ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এবারের আয়োজনে আপনাদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী কিছু রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন- তাহমিনা আক্তার

রেসিপি

প্রকাশিত: ০৮:১৮, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

  রেসিপি

পেঁপে দিয়ে চিংড়ি যা লাগবে : বাগদা চিংড়ি ৫০০ গ্রাম, সর্ষের তেল, ঘি, কাঁচা পেঁপে ২০০ গ্রাম, তেজপাতা, গরম মসলা, কাঁচামরিচ, কারিপাতা, আদাবাটা, জিরে গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, হলুদ, চিনি ও লবণ স্বাদমতো। যেভাবে করবেন : চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখুন। পেঁপের খোসা ছাড়িয়ে গ্রেট করে নিন। ফ্রাইং প্যানে তেল গরম করে তার মধ্যে দিন চিংড়ি, লবণ আর হলুদ। ৩-৪ মিনিট নেড়েচেড়ে চিংড়িগুলো অন্য পাত্রে তুলে রাখুন। এবার ওই ফ্রাইং প্যানে আর খানিকটা ঘি আর তেল গরম করুন। তাতে তেজপাতা, গোটা গরম মসলা ফোড়ন দিয়ে কাঁচালঙ্কা ও আদাবাটা, জিরে গুঁড়া, লবণ, হলুদ আর সামান্য পানি দিয়ে কষান। মসলা ভালভাবে মিশে গেলে গ্রেট করা পেঁপে দিয়ে ৪-৫ মিনিট নেড়েচেড়ে ভাজা চিংড়ি ও কারিপাতা দিয়ে ভালভাবে রাঁধুন। আঁচ বন্ধ করে ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। লাউ পাতার পুর যা লাগবে : কচি লাউপাতা ৬ টা, বেসন, চালের গুঁড়া, নারকেল কোরা, বেকিং সোডা (অল্প), লবণ ও চিনি স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়া, পোস্ত, সর্ষে, কাঁচামরিচ, তেল। যেভাবে করবেন : কচি লাউপাতাগুলো ভাল করে ধুয়ে নিন। একটি পাত্রে বেসন, চালের গুঁড়া, নুন, হলুদ, বেকিং সোডা নিন এবং জল দিয়ে একটা ঘন ব্যাটার তৈরি করুন। অন্য একটা পাত্রে পোস্ত, সর্ষে, নারকেল কোরা, কাঁচামরিচ এবং স্বাদমতো লবণ-চিনি দিন। আধা ভাঙ্গা মিশ্রণ তৈরি করুন। ধুয়ে রাখা পাতাগুলোকে চ্যাপ্টা করে তাতে ২ টেবিল চামচ মিশ্রণ দিয়ে আয়তাকারে গড়ুন। প্যানে তেল গরম করুন। এবার পুরভরা পাতাগুলো ব্যাটারে ভাল করে ডুবিয়ে গরম তেলে ছাড়ুন ভাজার জন্য। হালকা সোনালি রং ধরা পর্যন্ত ভাজুন। হয়ে গেলে কাসুন্দির সঙ্গে পরিবেশন করুন। তেল পটোল যা লাগবে : পটোল ৬ টা, সর্ষের তেল, জিরে গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া, কাঁচা মরিচ, তেজপাতা, চিনি ১ চা চামচ, নারকেল কোরা, নারকেলের দুধ, গরম মসলা গুঁড়া, লবণ পরিমাণ মতো। যেভাবে করবেন : পটোল ছুলে ভেতরটা একট চিরে সর্ষের তেল গরম করে ভেজে নিতে হবে। ওই তেলেই মরিচ গুঁড়া, জিরে গুঁড়া, চেরা কাঁচামরিচ, তেজপাতা, লবণ ও চিনি দিয়ে কষাতে থাকুন। তেল ছাড়তে শুরু করলে নারকেল কোরা আর নারকেলের দুধ দিয়ে ঢিমে আঁচে ভাজা পটোল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। তিন-চার মিনিট পর তেলতেলে অবস্থায় এলে গরম মসলা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। এবার গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। গোয়ালন্দ চিকেন কারি যা লাগবে : দেশী মুরগি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচা ও শুকনো মরিচ, হলুদ, লবণ, সরষের তেল, কুঁচো চিংড়ি মাছ। সব উপকরণ পরিমাণ মতো নিতে হবে। যেভাবে করবেন : পেঁয়াজ কুঁচি কুঁচি করে কাটুন। আদা-রসুন-কাঁচা ও শুকনো মরিচও কুঁচি করে কেটে নিন। এবারে মুরগি ভাল করে ধুয়ে একটা পাত্রে রাখুন। কেটে রাখা মুরগিতে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ, হলুদ আর লবণ দিন। পরিমাণ মতো সরষের তেল দিন। এরপর খুব ভাল করে মেখে নিন। এবারে ২ ঘণ্টা রেখে দিন ঢাকনা দিয়ে। মাথা, খোলা ও পা বাদ দিয়ে কুঁচো চিংড়ি ভাল করে ধুয়ে নিয়ে খুব মিহি করে বেটে নিন। একটা ছোট ডেকচি বা কড়ায়ে অল্প সরষের তেল দিন। চিংড়ি বাটা মুরগিমাখায় মিশিয়ে দিন। তেল গরম হয়ে গেলে মুরগি মাখা কড়াইতে ছাড়ুন। আঁচ কমিয়ে রাখুন। ৩-৪ মিনিট নাড়ুন। তার পরে আঁচ একেবারে কমিয়ে দিন আর ঢাকান দিন ভাল ভাবে, যেন খুব বেশি বাষ্প বেরিয়ে যেতে না পারে। আধ ঘণ্টা পর ঢাকা খুলে আধ কাপ পানি দিন। এরপর আবার ঢাকনা চাপা দিয়ে ১০ মিনিট খুব কম আঁচে রান্না করুন। এবারে উনুন বন্ধ করে দিন। কিন্তু কড়াইয়ের ঢাকনা খুলুন আরও ১০-১৫ মিনিট পর। ব্যাস হয়ে গেছে আপনার গোয়ালন্দ চিকেন কারি।
×