ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুই কোরিয়ায় মুন-উন শীর্ষ বৈঠক বার্ষিকী উদ্যাপন

প্রকাশিত: ০৮:৫৩, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

দুই কোরিয়ায় মুন-উন শীর্ষ বৈঠক বার্ষিকী উদ্যাপন

দুই কোরিয়া শনিবার পৃথক মেজাজে দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের মধ্যে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। ওই বৈঠক কূটনীতির ঘূর্ণিঝড়কে উস্কে দিয়েছে এবং পিয়ংইয়ংয়ের বিপারমাণবিকীকরণ বিষয়ে অচলাবস্থার মধ্যে সে উত্তেজনা ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে। খবর এএফপির। কিম জং উন ও মুন জায়ে ইনের মধ্যে পৃথক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় গত বছর ২৭ এপ্রিল উপদ্বীপের বিভক্তি রেখা বেসামরিকীকরণ জোনে। ওই বৈঠকে কিম ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সিঙ্গাপুরে জুনের ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠানের পথ সৃষ্টি হয়। কিন্তু এক বছর পর উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচী থেকে সরে আসার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে খুব কম। ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের পর পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। মুন এ কূটনীতি উদ্ধারের চেষ্টা করেছেন যদিও উত্তর কোরিয়া বেশিরভাগ সাড়া দেয়নি। ট্রাম্প ও কিম- এ দুই পরিবর্তনশীল নেতার মধ্যে প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে মুনের উদ্যোগে। হ্যানয় বৈঠকের পর থেকে উত্তর কোরিয়া কায়েমংয়ে দুই কোরিয়ার যৌথ লিয়াজোঁ অফিসের প্রধানদের সাপ্তাহিক বৈঠকগুলোর কোনটিতেই উত্তর কোরিয়া উপস্থিত থাকেনি এবং অন্য কোন যৌথ প্রকল্পেও অংশগ্রহণ করেনি। কিম ও মুনের মধ্যে গত বছর অনুষ্ঠিত যুগসৃষ্টিকারী বৈঠক স্মরণে পানমুনজোমে শনিবারের অনুষ্ঠানের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার আমন্ত্রণের জবাব দেয়নি উত্তর কোরিয়া। উপরন্তু, উত্তর কোরিয়ার কমিটি ফর পিসফুল রিইউনিফিকেশন শনিবার সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য আরও সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সিউলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। মুন ও কিম গত বছর তিনবার সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন। কিন্তু সিউল ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে বিনিময় উদ্যোগ হ্রাস পেয়েছে। হ্যানয় বৈঠকের ব্যর্থতার পর থেকে এরকম চলে আসছে। উত্তর কোরীয় নেতা এক বছর আগে পানমুনজোমে প্রেসিডেন্ট মুনের কথার প্রতি মনোযোগ দিয়েছেন বলে দৃশত: মনে হয়েছে। কিন্তু এখন তিনি খোলাখুলিভাবেই দক্ষিণ কোরিয়াকে উপেক্ষা করেন।
×