ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গরমে সুস্থ থাকতে

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

গরমে সুস্থ থাকতে

এখনও পুরোপুরি গ্রীষ্মকাল না এলেও রোদের উত্তাপ জানান দিচ্ছে গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা। আর এই সময়টাতে একটু অসচেতন হলেই, ডিহাইড্রেশন, সান বার্ন বা হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি ফুড পয়জনিং এবং অনান্য রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। সুতরাং, এই গরমে সুস্থ থাকতে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। আর, প্রচ গরমেও স্বাচ্ছন্দ্যে কাটানোর জন্য মেনে চলতে পারেন নিচের টিপসগুলো। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্রাশ করার পূর্বে খালি পেটে ১-২ গ্লাস পানি পান করুন। খালি পেটে পানি পানের ফলে শরীর থেকে বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায়, পাশাপাশি দেহের কোষগুলো উজ্জীবিত হয়, মেটাবলিজম বাড়ে। এছাড়া, যাদের বুক জ্বালাপোড়া করে তাদেরও এই সমস্যা কমে আসে। এই প্রচ গরমে পানির চেয়ে সুন্দর শুরু আর কী হতে পারে। তবে আপনার পানি যেন বিশুদ্ধ ও নিরাপদ হয় সেই বিষয়ে নিন বাড়তি সতর্কতা। গরমে, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত ১-২ প্রকার মৌসুমি ফল রাখুন খাদ্য তালিকায়। পাশাপাশি, প্রতিবেলায় শাকসবজি খেতে ভুলবেন না। এই সময় দেহকে হাইড্রেট রাখার জন্য যেসব ফল এবং সবজির ওয়াটার কনটেন্ট বেশি- সেগুলো বেছে নিন। ফলের মধ্যে তরমুজ, জামরুল, জাম্বুরা, আনারস, নাশপাতি, কমলা, মালটা বেছে নিন। এসব ফলে পানির পরিমাণ প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ। সুতরাং, এই গরমেও যদি স্বস্তিতে থাকতে চান তবে এই ধরনের ফল আস্ত অথবা চিনি ছাড়া জুস করে খেতে পারেন। একইভাবে, লাউ, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, শসা, সেলেরি, টম্যাটো, লেটুস প্রভৃতির পানির পরিমাণ ৯০ শতাংশের বেশি। সুতরাং, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন সালাদ এবং সবজি উভয়ই রাখুন খাদ্যতালিকায়। গরমে সুস্থ থাকতে ভালভাবে গোসল করার কোন বিকল্প নেই। এ সময় বাতাসে ধুলা-বালির পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে চুলে খুশকি এবং শরীরে বিভিন্ন রকম ফাঙ্গাল এবং ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এছাড়া, শরীর অনেকক্ষণ ঘামে ভেজা থাকলে শরীরে চুলকানি, ঘামাচি হতে পারে। এ কারণে, প্রতিদিন গোসলে, এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল সোপ এবং চুলে এন্টি ডান্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এ সময় রাতে বাসায় ফিরে গোসল করলে অস্বস্তি কেটে যাবে, ফ্রেশ লাগবে। তবে শরীর ঘামে ভেজা অবস্থায় গোসল করবেন না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ঘাম শুকালে গোসল করবেন এতে ঠা া লাগার সমস্যা হবে না। এই গরমে যদি ‘সান বার্ন’ থেকে বাঁচতে চান তবে ভাল মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুণ। আর বাইরে বের হলে ছাতা এবং সানগ্লাস নিতে ভুলবেন না। এই গরমে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য অনেকেই রাস্তার পাশে শরবতের দোকান থেকে বিভিন্ন রকমের শরবত কিনে খান। এই শরবত তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বরফ কলের বরফ যা মাছ সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়, এবং অবিশুদ্ধ পানি। ফলে, এই শরবত গ্রহণকারীরা টাইফয়েড, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ নানা রোগে ভুগে থাকেন। তাই যারা এই গরমে তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি সুস্থ থাকতে চান তারা প্রতিদিন কচি ডাবের পানি খেতে পারেন। এছাড়া, বাসায় তৈরি লাচ্ছি, পুদিনা পাতা, লেবুর বা তেতুলের শরবত খেতে পারেন। আর এই গরমেও যাদের হাড়ভাঙা শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় এবং যারা অতিরিক্ত ঘামেন, তাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে ইলেক্ট্রোলাইটস ইমব্যালেন্স দূর করার জন্য প্রতিদিন বা একদিন পর পর একটা করে ওর স্যালাইন খেতে পারেন। গরমে সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই অতিরিক্ত তেল, মসলা এবং লবণাক্ত খাবারকে ‘না’ বলুন। এই ধরনের খাবার গ্রহণ করলে হজমে সমস্যা, অস্বস্তি এবং পানির চাহিদা বেড়ে যায়। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে চাইলে সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। আশা করি, এই গরমেও সবাই ভাল এবং সুস্থ থাকবেন। আর বাইরে বের হলে অবশ্যই পানির বোতল এবং ছাতা নিতে ভুলবেন না। যাপিত ডেস্ক
×