ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চীনের কাছ থেকে আর ঋণ নেবে না বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

 চীনের কাছ থেকে আর ঋণ নেবে না বাংলাদেশ

কাওসার রহমান ॥ বহুল আলোচিত বেল্ট এ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় বাংলাদেশ আর চীন থেকে ঋণ নেবে না। বিশ্বের ১২৬ দেশ ও ২৯ আন্তর্জাতিক সংস্থার মতো এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বাংলাদেশ আর চীনের ঋণের ফাঁদে জড়াবে না। প্রতিবেশী দেশ ভারতের পর মার্কিন বিশ্লেষকরাও চীনা ঋণ নিয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। চীনের বেল্ট এ্যান্ড রোড প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে ২৩ দেশের ঋণ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ নতুন করে চীন থেকে আর ঋণ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমৃদ্ধ করতে ঢাকা এখন বিকল্প অর্থনৈতিক মডেলের দিকে নজর দিয়েছে। বেজিংয়ে দ্বিতীয় বেল্ট এ্যান্ড রোড ফোরামের সম্মেলন শুরুর প্রাক্কালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘ভবিষ্যত উন্নয়ন কর্মকা-ের জন্য অর্থ চায় বাংলাদেশ। তবে চীনের কাছে আর কখনও ঋণ চাইবে না।’ সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশ উচ্চ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে না, তাদের জন্য যেকোন অংকের ঋণ বিপজ্জনক হতে পারে। বেজিংয়ের বেল্ট এ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে সম্পর্কিত ঋণ শোধ করার মতো অর্থনৈতিক শক্তি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আসন্ন বেল্ট এ্যান্ড রোড ফোরামে ঢাকা কি আরও ঋণ চাওয়ার পরিকল্পনা করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, তার সরকারের কখনও এমন ইচ্ছা ছিল না। এখনও নেই। বাংলাদেশ আর কখনও চীনের কাছে অধিক ঋণ চাইবে না।’ বিকল্প অর্থনৈতিক মডেল প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা বহু কোম্পানি ও দেশের সঙ্গে অনেক প্রকল্প স্বাক্ষর করেছি। এটা হলো একটি প্রতিযোগিতামূলক ‘বিডিং’ পদ্ধতি। আমরা ওইসব কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করছি, যারা বাংলাদেশে নিজেদের কর্মকা- চালাতে পারে এবং নিজেরাই নিজেদের জন্য ঋণ আনতে পারে। এটাই আমাদের কাছে উত্তম। তিনি বলেন, ‘সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের মতো অন্যান্য আর্থিক মডেলও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আমরা নতুন নতুন অর্থনৈতিক মেকানিজম বা কৌশল প্রণয়ন করছি। এভাবেই আমাদের ভবিষ্যতকে অর্থায়ন করতে চাই।’ বৃহস্পতিবার থেকে চীনের রাজধানী বেজিংয়ে শুরু হয়েছে বেল্ট এ্যান্ড রোড সম্মেলন। সম্মেলনে যোগ দিয়ে শুক্রবার যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড এই উদ্যোগকে ‘ভিশন’ হিসাবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, চীনের এই উদ্যোগটি হচ্ছে পুরনো সিল্করোডকে সক্রিয় করা। এর মাধ্যমে চীনের সঙ্গে এশিয়া ও ইউরোপের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। তিনি বলেন, ‘এই উদ্যোগটির মাধ্যমে অসম্ভব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে টেকসই উন্নয়নের। যুক্তরাজ্য এই সম্ভাবনা বাস্তবায়নে সব সময় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবন্ধ।’ দ্বিতীয়বারের মতো বেল্ট এ্যান্ড রোড সম্মেলনে বিশ্বের ১৫০টি দেশ অংশগ্রহণ করছে। এই সম্মেলনে ৪০টি দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দিচ্ছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইটালির প্রধানমন্ত্রী গিওসেপ কনটি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, আসিয়ান দেশগুলোর সরকার প্রধান, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, অস্ট্রিয়া, এশিয়া ও আফ্রিকার নেতারা এ সামিটে যোগ দেন। এবারের সম্মেলনে ১২টি থিমেটিক সেশনে দুর্বল ও অস্থিতিশীল বিশ্ব অর্থনীতি থেকে উত্তরণের নীতিনির্ধারণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাণিজ্য পরিসর বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সহযোগিতার দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপায় নিয়ে এতে আলোচনা হবে। এতে শক্তিশালী আন্তঃযোগাযোগ ও গভীর সহযোগিতার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও দ্বিতীয় বারের মতো উচ্চ পর্যায়ের এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। এ সম্মেলনে অংশ নিতে বুধবার চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলও এ ফোরামে যোগ দিতে পারেন। সায়মা ওয়াজেদ একজন প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ। ফোরামের একটি অধিবেশনে বৈশ্বিক প্রতিবন্ধীদের মুখপাত্র হিসেবে তার বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও প্রতিনিধি দলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা রয়েছেন। তবে চীনের আলোচিত ড্রিম প্রজেক্ট বেল্ট এ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। ভারত গোড়া থেকেই ওই উদ্যোগ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। সম্মেলনে ভারত এ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না। ভারতের পথ অনুসরণ করছে ভুটানও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশী এলামনাই ডাঃ লোটে শেরিংয়ের সদ্য সমাপ্ত ঢাকা সফরের পর মনে করা হয়েছিল দেশটি অবস্থানে কোন পরিবর্তন আসতে পারে। কিন্তু না, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বিমান ওঠার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে দিল্লীর পথেই হাঁটছে থিম্পু। অবশ্য ভারত ও ভুটান যোগ না দিলেও বাংলাদেশ, নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। ওই ৫ দেশ আগে থেকেই বহুল আলোচিত প্রকল্পটির সঙ্গে রয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর গত ২৩ জানুয়ারি বলেছেন, বেল্ট এ্যান্ড রোড উদ্যোগ নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, বরং সকল দেশের স্বার্থে ভারত তাতে অংশ নিতে পারে। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে। চীন সরকারের তরফে বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একাধিক মন্ত্রীর সেখানে বিশেষ আমন্ত্রণ রয়েছে। সম্মেলনে মন্ত্রী পর্যায়ের এক বা একাধিক প্রতিনিধি যোগ দিতে পারেন। ভারতের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বেল্ট এ্যান্ড রোডে ইনিশিয়েটিভ বিষয়ক সর্বশেষ যে রিপোর্ট করেছে তাতে জানিয়েছে, চীন ও ভারতের টানাপড়েনের মধ্যে দুটি দেশের প্রতিবেশীদের দ্বারা একটি নতুন ধরনের মেরুকরণের ইঙ্গিত মিলেছে। রিপোর্ট বলছে, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে ভারত যখন চীনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে তখন তার বেশিরভাগ প্রতিবেশী মালদ্বীপ শ্রীলঙ্কা নেপাল ও বাংলাদেশ ওই সম্মেলনে যোগ দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করে। জানা যায়, প্রতিবেশী দেশ ভারত ও আমেরিকার বিশ্লেষকরা চীনা ঋণ নিয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি ঢাকায় আয়োজিত ‘ডেবট ট্র্যাপ ডিমপ্লোমেসি: এ্যা রিজিওনাল থ্রেট’ শীর্ষক সেমিনারে মার্কিন বিশ্লেষক ড. রিচার্ড এল. বেনকিন বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নের নামে চীনের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগের ভবিষ্যত নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তিনি গত অর্থবছরে বাংলাদেশের ৭.৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং এই অর্থবছরে ৮.১৩ শতাংশ জিডিপি অর্জিত হবে বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পূর্ভাবাস উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বড় আকার ধারণ করার ক্ষেত্রে প্রতিবেশীসহ বিশ্বের অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। ক্রেডিট বা ঋণ সম্পর্কে বাজারে অনেক মতবাদ প্রচলিত আছে। তবে অধিক পরিমাণ ঋণ নেয়া কখনই ভাল কিছু নয়।’ চীনের ‘বেল্ট এ্যান্ড রোড’ কর্মসূচীতে যুক্ত হওয়া ২৩ দেশের কথা উল্লেখ করে রিচার্ড বলেন, এসব দেশ ঠিকই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ঋণ সঙ্কটের ঝুঁকিতে পড়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া, আফগানিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ, মিসর, পাকিস্তান, জর্দান, লেবানন, ইউক্রেনের কথা উল্লেখ করেন। তবে ড. রিচার্ডের অধিকাংশ যুক্তির সঙ্গে দ্বিমত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চীনা ঋণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ অবশ্যই ইতিবাচক। কিন্তু এই ঋণ নিয়ে যদি উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালিত হয় তাহলে তা কখনই খারাপ কিছু হাতে পারে না। ঋণ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হলেই কেবল এর একটা খারাপ দিক থাকে।’ চীনের সঙ্গে ঋণের লেনদেন করে পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্বীকার করে অধ্যাপক আতাউর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে বাড়তি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’ এর আগে ভারতীয় বিশ্লেষকরাও চীনা ঋণ নিয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেন। দিল্লীতে কানেক্টিভিটি বিশেষজ্ঞ প্রবীর দে বেল্ট রোড নিয়ে বহুদিন গবেষণা করছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকাকে আসলে খুবই সতর্কভাবে দেখতে হবে চীন থেকে তারা ঠিক কী নেবে। এখানে কিন্তু কোন ‘ফ্রি লাঞ্চ’ নেই, মানে বিনি পয়সায় কেউ কাউকে কিছু অবকাঠামো গড়ে দিচ্ছে না। চীনের ঋণে অনেক জটিল শর্তও আছে। বাংলাদেশের ডেট মার্জিন এমনিতেই অনেক বেশি, এখন বিআরআই প্রকল্পের জন্য সেটা আরও বাড়লে রাজস্ব উৎপাদনের জন্য তাদের আরও অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে।’ প্রবীর দে বলছেন, ‘দিল্লীরও বিশ্বাস বাংলাদেশকে এ ব্যাপারে খুব সাবধানে পা ফেলতে হবে।’ বেল্ট রোড প্রকল্পের অর্থায়ন যাতে বাংলাদেশকে কোন ঋণের জালে জড়িয়ে না-ফেলে সে দিকেও ঢাকার সতর্ক থাকা দরকার বলে দিল্লীও অভিমত দিয়েছে। বিতর্কিত কাশ্মীরের ওপর দিয়ে একটি করিডর যাচ্ছে বলে চীনের বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে যুক্ত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারত। চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর বা সিপেক, যা বিতর্কিত কাশ্মীরের ওপর দিয়ে যাচ্ছে বলে ভারত এই প্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা করছে। শুধু তাই নয়, বিসিআইএমকে যদি বেল্ট রোডের অংশ হিসেবে দেখা হয় তাহলে এই উদ্যোগকেও দিল্লীর পক্ষে মেনে নেয়া মুশকিল বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশ বেল্ট এ্যান্ড রোড উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়। চীনা প্রেসিডেন্টের ওই সফরকালে দু’দেশের সরকার বিনিয়োগ ও ঋণ সংক্রান্ত ২৭টি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর অর্থমূল্য ২৪০০ কোটি ডলার। তবে এই সফরকালে চীনা প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে ৪ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা সব সময় চীনের বেল্ট এ্যান্ড রোড উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আসছে। শিনজিয়াং প্রদেশ থেকেই চীনের বেল্ট এ্যান্ড রোড উদ্যোগ মধ্য এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হবে।
×