ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইংল্যান্ডের নতুন ‘ব্যাডবয়’ হেলস

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

ইংল্যান্ডের নতুন ‘ব্যাডবয়’ হেলস

অনলাইন ডেস্ক ॥ ক্রিকেটের ইতিহাস লিখতে গেলে যে দেশের নাম সবচেয়ে আগে আসে সেই দেশ হচ্ছে ইংল্যান্ড। ফলে এই দেশটির ক্রিকেটকে যেমন অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার মর্যাদার উচ্চ শিখরে নিয়ে গেছেন, তেমনি অনেক 'ব্যাডবয়'ও বের হয়েছেন এই টিমে। এবার ইংলিশদের নতুন 'ব্যাডবয়' হিসেবে অ্যালেক্স হেলসের নাম উঠে এসেছে। সম্প্রতি ডোপ টেস্টে উতরাতে ব্যর্থ হয়ে ২১ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন ইংল্যান্ডের ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলে থাকা এই ব্যাটসম্যান। বিবিসি জানায়, মাঠের বাইরের একটি ঘটনার কারণে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী হেলস। আগামী শনিবার ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন তিনি। তবে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানায়, সম্প্রতি এক মাদক পরীক্ষায় ধরা পড়েন হেলস। দল ঘোষণার সময় ব্যাপারটি অজানা ছিল ইংল্যান্ডের নির্বাচকদের। হেলসের আগে ইংলিশ ক্রিকেটের ব্যাডবয় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন কেভিন পিটারসেন, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের মতো তারকারা। কোচ, বোর্ড, এমনকি সতীর্থের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন ইংলিশ সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন। অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ একবার মরতে বসেছিলেন নেশায় চূর হয়ে। এছাড়া বছর দুয়েক আগে ব্রিস্টলে নাইট ক্লাবের বাইরের রাস্তায় মারামারি করে সমালোচিত বেন স্টোকস। সঙ্গে ছিলেন এই অ্যালেক্স হেলস। নতুন ব্যাডবয় হিসেবে পরিচিতি পাওয়া অ্যালেক্স হেলস বান্ধবীর সঙ্গে প্রতারণা, ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের শ্রদ্ধা হারানো, কোচের শাসানোর পাশাপাশি এবার মাদক কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে গেলেন। ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছেন ‘বিনোদনমূলক ড্রাগ’ নিয়ে। তাও দ্বিতীয় দফা! ইংলিশ ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী হেলস পেয়েছেন ২১ দিনের নিষেধাজ্ঞা। শঙ্কায় তার বিশ্বকাপ খেলাও। ডেইলি মেইল তার একের পর এক বিতর্কে জড়ানো নিয়ে লিখেছে বিশেষ কলাম। সেখানে বিশ্বকাপ দলে না রাখার পরামর্শই দেওয়া হয়েছে নির্বাচকদের, ‘যথেষ্ট হয়েছে। হেলস শুধরাবার নয়। ড্রেসিংরুমের শ্রদ্ধা অনেক আগে হারিয়েছিল ও। এবার পজিটিভ হয়েছে দ্বিতীয়বার ড্রাগ নিয়ে। প্রথমবারও হয়েছিল, কিন্তু লুকানো হয়েছিল তখন। নিজেকে বদলায়নি হেলস। ওর বিশ্বকাপ খেলা উচিত নয়।’ ২০১৩ সালে টম মেয়নার্ডের মৃত্যুর পর মৌসুমের শুরু ও শেষে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রথম পরীক্ষায় ধরা পড়লে সতর্ক করা হয় ক্রিকেটারটিকে। দ্বিতীয়বার পজিটিভ হলে ২১ দিনের নিষেধাজ্ঞা আর বার্ষিক বেতনের ৫ শতাংশ জরিমানা। তৃতীয়বার একই অপরাধ করলে পেতে হবে কড়া শাস্তি। এই নিয়মটাই মানতে পারছেন না নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস। তিনি উদাহরণ টেনেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের। কেপটাউন টেস্টে বল বিকৃতির কারণে এক বছর নিষিদ্ধ ছিলেন দুজন। সেখানে মাদক নেওয়ার মতো অপরাধ করে তাও দ্বিতীয়বার, মাত্র ২১ দিনের নিষেধাজ্ঞা! টুইটে স্টাইরিসের বিস্ময়, ‘বলে আঁচড় কেটে ১২ মাস বনাম ড্রাগ টেস্টে ব্যর্থ হয়ে ২১ দিন।’
×