ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কনফিডেন্সের বগুড়া ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু

প্রকাশিত: ১২:২৮, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

কনফিডেন্সের বগুড়া ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কনফিডেন্স সিমেন্টের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংসের বগুড়া ইউনিট-২ বিদ্যুতকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। বিদ্যুতকেন্দ্রটির উৎপাদন সক্ষমতা ১১৩ মেগাওয়াট। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সভায় কনফিডেন্স পাওয়ারের বিদ্যুতকেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদন চালুর বিষয়টি জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় কনফিডেন্স সিমেন্টের পর্ষদ। কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কনফিডেন্স সিমেন্টের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংসে মূল প্রতিষ্ঠানের ৪১ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। আর কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংসের সাবসিডিয়ারি হচ্ছে কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া ইউনিট-২। বিদ্যুতকেন্দ্রটির ৯৯ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংসের কাছে। এইচএফও-ভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রটি থেকে ১৫ বছরের জন্য বিদ্যুত কেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি)। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সভায় বগুড়ায় ২২৬ মেগাওয়াট, রংপুরে ১১৩ ও চট্টগ্রামে ৫৪ দশমিক ৩৬ মেগাওয়াট সক্ষমতার তিনটি বিদ্যুতকেন্দ্রে কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংসের আওতায় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কনফিডেন্স সিমেন্টের পর্ষদ। বিদ্যুতকেন্দ্র তিনটির মোট উৎপাদন সক্ষমতা ৩৯৩ দশমিক ৩৬ মেগাওয়াট। এ তিন বিদ্যুতকেন্দ্রের ৪১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা থাকবে কনফিডেন্স সিমেন্টের কাছে। এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কনফিডেন্স সিমেন্টের রাজস্ব আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে ৩৬৯ কোটি ১৩ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৪৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ৯ পয়সা। ৩১ মার্চ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৭১ পয়সায়। কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের ঋণমাণ দীর্ঘমেয়াদে ‘এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক ফলাফলসহ অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন এ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির বার্ষিক ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৯৩ পয়সা। এনএভিপিএস ৭৬ টাকা। ২০১৭ হিসাব বছরেও ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা। সে হিসাব বছর পুনর্মূল্যায়িত ইপিএস ছিল ৯ টাকা ২৩ পয়সা। এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৮৪ টাকা ১০ পয়সা। তার আগে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৮ মাসে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কনফিডেন্স সিমেন্ট। জুন ক্লোজিংয়ের বাধ্যবাধকতা থাকায় সেবার ১৮ মাসে হিসাব বছর গণনা করে প্রতিষ্ঠানটি। সে হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সর্বশেষ ১৫৮ টাকায় কনফিডেন্স সিমেন্টের শেয়ার লেনদেন হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৩৯ টাকা ৯০ পয়সা ও ২৪৩ টাকা ৪০ পয়সা। ১৯৯৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কনফিডেন্স সিমেন্টের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৬৪ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৭৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৯টি। এর মধ্যে ২৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭ দশমিক ২৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৪২ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২৭ দশমিক ৪৪, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ৩০ দশমিক ৭৪।
×