ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কেশবপুরে খাস জমি দখল করে মাছের ঘের

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

কেশবপুরে খাস জমি দখল করে মাছের ঘের

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ২৭ এপ্রিল ॥ কেশবপুরে সরকারী খাস জমি দখল করে এক প্রভাবশালী মাছের ঘের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী খাস জমি দখলমুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ বলা হয়েছে, উপজেলার সুজাপুর গ্রামের বর্ষার মোড় হতে সুজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছন দিয়ে ১নং সরকারী খাস খতিয়ানে ৬২ শতক সরকারী খাস জমি রয়েছে। ২০১৩ সালের দিকে এলাকার মোকছেদ আলী দফাদারের ছেলে কামরুজ্জামান কামাল ওই খাস জমির কিছু অংশ জোরপূর্বক দখল করে মাছের ঘের তৈরি করেন। এরপর পাশের জমির মালিকরা পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট খাস জমিও দখল করে নেয়। যার কারণে সুজাপুর ঋষিপাড়া থেকে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। স্থানীয় লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদের মারপিটের হুমকিসহ বিভিন্ন মামলায় ঢোকানোর হুমকি দেয়া হয়। ফলে কেউ কামালের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। এছাড়া কামালের নেতৃত্বে সুজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি খই ও ১টি আম গাছ জোরপূর্বক কেটে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২৫ এপ্রিল এলাকাবাসীর পক্ষে সুজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে কামরুজ্জামান কামালকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। খাস জমি দখলের বিষয়ে কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ওই স্থানে ৬২ শতক সরকারী খাস জমি রয়েছে। এর ৪৫ শতাংশে সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করা হবে। আমার ঘেরের মধ্যে সামান্য খাস জমি রয়েছে। তাছাড়া ওই জমি শুধু আমি একা ভোগ করছি না। এলাকার দীপক মুখার্জি, স্বপন মুখার্জি, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ রানা, মোমিন দফাদারসহ আরও অনেকেই ভোগ করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানূর রহমান জনান, ওই খাস জমির কিছু অংশ ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণের জন্য প্রস্তাব করে পাঠানো হয়েছে। বাকিটা উদ্ধার করা হবে।
×