ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাধারমণ ও আব্দুল করিমের গানে মুগ্ধতার সন্ধ্যা

প্রকাশিত: ১১:০৮, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

রাধারমণ ও আব্দুল করিমের গানে মুগ্ধতার সন্ধ্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেকড়সন্ধানী সুরের ¯্রােতধারায় বৈশাখী সন্ধ্যাটি ছড়িয়ে দেয় ¯িœগ্ধতা। শ্রোতার হৃদয়ে প্রশান্তির বীজ বুনে দেয় বাংলা সঙ্গীতের দুই কালজয়ী ¯্রষ্টার গান। এক আয়োজনে পরিবেশিত হয় রাধারমণ দত্ত ও শাহ আব্দুল করিমের গান। ভাটি অঞ্চলের গানে সাজানো সঙ্গীতসন্ধ্যাটির শিরোনাম ছিল ‘তুমি চিনিয়া মানুষের সঙ্গ লইও’। শনিবার শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র। অনুষ্ঠানে বাংলার দুই কিংবদন্তি লোককবির গান নিয়ে কথা বলেন কবি শ্য্যামসুন্দর শিকদার, প্রবীণ লোকসঙ্গীত শিল্পী আকরামুল ইসলাম ও এবিসি ফার্মার কর্ণধার চন্দন কুমার পাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাহমুদ সেলিম। উপস্থাপনায় বাচিকশিল্পী শামীম আহমেদ। অনুষ্ঠানে গান শুনিয়েছেন চন্দনা মজুমদার, বিশ্বজিৎ রায়, আবুবকর সিদ্দিক, লাভলী দেব, খায়রুল ইসলাম ও কানিজ খন্দকার নিতু। সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের শিল্পীরা। সমবেত গানের সুরে সঙ্গীতসন্ধ্যার সূচনা হয়। অনেক কণ্ঠ মিলে যায় এক সুরে। সকলে মিলে গেয়ে ওঠে ‘সুরধুনীর কিনারায় সোনার নূপুর’। পরের পরিবেশনায় শিল্পীরা কণ্ঠে তুলে নেয় ‘ইতা কিতা করে গো বন্ধে’। এরপর রাধারমণের গানকে সঙ্গী করে মঞ্চে আসেন খায়রুল ইসলাম। গেয়ে শোনান ‘জলে যাইও না গো রাই’ ও ‘আমারে আসিবার কথা কইয়া’ শিরোনামের সঙ্গীত। কানিজ খন্দকার নিতুর পরিবেশনায় বেছে নেন আবদুল করিমের গান। কণ্ঠের মাধুর্যে শ্রোতার অন্তর আলোড়িত করে গেয়ে শোনানÑ ‘কথা রাখো কাছে থাকো’ ও ‘আমার বন্ধুরে কই পাবো সখী গো’। নিতুর পথরেখা আব্দুল করিমের গানকে সঙ্গী করের মঞ্চে আসেন আবুবকর সিদ্দিক। একে একে গেয়ে শোনান ‘ তুমি বিনে আকুল পরান’, ‘বন্ধে মায়া লাগাইছে পিরীতি’, ‘গান গাই আমার মনরে বুঝাই’ ও ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’। সুরে সুরে রাধারমণকে স্মরণ করেন লাভলী দেব। এই শিল্পীর কণ্ঠে গীত হয় ‘তুই বড়ো কঠিনরে বন্ধু’, ‘শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধুরে’, ‘জলের ঘাটে দেইখা আইলাম’ ও ‘জলে গিয়াছিলাম সই। একই লোককবির গান কণ্ঠে তুলে বিশ্বজিৎ রায় পরিবেশন করেন ‘আমি ডাকি কাঙালিনী’, ‘তুমি চিনিয়া মানুষের সঙ্গ লইও’, ‘গৌর নামের চলছে গাড়ি’, ‘হরি গুনাগুন কৃষ্ণ গুনাগুন’। চড়া কণ্ঠের আশ্রয়ে গানপ্রেমীদের একইসঙ্গে উচ্ছ্বাস আর আবেগে ভাসিয়ে দেন চন্দনা মজুমদার। আবদুল করিমকে আশ্রয়ী এই শিল্পীর পরিবেশিত গানের শিরোনাম ছিল ‘এখন ভাবিলে’, ‘মুর্শিদ ধন হে’, ‘আমি তোমার কলের গাড়ি’ ও ‘দরদিয়ারে’। পরিবেশনা পর্বে তবলায় সঙ্গত করেন দেবব্রত চৌধুরী, ঢোলকে দশরথ, কীবোর্ডে আজাদ মিন্টু, বাঁশিতে মামুন ও দোতরায় সুর ছড়িয়েছেন জালাল।
×