ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত সাইফউদ্দিন

প্রকাশিত: ১০:২২, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

 চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত সাইফউদ্দিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপ ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলসে হবে এবার। সবার ধারণা যতই পেসবান্ধব উইকেটের কথা চিন্তা করা হোক, ব্যাটিংবান্ধব উইকেটই শেষ পর্যন্ত মিলবে। তাতে পেসারদের খুব ভুগতে হবে। লাইন ও লেন্থ বজায় রেখে ধারাবাহিক বল করে যেতে হবে। তাতে মিলতে পারে সাফল্য। বাংলাদেশের পেস অলরাউন্ডার এই উইকেটে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আছেন। তিনি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে শুক্রবার জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডে হওয়া সাম্প্রতিক ম্যাচগুলো দেখছি। এর আগের ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজগুলো দেখছিলাম। মনে হলো সব উইকেটই ব্যাটিংবান্ধব। তাই খুব টাইট লাইন লেন্থ বজায় রেখে বোলিং করতে হবে। যতই বলা হোক পেসবান্ধব উইকেট, তারপরও ওখানে বোলিং করা খুব একটা সহজ হবে না। তাছাড়া আমরা জানি আইসিসির ইভেন্টগুলোতে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট থাকে। কিছুটা চ্যালেঞ্জিং, তবে আমি চ্যালেঞ্জটা নিতে চাই। সেভাবেই প্রস্তুত হতে চাই, হাতে যতটা সময় আছে। বিশ্বকাপের আগে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে খেলেছেন সাইফউদ্দিন। লীগে দারুণ নৈপুণ্যও দেখিয়েছেন। বল হাতে আবাহনীর হয়ে সবচেয়ে বেশি ২৫ উইকেট নেয়ার সঙ্গে ৩৪.৭১ গড়ে ২৪৩ রানও করেছেন। অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। এরপর আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। লীগের পারফর্মেন্সকে সাইফউদ্দিন ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, অবশ্যই বিশ্বকাপে এটা অনুপ্রেরণা দেবে। তবে ডে বাই ডে উন্নতি করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। চেষ্টা করছি নিজের জায়গা থেকে যতটা পারি। নিজের স্কিল আরও ধারাল করার জন্য সবসময়ই চেষ্টা করি। সিনিয়রদের সঙ্গে পরিকল্পনা শেয়ার করি। আলহামদুলিল্লাহ, যেহেতু ডিপিএলটা ভাল গেছে, যদি সুযোগ পাই বিশ্বকাপে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাব। এটাই আসল লক্ষ্য থাকবে। দলের একমাত্র পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। তাই প্রতিটি ম্যাচই খেলার সুযোগ মিলতে পারে। সাইফউদ্দিন জানান, সদ্যই শেষ হলো ডিপিএল, তাই কিছুটা ক্লান্তি আছে। যতটা পারি রিকভারি করার চেষ্টা করব। সামনে সুযোগ আছে। আয়ারল্যান্ড সিরিজ আছে, এখানে যতটা পারি নিজেকে রিকভারি করার চেষ্টা করব। নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করব বলেই বাড়িতে যাওয়া হয়নি। বাড়ি গেলে অনেক বেশি সময় লেগে যাবে। তাই এখানে থেকে দুই-তিনদিন যতটুকু বিশ্রাম পাই তাতেই রিকভারি করার চেষ্টা করব। এভাবেই প্রস্তুত হচ্ছি বিশ্বকাপের জন্য। ম্যাচ উইনার হওয়া এবং বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত লক্ষ্য জানাতে গিয়ে সাইফউদ্দিন বলেন, যেহেতু আমি লোয়ারঅর্ডারে ব্যাটিং করব, অবশ্যই আমার জন্য ভাল সুযোগ আসবে ম্যাচ-উইনিং পারফর্মেন্স করার। ব্যক্তিগত লক্ষ্য অবশ্যই আছে। তবে তা বলতে চাই না। দিন শেষে মিলিয়ে দেখব নিজের লক্ষ পূরণে কতটা সফল হয়েছি। ক্রিকেট যেহেতু দলীয় খেলা, অবশ্যই দলের জন্য খেলার চেষ্টা করব। দলকে জেতাতে যতটুকু অবদান রাখা দরকার সবটাই দেয়ার চেষ্টা করব। বিশ্বকাপে দলের সম্ভাবনার কথা সাইফউদ্দিন জানান এভাবে, যদি সামগ্রিকভাবে চিন্তা করেন আমাদের দল হয়তো ইংল্যান্ড আর ভারতের মতো নয়। তবে আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছেন। আমাদের পাঁচজন খেলোয়াড়ের প্রায় ২০০টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এদিক থেকে আমি মনে করি, আমাদের দল অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে। পাশাপাশি আমরা যারা তরুণ আছি, সৌম্য ভাই গত বিশ্বকাপে খেলেছে। সবমিলিয়ে আমাদের দল ভারসাম্যপূর্ণ। যদি সবাই সবার জায়গা থেকে ভাল খেলতে পারে, যে কোন দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখি আমরা।
×