ হাজার টাকা স্বামীকে এনে দিয়েছি। রবিবার বিদেশে যাবে বলে আবারও এক লাখ টাকা আনতে বলে।
×